আকাশে জ্বালানি ভরার পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা
চীনের ড্রোন প্রযুক্তিতে এক নতুন মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে। দেশটির নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বয়ংক্রিয় আকাশে জ্বালানি ভরার পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে বলে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
স্বয়ংক্রিয় আকাশে জ্বালানি ভরার পরীক্ষা
এই পরীক্ষায় দুটি অজ্ঞাত মানববিহীন আকাশযান ব্যবহৃত হয়। একটি ড্রোন ছিল জ্বালানি বহনকারী, যাতে বিশেষ রিফুয়েলিং পড যুক্ত ছিল। অন্যটি ছিল জ্বালানি গ্রহণকারী ড্রোন। উচ্চগতির সমন্বিত উড্ডয়নের সময় জ্বালানি গ্রহণকারী ড্রোনটি নিজে থেকেই জ্বালানি বহনকারী ড্রোনকে শনাক্ত করে, তার গতিপথ অনুসরণ করে এবং সফলভাবে সংযোগ স্থাপন করে।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় চরম পরিবেশগত পরিস্থিতিতে, যেখানে অত্যন্ত শক্তিশালী দৃষ্টিনির্ভর নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্রোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়।
জিউ তিয়ান কর্মসূচির সঙ্গে সংযোগ
এই সাফল্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কারণ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে চীনের উন্নত ড্রোন কর্মসূচি ‘জিউ তিয়ান’-এর প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। জিউ তিয়ান একটি ভারী সক্ষমতার মানববিহীন প্ল্যাটফর্ম, যা একসঙ্গে দুই শতাধিক লয়টারিং অস্ত্র বহন করতে পারে।
পাল্লা বাড়ার কৌশলগত প্রভাব
সরকারি তথ্যমতে, জিউ তিয়ানের সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার। এই সীমার মধ্যে চীনের ঘাঁটি থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবে আকাশে জ্বালানি ভরার প্রযুক্তি যুক্ত হলে এর কার্যকর আঘাতের পরিসর দ্বিগুণ হতে পারে।
এর ফলে ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক কিংবা মায়ামির মতো যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের বড় শহরগুলোও সম্ভাব্য নাগালের মধ্যে চলে আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি চীনের ড্রোন সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















