চীনের দ্রুতগতির সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ফলে জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে—এমন সতর্কতা দিয়েছে টোকিও। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএর কার্যক্রম জাপানের চারপাশের প্রথম দ্বীপমালাজুড়ে বিস্তৃতভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক ও আকাশপথে চীনের সক্রিয় উপস্থিতি টোকিওর জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বলে মনে করছে জাপান।
সামরিক সক্ষমতা দ্রুত সম্প্রসারণের অভিযোগ
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চীন সামুদ্রিক ও বিমানবাহিনীকে কেন্দ্র করে, পাশাপাশি পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির ক্ষেত্রেও দ্রুত ও ব্যাপকভাবে সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই সক্রিয় সামরিক তৎপরতা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা জাপানের নিরাপত্তার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
তাইওয়ান ইস্যুতে বাড়তি উত্তেজনা
এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টিও তাৎপর্যপূর্ণ। তাইওয়ান প্রশ্নে টোকিওর অবস্থান নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ছে। এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ইতিহাস এবং দীর্ঘদিনের ভূখণ্ডগত বিরোধ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর পরিকল্পনা
জাপানের দাবি, ২০২৫ সালে চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যয়ের তুলনায় চার গুণেরও বেশি। এই প্রেক্ষাপটে জাপান আগামী বছর সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেছে।
জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োদোর এক প্রতিবেদনে সরকারি সূত্রের বরাতে বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরে জাপান তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট ৯ ট্রিলিয়ন ইয়েনেরও বেশি করতে চায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা চলতি বছরের রেকর্ড ৮ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েনের বাজেটকেও ছাড়িয়ে যাবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















