১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

নরসিংদীতে চাঁদাবাজ ধরতে গিয়ে হামলার শিকার এএসপি

ঘটনাটি কোথায় এবং কিভাবে ঘটল

নরসিংদী শহরে চাঁদাবাজ ধরতে গিয়ে একদল দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী পৌরসভার আরশিনগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এএসপি আনোয়ার হোসেন দেখেন, কিছু ব্যক্তি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহন থেকে টাকা আদায় করছে। তিনি সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দুজনকে আটক করেন। এ সময় হঠাৎ ৩০-৪০ জন লোক তাকে আক্রমণ করে। হামলাকারীরা তাকে পেটাতে থাকে, এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।


স্থানীয়দের ভূমিকা ও উদ্ধার অভিযান

স্থানীয় মানুষ ও সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা এএসপিকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারিদা গুলশানা কবির জানান, তার ঘাড় ও পায়ে আঘাতজনিত রক্ত জমাট বাঁধাসহ গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


হামলার অভিযোগ ও অস্বীকার

আহত এএসপি আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, হামলাকারীরা পৌরসভার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে অবৈধভাবে টোল আদায়ের সঙ্গে জড়িত।

তবে পৌরসভার অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লিজগ্রহীতা মো. আলমগীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কেউ পুলিশকে আক্রমণ করেনি। আমরা পৌরসভার নিয়ম মেনে টাকা আদায় করছিলাম। হয়তো কোনো ভুল বোঝাবুঝির কারণে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, কিন্তু হামলার খবর মিথ্যা।”


পুলিশের অবস্থান

এ ঘটনার বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কালিমুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন ধরেননি।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে চাঁদাবাজ ধরতে গিয়ে হামলার শিকার এএসপি

০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

ঘটনাটি কোথায় এবং কিভাবে ঘটল

নরসিংদী শহরে চাঁদাবাজ ধরতে গিয়ে একদল দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী পৌরসভার আরশিনগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এএসপি আনোয়ার হোসেন দেখেন, কিছু ব্যক্তি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহন থেকে টাকা আদায় করছে। তিনি সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দুজনকে আটক করেন। এ সময় হঠাৎ ৩০-৪০ জন লোক তাকে আক্রমণ করে। হামলাকারীরা তাকে পেটাতে থাকে, এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।


স্থানীয়দের ভূমিকা ও উদ্ধার অভিযান

স্থানীয় মানুষ ও সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা এএসপিকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারিদা গুলশানা কবির জানান, তার ঘাড় ও পায়ে আঘাতজনিত রক্ত জমাট বাঁধাসহ গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


হামলার অভিযোগ ও অস্বীকার

আহত এএসপি আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, হামলাকারীরা পৌরসভার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে অবৈধভাবে টোল আদায়ের সঙ্গে জড়িত।

তবে পৌরসভার অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লিজগ্রহীতা মো. আলমগীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কেউ পুলিশকে আক্রমণ করেনি। আমরা পৌরসভার নিয়ম মেনে টাকা আদায় করছিলাম। হয়তো কোনো ভুল বোঝাবুঝির কারণে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, কিন্তু হামলার খবর মিথ্যা।”


পুলিশের অবস্থান

এ ঘটনার বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কালিমুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন ধরেননি।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।