০৪:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪) পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -৩২)

বোর্ডের আদেশমত জেলার মধ্য ও প্রাথমিক শিক্ষাকার্য নির্বাহিত হইতে লাগিল। জেলার “পুরস্কার প্রথা” রহিত করা এবং “বৃত্তি প্রথা” প্রচলিত করা গবর্ণমেন্টের নিয়মের বহির্ভূত বলিয়া, পুনরায় এক বৎসর পরেই “পুরস্কার প্রথা” প্রচলিত হইল এবং উচ্চ প্রাথমিক পাঠশালার “বৃত্তি প্রথাই” রহিল। “পুরস্কার প্রথা” প্রচলিত হওয়ায় আবার স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি হইল। ১৮৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে রাজসাহী জেলার স্কুল ৬১২ এবং ছাত্র সংখ্যা ১৯৭২৪। মোট ৬১২ স্কুলের মধ্যে ৫৬৫টি পাঠশালা। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ হইতে এই ৬৫ বৎসরে স্কুলের সংখ্যা যেরূপ বৃদ্ধি হইয়াছে, তাহা পূর্ব লিখিত বিবরণ পাঠেই জানা যাইবে।
রাজসাহী জেলা অপেক্ষা বর্ধমান, হুগলি প্রভৃতি জেলায় প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা অনেক বেশি এবং দেশীয় শিক্ষা অনেক ভালরূপে হয়; কিন্তু বর্ধমান, হুগলি প্রভৃতি জেলা অপেক্ষা রাজসাহীর অনেক নিম্ন প্রাথমিক পাঠশালায় ইউরোপীয় প্রণালীর শিক্ষা উৎকৃষ্ট হয়। এ বিভিন্নতার কারণ এই যে রাজসাহীতে যে সকল গুরুমহাশয় দেখা যায়, তাহাদের অধিকাংশ ইউরোপীয় প্রণালীর স্কুলের ছাত্র এবং দেশীয় মতের শিক্ষায় নিতান্ত অনভিজ্ঞ। পুরাতন গুরুমহাশয় ইউরোপীয় প্রণালীতে শিক্ষিত হইলে বা ইউরোপীয় প্রণালীর স্কুলের ছাত্রেরা দেশীয় প্রণালী মতে রীতিমত শিক্ষিত হইলে বঙ্গদেশের উপযুক্ত গুরুমহাশয় হইতে পারে। দেশীয় প্রণালীতে উত্তমরূপ শিক্ষা দিতে না পারিলে প্রকৃত কৃষকদের পাঠশালায় সন্তান পাঠাইতে অগ্রসর হইতে দেখা যায় না। কৃষকদের প্রয়োজনমত পাঠশালায় শিক্ষাপ্রদান করিলে প্রাথমিক স্কুলের যথেষ্ট উন্নতি হইবে তাহার আর সন্দেহ নাই।
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪)

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -৩২)

০৩:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বোর্ডের আদেশমত জেলার মধ্য ও প্রাথমিক শিক্ষাকার্য নির্বাহিত হইতে লাগিল। জেলার “পুরস্কার প্রথা” রহিত করা এবং “বৃত্তি প্রথা” প্রচলিত করা গবর্ণমেন্টের নিয়মের বহির্ভূত বলিয়া, পুনরায় এক বৎসর পরেই “পুরস্কার প্রথা” প্রচলিত হইল এবং উচ্চ প্রাথমিক পাঠশালার “বৃত্তি প্রথাই” রহিল। “পুরস্কার প্রথা” প্রচলিত হওয়ায় আবার স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি হইল। ১৮৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে রাজসাহী জেলার স্কুল ৬১২ এবং ছাত্র সংখ্যা ১৯৭২৪। মোট ৬১২ স্কুলের মধ্যে ৫৬৫টি পাঠশালা। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ হইতে এই ৬৫ বৎসরে স্কুলের সংখ্যা যেরূপ বৃদ্ধি হইয়াছে, তাহা পূর্ব লিখিত বিবরণ পাঠেই জানা যাইবে।
রাজসাহী জেলা অপেক্ষা বর্ধমান, হুগলি প্রভৃতি জেলায় প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা অনেক বেশি এবং দেশীয় শিক্ষা অনেক ভালরূপে হয়; কিন্তু বর্ধমান, হুগলি প্রভৃতি জেলা অপেক্ষা রাজসাহীর অনেক নিম্ন প্রাথমিক পাঠশালায় ইউরোপীয় প্রণালীর শিক্ষা উৎকৃষ্ট হয়। এ বিভিন্নতার কারণ এই যে রাজসাহীতে যে সকল গুরুমহাশয় দেখা যায়, তাহাদের অধিকাংশ ইউরোপীয় প্রণালীর স্কুলের ছাত্র এবং দেশীয় মতের শিক্ষায় নিতান্ত অনভিজ্ঞ। পুরাতন গুরুমহাশয় ইউরোপীয় প্রণালীতে শিক্ষিত হইলে বা ইউরোপীয় প্রণালীর স্কুলের ছাত্রেরা দেশীয় প্রণালী মতে রীতিমত শিক্ষিত হইলে বঙ্গদেশের উপযুক্ত গুরুমহাশয় হইতে পারে। দেশীয় প্রণালীতে উত্তমরূপ শিক্ষা দিতে না পারিলে প্রকৃত কৃষকদের পাঠশালায় সন্তান পাঠাইতে অগ্রসর হইতে দেখা যায় না। কৃষকদের প্রয়োজনমত পাঠশালায় শিক্ষাপ্রদান করিলে প্রাথমিক স্কুলের যথেষ্ট উন্নতি হইবে তাহার আর সন্দেহ নাই।