১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

চার বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চে পৌঁছবে দারিদ্র্যের হার

সমকালের একটি শিরোনাম “পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি”

তিস্তা এখন শান্ত। কিন্তু উত্তরের চার জেলার মানুষের জীবনে ক্ষতচিহ্ন এখনও তাজা। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও নীলফামারীর তিস্তাপারে পানি কমলেও জনজীবনে দুর্ভোগ থামেনি। কোথাও ডুবে আছে আমনের ক্ষেত, কোথাও সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন গ্রাম। অনেকের ঘরে এখনও হাঁটু পানি, বাঁধের ওপর পলিথিন মোড়ানো ঘরে রাত কাটাচ্ছেন তারা।

রোববার রাতের প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে এক রাতে তিস্তায় পানি বিপৎসীমা ছুঁয়ে যায়। ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা (৫২.১৫ মিটার) পেরিয়ে ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে পানি। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সব খুলে দেওয়া হয়। ফলে ভাটির তিন জেলা প্লাবিত হয় এবং অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এখন পানি নেমেছে, কিন্তু আটকে পড়া পানি জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া, নরশিং ও তালপট্টি চরে এখনও বন্যার পানি আটকা। ভাঙা সড়কে স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ। ডুবে আছে অন্তত ১০০ একর জমির আমনের ক্ষেত। স্থানীয় কৃষক নয়া মিয়া বলেন, চারা তলিয়ে গেছে। পানি না নামলে আর চাষ করা যাবে না।
হাজিরপাড়ার শাহিদা বেগমের ভয়, ‘বাড়ির চারপাশে এখনও পানি। বাচ্চারা বাইরে বের হলে ভয় লাগে, কখন যে পড়ে যায়!’

মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুর রহিম জানান, এক দিনের বন্যায় তিনটি পাকা সড়ক ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকেছে। পানি নেমে গেলেও বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় পুরো ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ”

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে পদত্যাগ করানো অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, জোরপূর্বক পদত্যাগকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের তদন্ত চলমান থাকলেও তাঁদের অনেকের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তপূর্বক অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন।

আরও বলা হয়, জোরপূর্বক পদত্যাগ করা শিক্ষকদের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে বেতন-ভাতা চালু এবং কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ যদি বেতন-ভাতা চালুর ক্ষেত্রে অসহযোগিতা বা বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে অনেক শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।

এ ছাড়া অপর এক অফিস আদেশে জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “চার বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চে পৌঁছবে দারিদ্র্যের হার”

বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ২০২৪ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে চলতি বছর ২১ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছবে, যা কভিড-পরবর্তী সময় তথা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে দেশের শ্রমবাজারের দুর্বল চিত্র উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ দেশে কর্মক্ষম জনশক্তির মধ্যে যারা কর্মে নিয়োজিত ছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এ পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান ও কর্মক্ষম জনসংখ্যার অনুপাত ২ দশমিক ১ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ; ২০২৩ সালে ১৯ দশমিক ২ এবং ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাত পুনর্গঠন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখা এবং নীতিগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে এবং দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এর আগে দেশে দারিদ্র্য বাড়ার তথ্য দিয়েছিল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিবিএসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে খানা আয়-ব্যয় জরিপ অনুযায়ী দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে পিপিআরসির সমীক্ষায় উঠে এসেছে দেশের দারিদ্র্য বেড়ে ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২২ সালে এ হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। সংস্থাটির সমীক্ষায় অতিদারিদ্র্যের হার ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাঁচ হাজার লোকের টেলিফোনে সাক্ষাৎকার নিয়ে বললেন দারিদ্র্য বেড়ে গেছে। এগুলো তো আমি জানি। তাত্ত্বিক দিকে এখন যাব না। দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, দারিদ্র্য আছে—এগুলো বলতে হলে অনেক বক্তব্য দিতে হবে। আমি তো জানি কীভাবে ওরা দারিদ্র্য পরিমাপ করে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বিএনপি সরকারের সময় সাংবাদিকদের গুম-নির্যাতন করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না”

ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি’র অতীত সরকারের সময় যেরকম সাংবাদিকদের গুম করা হয়নি, সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়নি, সাংবাদিকদের দেশ ছেড়ে যেতে হয়নি, বাধ্য হতে হয়নি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না। বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। দুই পর্বে প্রকাশিত দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। এতে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, বিএনপি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ভারত প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে দেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, আমাদের কিছু করার নাই। ভবিষ্যতে সরকার পরিচালনার সুযোগ পেলে চলমান ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে হওয়া ঐকমত্যের বিষয়ে ওপর জোর দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিএনপি’র অগ্রাধিকার বিষয় হলো সবার আগে দেশ। বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সাক্ষাৎকার দেন তারেক রহমান।

