১১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

এআই ঝড়ে কাঁপছে কর্মসংস্থান: কোরিয়ায় চাকরি হারানোর ভয় বাড়ছে

অনিশ্চয়তার মধ্যে কর্মীরা

সিউলের একটি কনটেন্ট তৈরির প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটের কারণে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করেছে। এতে কোম্পানির ৩০ বছর-বয়সী কনটেন্ট নির্মাতা লিম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, কোম্পানি খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, এমনকি ক্ষুদ্র খরচও কাটছাঁট করা হচ্ছে, সবাই বলছে এআই সবকিছুই প্রতিস্থাপন করবে। তিনি ভয় পাচ্ছেন, তার মতো কাজ আর ভবিষ্যতে প্রয়োজন নাও হতে পারে। পরিস্থিতি খারাপ হলে কর্মী ছাঁটাইও শুরু হতে পারে।

সমীক্ষার ফলাফল: চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা

কোম্পানি শিক্ষাদান প্রতিষ্ঠান হিউনেটের এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৪৬ জন অফিস কর্মীর প্রায় অর্ধেকই আগামী এক বছরে চাকরি ও কর্মসংস্থানের পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হিসেবে ৫১.৬ শতাংশ উত্তরদাতা শিল্প ও বাজার প্রবৃদ্ধির ধীরগতি উল্লেখ করেছেন। এরপর রয়েছে এআই ও স্বয়ংক্রিয়তার বিস্তার (৩৪.১ শতাংশ), সাংগঠনিক পুনর্গঠন (৩৩.১ শতাংশ) এবং কাজের ধরন ও দায়িত্বের পরিবর্তন (২০.৯ শতাংশ)।

বিকল্প ভাবনায় কর্মীরা

লিম বলেন, তিনি সামাজিক কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নেবার কথা ভাবছেন। কারণ, জনসংখ্যার বার্ধক্যের কারণে এ ধরনের পেশার চাহিদা এআই যুগেও টিকে থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তথ্য বলছে, অনেকেই এখন এআইকে কেবল দক্ষতার উপকরণ নয় বরং, শ্রমবাজার ও সমাজের কাঠামো পাল্টে দেওয়া এক শক্তিশালী উপাদান হিসেবে দেখছেন।

এআই নিয়ে আশঙ্কা

কোরিয়া প্রেস ফাউন্ডেশনের ১৭ সেপ্টেম্বরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ থেকে ৬০ বছর-বয়সী জেনারেটিভ এআই সম্পর্কে সচেতন ১,০০০ জনের মধ্যে ৮৭.২ শতাংশই উদ্বিগ্ন যে এআই তাদের চাকরি কেড়ে নিতে পারে।
স্যামিল PwC বিজনেস রিসার্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি ইউন-ইয়ং বলেন, আগের প্রযুক্তির তুলনায় এআইয়ের সীমাহীন সম্প্রসারণ ক্ষমতা জ্ঞানভিত্তিক চাকরিতেও প্রভাব ফেলবে, যেগুলোতে উচ্চতর ডিগ্রি বা বিশেষায়িত সনদ প্রয়োজন। এটি শ্রমবাজারে একেবারেই নতুন ধরনের ধাক্কা নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে যারা এআইকে সহযোগী হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে, তাদের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি হবে।

কোম্পানির প্রতি কর্মীদের প্রত্যাশা

এই পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কর্মীরা কেবল টিকে থাকার জন্য নয়, বরং উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের জন্যও কোম্পানিগুলোর প্রতি প্রত্যাশা প্রকাশ করছেন।
হিউনেটের সমীক্ষায় দেখা যায়, আগামী বছরের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নে কোম্পানির সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, এই প্রশ্নে সর্বাধিক উল্লেখিত শব্দ ছিল প্রবৃদ্ধি (৩১.৯ শতাংশ)। এরপর রয়েছে উদ্ভাবন (২৬.৪ শতাংশ), টিকে থাকা (২৫.৩ শতাংশ), অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা (১১ শতাংশ) এবং রূপান্তর (৫.৪ শতাংশ)।
হিউনেটের এক কর্মকর্তা বলেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে কর্মীরা যদিও উদ্বিগ্ন, তবুও তারা চাইছে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু স্বল্পমেয়াদী বেঁচে থাকা নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রস্তুতির দায়িত্বও নিক।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

