১০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষত সারাতে লড়াই: বন্ডি বিচ হত্যাযজ্ঞের পর ঐক্য আর বিভাজনের সন্ধিক্ষণ ঢাকায় উদীচী কার্যালয়ে হামলার পর অগ্নিকাণ্ড প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি প্রথম আলোর কারওয়ান বাজার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার দাবি নিক্কেই এশিয়া প্রতিবেদন: বাংলাদেশ –ভারত সম্পর্কের অবনতি জামায়াতের আহ্বান সংযম ও ঐক্যের পথে থাকার চীনের স্যাটেলাইট ‘সুপার ফ্যাক্টরি’: স্টারলিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে বড় পদক্ষেপ চীনের ড্রোন ঝাঁকের সক্ষমতায় বড় অগ্রগতি চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি জাপানের নিরাপত্তায় ‘গুরুতর প্রভাব’ ফেলতে পারে: টোকিওর সতর্কবার্তা নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থিত মিডিয়া ব্যবসা

প্রথম আলোর কারওয়ান বাজার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার দাবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় এই দৈনিকের সাংবাদিকরা।

শুক্রবার দুপুরে কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। আগের রাতের হামলার প্রতিবাদ জানাতেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কবি ও লেখক সাজ্জাদ শরিফ। তিনি প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদকও। তিনি বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

হামলার পটভূমি ও পরিস্থিতি

সাজ্জাদ শরিফ বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যখন প্রথম আলোর সাংবাদিকরা পরদিনের পত্রিকা প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক তখনই কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এতে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে।

তিনি জানান, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, সাংবাদিকদের কাজ বন্ধ করে কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য হতে হয়। এর ফলে পত্রিকাটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

প্রকাশনা বন্ধ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা

সাজ্জাদ শরিফ আরও বলেন, প্রথম আলোর ২৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পত্রিকাটি ছাপা আকারে প্রকাশ করা যায়নি। শুধু তাই নয়, হামলার পর থেকে অনলাইন সংস্করণও বন্ধ রয়েছে।

তার ভাষায়, এটি শুধু একটি সংবাদপত্রে হামলা নয়; এটি বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।

তিনি আরও বলেন, একই সময়ে প্রথম আলো ছাড়াও দ্য ডেইলি স্টার আক্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি ‘কালো দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষত সারাতে লড়াই: বন্ডি বিচ হত্যাযজ্ঞের পর ঐক্য আর বিভাজনের সন্ধিক্ষণ

প্রথম আলোর কারওয়ান বাজার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার দাবি

০৮:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় এই দৈনিকের সাংবাদিকরা।

শুক্রবার দুপুরে কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। আগের রাতের হামলার প্রতিবাদ জানাতেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কবি ও লেখক সাজ্জাদ শরিফ। তিনি প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদকও। তিনি বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

হামলার পটভূমি ও পরিস্থিতি

সাজ্জাদ শরিফ বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যখন প্রথম আলোর সাংবাদিকরা পরদিনের পত্রিকা প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক তখনই কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এতে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে।

তিনি জানান, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, সাংবাদিকদের কাজ বন্ধ করে কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য হতে হয়। এর ফলে পত্রিকাটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

প্রকাশনা বন্ধ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা

সাজ্জাদ শরিফ আরও বলেন, প্রথম আলোর ২৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পত্রিকাটি ছাপা আকারে প্রকাশ করা যায়নি। শুধু তাই নয়, হামলার পর থেকে অনলাইন সংস্করণও বন্ধ রয়েছে।

তার ভাষায়, এটি শুধু একটি সংবাদপত্রে হামলা নয়; এটি বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।

তিনি আরও বলেন, একই সময়ে প্রথম আলো ছাড়াও দ্য ডেইলি স্টার আক্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি ‘কালো দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।