চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬)-এর প্রথম কিস্তি হিসেবে সরকার রপ্তানিকারকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দিয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়। এরপর হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ডেবিট নির্দেশ জারি করে।
শর্তসাপেক্ষ সহায়তা
আগের মতো এবারও কিছু শর্ত মেনে প্রণোদনা বিতরণ করা হবে। নির্দিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে কেবল যোগ্য রপ্তানিকারকেরাই এই অর্থ পাবেন। ব্যাংকগুলো এই টাকা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। নিয়ম ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা রপ্তানিকারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব
ব্যাংকগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণোদনার অর্থ ছাড় করবে, যাতে যোগ্য রপ্তানিকারকেরা সহজে তা গ্রহণ করতে পারেন।
যেসব খাত প্রণোদনা পাবে
রপ্তানিমুখী কয়েকটি খাত এই সহায়তা পাবে। এর মধ্যে রয়েছে —
- তৈরি পোশাক
- হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ
- চামড়াজাত পণ্য
- পাট ও পাটজাত সামগ্রী
সরকার জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৩টি খাতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রণোদনার হার
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রপ্তানি পণ্যের ধরন অনুযায়ী নগদ প্রণোদনার হার সর্বনিম্ন ০.৩ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই হার জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও একইভাবে ৪৩টি খাতে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সহায়তা পাবে যেসব খাত
যেসব খাত সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পাবে, সেগুলো হলো —
- শাকসবজি ও ফলমূল
- প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য
- বৈচিত্র্যময় পাটজাত সামগ্রী
- শতভাগ হালাল মাংস ও মাংসজাত পণ্য
- অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি
- চামড়াজাত সামগ্রী
- আলুর খোসাজাত পণ্য
- লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত
বাজেটে বরাদ্দ
চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬)-এ ভর্তুকি ও প্রণোদনার জন্য সরকার মোট ৮৯ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।