সাক্ষাৎকারটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
বিবিসি বাংলা: যে সরকার এখন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?
তারেক রহমান: বিষয়টি তো রাজনৈতিক। এটি তো কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়। আমরা প্রথম থেকে যে কথাটি বলেছি যে, আমরা চাই, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল হোক। অর্থাৎ অনেক কিছুর মতো বিভিন্ন বিষয় আছে- যেমন আমরা যদি মূল দুটো বিষয় বলি যে, কিছু সংস্কারের বিষয় আছে, একই সঙ্গে প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বাধীন নির্বাচনের একটি বিষয় আছে।
মূলত কিছু সংস্কারসহ যেই সংস্কারগুলো না করলেই নয়, এরকম সংস্কারসহ একটি স্বাভাবিক, সুষ্ঠু, স্বাধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই হচ্ছে বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। আমরা প্রত্যাশা করি যে, উনারা উনাদের উপরে যেটা মূল দায়িত্ব, সেটি উনারা সঠিকভাবে সম্পাদন করবেন। এটাই তো উনাদের কাছে আমাদের চাওয়া রাজনৈতিক দল হিসেবে।

আমরা আশা রাখি, প্রত্যাশা করি যে, উনারা করবেন কাজটি সুন্দরভাবে। স্বাভাবিকভাবে এই কাজটির সৌন্দর্য বা কতোটুকু ভালো, বা মন্দভাবে করতে পারছেন, তার ওপরেই মনে হয় সম্পর্কের উষ্ণতা বা শীতলতা যেটাই বলেন, সেটা নির্ভর করবে।

বিবিসি বাংলা: আপনি কয়েক মাস আগে একটি মন্তব্য করেছিলেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আপনার এই মন্তব্যটি নিয়ে আমি প্রধান উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তার একটি সাক্ষাৎকারে যে, এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া কি? তিনি তখন বলেছিলেন যে সন্দেহটা উনার মনে। অর্থাৎ আপনার মনে আছে কি-না সেটা তিনি জানতে চান। আপনার মনে কি সেই সন্দেহ আছে?
তারেক রহমান: দেখুন আমি যখন এই কথাটি বলেছিলাম, এই মুহূর্তে আমার যতটুকু মনে পড়ে সেই সময় পর্যন্ত ওনারা কিন্তু নির্বাচনের ব্যাপারে সঠিক কোনো টাইম ফ্রেম বা কোনো কিছু বলেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

চার বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চে পৌঁছবে দারিদ্র্যের হার

০৮:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি”

তিস্তা এখন শান্ত। কিন্তু উত্তরের চার জেলার মানুষের জীবনে ক্ষতচিহ্ন এখনও তাজা। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও নীলফামারীর তিস্তাপারে পানি কমলেও জনজীবনে দুর্ভোগ থামেনি। কোথাও ডুবে আছে আমনের ক্ষেত, কোথাও সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন গ্রাম। অনেকের ঘরে এখনও হাঁটু পানি, বাঁধের ওপর পলিথিন মোড়ানো ঘরে রাত কাটাচ্ছেন তারা।

রোববার রাতের প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে এক রাতে তিস্তায় পানি বিপৎসীমা ছুঁয়ে যায়। ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা (৫২.১৫ মিটার) পেরিয়ে ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে পানি। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সব খুলে দেওয়া হয়। ফলে ভাটির তিন জেলা প্লাবিত হয় এবং অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এখন পানি নেমেছে, কিন্তু আটকে পড়া পানি জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া, নরশিং ও তালপট্টি চরে এখনও বন্যার পানি আটকা। ভাঙা সড়কে স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ। ডুবে আছে অন্তত ১০০ একর জমির আমনের ক্ষেত। স্থানীয় কৃষক নয়া মিয়া বলেন, চারা তলিয়ে গেছে। পানি না নামলে আর চাষ করা যাবে না।
হাজিরপাড়ার শাহিদা বেগমের ভয়, ‘বাড়ির চারপাশে এখনও পানি। বাচ্চারা বাইরে বের হলে ভয় লাগে, কখন যে পড়ে যায়!’

মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুর রহিম জানান, এক দিনের বন্যায় তিনটি পাকা সড়ক ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকেছে। পানি নেমে গেলেও বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় পুরো ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ”

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে পদত্যাগ করানো অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, জোরপূর্বক পদত্যাগকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের তদন্ত চলমান থাকলেও তাঁদের অনেকের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তপূর্বক অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন।

আরও বলা হয়, জোরপূর্বক পদত্যাগ করা শিক্ষকদের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে বেতন-ভাতা চালু এবং কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ যদি বেতন-ভাতা চালুর ক্ষেত্রে অসহযোগিতা বা বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে অনেক শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।

এ ছাড়া অপর এক অফিস আদেশে জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “চার বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চে পৌঁছবে দারিদ্র্যের হার”

বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ২০২৪ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে চলতি বছর ২১ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছবে, যা কভিড-পরবর্তী সময় তথা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে দেশের শ্রমবাজারের দুর্বল চিত্র উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ দেশে কর্মক্ষম জনশক্তির মধ্যে যারা কর্মে নিয়োজিত ছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এ পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান ও কর্মক্ষম জনসংখ্যার অনুপাত ২ দশমিক ১ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ; ২০২৩ সালে ১৯ দশমিক ২ এবং ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাত পুনর্গঠন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখা এবং নীতিগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে এবং দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এর আগে দেশে দারিদ্র্য বাড়ার তথ্য দিয়েছিল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিবিএসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে খানা আয়-ব্যয় জরিপ অনুযায়ী দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে পিপিআরসির সমীক্ষায় উঠে এসেছে দেশের দারিদ্র্য বেড়ে ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২২ সালে এ হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। সংস্থাটির সমীক্ষায় অতিদারিদ্র্যের হার ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাঁচ হাজার লোকের টেলিফোনে সাক্ষাৎকার নিয়ে বললেন দারিদ্র্য বেড়ে গেছে। এগুলো তো আমি জানি। তাত্ত্বিক দিকে এখন যাব না। দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, দারিদ্র্য আছে—এগুলো বলতে হলে অনেক বক্তব্য দিতে হবে। আমি তো জানি কীভাবে ওরা দারিদ্র্য পরিমাপ করে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বিএনপি সরকারের সময় সাংবাদিকদের গুম-নির্যাতন করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না”

ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি’র অতীত সরকারের সময় যেরকম সাংবাদিকদের গুম করা হয়নি, সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়নি, সাংবাদিকদের দেশ ছেড়ে যেতে হয়নি, বাধ্য হতে হয়নি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না। বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। দুই পর্বে প্রকাশিত দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। এতে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, বিএনপি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ভারত প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে দেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, আমাদের কিছু করার নাই। ভবিষ্যতে সরকার পরিচালনার সুযোগ পেলে চলমান ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে হওয়া ঐকমত্যের বিষয়ে ওপর জোর দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিএনপি’র অগ্রাধিকার বিষয় হলো সবার আগে দেশ। বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সাক্ষাৎকার দেন তারেক রহমান।

সাক্ষাৎকারটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
বিবিসি বাংলা: যে সরকার এখন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?
তারেক রহমান: বিষয়টি তো রাজনৈতিক। এটি তো কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়। আমরা প্রথম থেকে যে কথাটি বলেছি যে, আমরা চাই, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল হোক। অর্থাৎ অনেক কিছুর মতো বিভিন্ন বিষয় আছে- যেমন আমরা যদি মূল দুটো বিষয় বলি যে, কিছু সংস্কারের বিষয় আছে, একই সঙ্গে প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বাধীন নির্বাচনের একটি বিষয় আছে।
মূলত কিছু সংস্কারসহ যেই সংস্কারগুলো না করলেই নয়, এরকম সংস্কারসহ একটি স্বাভাবিক, সুষ্ঠু, স্বাধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই হচ্ছে বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। আমরা প্রত্যাশা করি যে, উনারা উনাদের উপরে যেটা মূল দায়িত্ব, সেটি উনারা সঠিকভাবে সম্পাদন করবেন। এটাই তো উনাদের কাছে আমাদের চাওয়া রাজনৈতিক দল হিসেবে।

আমরা আশা রাখি, প্রত্যাশা করি যে, উনারা করবেন কাজটি সুন্দরভাবে। স্বাভাবিকভাবে এই কাজটির সৌন্দর্য বা কতোটুকু ভালো, বা মন্দভাবে করতে পারছেন, তার ওপরেই মনে হয় সম্পর্কের উষ্ণতা বা শীতলতা যেটাই বলেন, সেটা নির্ভর করবে।

বিবিসি বাংলা: আপনি কয়েক মাস আগে একটি মন্তব্য করেছিলেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আপনার এই মন্তব্যটি নিয়ে আমি প্রধান উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তার একটি সাক্ষাৎকারে যে, এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া কি? তিনি তখন বলেছিলেন যে সন্দেহটা উনার মনে। অর্থাৎ আপনার মনে আছে কি-না সেটা তিনি জানতে চান। আপনার মনে কি সেই সন্দেহ আছে?
তারেক রহমান: দেখুন আমি যখন এই কথাটি বলেছিলাম, এই মুহূর্তে আমার যতটুকু মনে পড়ে সেই সময় পর্যন্ত ওনারা কিন্তু নির্বাচনের ব্যাপারে সঠিক কোনো টাইম ফ্রেম বা কোনো কিছু বলেননি।