এআই ঝড়ে কাঁপছে কর্মসংস্থান: কোরিয়ায় চাকরি হারানোর ভয় বাড়ছে

০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অনিশ্চয়তার মধ্যে কর্মীরা

সিউলের একটি কনটেন্ট তৈরির প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটের কারণে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করেছে। এতে কোম্পানির ৩০ বছর-বয়সী কনটেন্ট নির্মাতা লিম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, কোম্পানি খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, এমনকি ক্ষুদ্র খরচও কাটছাঁট করা হচ্ছে, সবাই বলছে এআই সবকিছুই প্রতিস্থাপন করবে। তিনি ভয় পাচ্ছেন, তার মতো কাজ আর ভবিষ্যতে প্রয়োজন নাও হতে পারে। পরিস্থিতি খারাপ হলে কর্মী ছাঁটাইও শুরু হতে পারে।

সমীক্ষার ফলাফল: চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা

কোম্পানি শিক্ষাদান প্রতিষ্ঠান হিউনেটের এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৪৬ জন অফিস কর্মীর প্রায় অর্ধেকই আগামী এক বছরে চাকরি ও কর্মসংস্থানের পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হিসেবে ৫১.৬ শতাংশ উত্তরদাতা শিল্প ও বাজার প্রবৃদ্ধির ধীরগতি উল্লেখ করেছেন। এরপর রয়েছে এআই ও স্বয়ংক্রিয়তার বিস্তার (৩৪.১ শতাংশ), সাংগঠনিক পুনর্গঠন (৩৩.১ শতাংশ) এবং কাজের ধরন ও দায়িত্বের পরিবর্তন (২০.৯ শতাংশ)।

বিকল্প ভাবনায় কর্মীরা

লিম বলেন, তিনি সামাজিক কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নেবার কথা ভাবছেন। কারণ, জনসংখ্যার বার্ধক্যের কারণে এ ধরনের পেশার চাহিদা এআই যুগেও টিকে থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তথ্য বলছে, অনেকেই এখন এআইকে কেবল দক্ষতার উপকরণ নয় বরং, শ্রমবাজার ও সমাজের কাঠামো পাল্টে দেওয়া এক শক্তিশালী উপাদান হিসেবে দেখছেন।

এআই নিয়ে আশঙ্কা

কোরিয়া প্রেস ফাউন্ডেশনের ১৭ সেপ্টেম্বরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ থেকে ৬০ বছর-বয়সী জেনারেটিভ এআই সম্পর্কে সচেতন ১,০০০ জনের মধ্যে ৮৭.২ শতাংশই উদ্বিগ্ন যে এআই তাদের চাকরি কেড়ে নিতে পারে।
স্যামিল PwC বিজনেস রিসার্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি ইউন-ইয়ং বলেন, আগের প্রযুক্তির তুলনায় এআইয়ের সীমাহীন সম্প্রসারণ ক্ষমতা জ্ঞানভিত্তিক চাকরিতেও প্রভাব ফেলবে, যেগুলোতে উচ্চতর ডিগ্রি বা বিশেষায়িত সনদ প্রয়োজন। এটি শ্রমবাজারে একেবারেই নতুন ধরনের ধাক্কা নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে যারা এআইকে সহযোগী হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে, তাদের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি হবে।

কোম্পানির প্রতি কর্মীদের প্রত্যাশা

এই পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কর্মীরা কেবল টিকে থাকার জন্য নয়, বরং উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের জন্যও কোম্পানিগুলোর প্রতি প্রত্যাশা প্রকাশ করছেন।
হিউনেটের সমীক্ষায় দেখা যায়, আগামী বছরের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নে কোম্পানির সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, এই প্রশ্নে সর্বাধিক উল্লেখিত শব্দ ছিল প্রবৃদ্ধি (৩১.৯ শতাংশ)। এরপর রয়েছে উদ্ভাবন (২৬.৪ শতাংশ), টিকে থাকা (২৫.৩ শতাংশ), অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা (১১ শতাংশ) এবং রূপান্তর (৫.৪ শতাংশ)।
হিউনেটের এক কর্মকর্তা বলেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে কর্মীরা যদিও উদ্বিগ্ন, তবুও তারা চাইছে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু স্বল্পমেয়াদী বেঁচে থাকা নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রস্তুতির দায়িত্বও নিক।