গামবেলার কুলে ক্যাম্পসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় জুলাইয়ে ম্যালেরিয়া রোগী এক মাসে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ক্যাম্প-নির্ভর ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ ও আরডিটি কিটের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ‘টেস্ট-ট্রিট-ট্র্যাক’ চক্র ভেঙে পড়ছে। একদিকে বর্ষা, অন্যদিকে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা কমে যাওয়ায় দুর্বল ইমিউনিটি—সব মিলিয়ে শিশু ও গর্ভবতীদের ঝুঁকি তীব্র।
মাঠের চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগী প্রবাহ সামলাতে অতিরিক্ত শিফট চালু হলেও বেড ও স্টাফ সীমিত। প্রতিবেশী ক্যাম্পের সেবাও সংকুচিত হওয়ায় রোগী ‘ওভারফ্লো’ হয়ে এক কেন্দ্রে জমছে। ফলে জট, অপেক্ষা ও অপূর্ণ চিকিৎসা—তিনটিই বাড়ছে।
করতে হবে কী
বৃষ্টিপ্রধান মাসে কিট, এসিটি ও স্যালাইন মজুত বাড়ানো, শিশুদের প্রতিরোধী মশারি বিতরণ ও বাড়িভিত্তিক ফলোআপ জরুরি। ক্যাম্পগুলোর মাঝে রোগী রেফারাল ও ডেটাশেয়ারিং সক্রিয় করলে ওভারফ্লো কমবে।
আগামীর হিসাব
বরাদ্দ না বাড়লে শীতের আগে দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে। খাদ্য সহায়তার কাটছাঁট চলতে থাকলে অ্যানিমিয়া ও অপুষ্টি-জটিলতা ম্যালেরিয়ার মৃত্যুঝুঁকি আরও বাড়াবে।