কেনিয়ায় এমপক্স শনাক্ত ও কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং মন্থর হয়েছে সরঞ্জাম ও কিটের ঘাটতিতে। একই সঙ্গে ম্যালেরিয়ার মৌসুমে ইনসেক্টিসাইড, মশারি ও টেস্ট কিট পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় প্রাথমিক ক্লিনিকগুলো চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলাফল—দ্রুত শনাক্ত না হওয়ায় সংক্রমণ চক্র দীর্ঘ হচ্ছে, এলাকায় এলাকায় ‘ক্লাস্টার’ তৈরি হচ্ছে।
গ্রামীণ ও অনানুষ্ঠানিক বসতিগুলোতে পরিস্থিতি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। টিকাদান কাভারেজে পতন, সচেতনতা প্রচার কমে যাওয়া এবং ক্লিনিকে স্টাফ ঘাটতি—সব মিলিয়ে রোগীরা দেরিতে আসছেন। স্থানীয় এনজিওগুলো বলছে, এমপক্সের পাশাপাশি জ্বর-র্যাশের রোগীদের ম্যালেরিয়া/ডেঙ্গু থেকে পৃথক করা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ পরীক্ষাগার ক্ষমতা সীমিত।
প্রাথমিক করণীয়
উচ্চঝুঁকিপূর্ণ কাউন্টিগুলোতে দ্রুত র্যাপিড ডায়াগনস্টিক কিট সরবরাহ, ফিল্ড টিম পুনর্বিন্যাস এবং কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে ডিজিটাল রিপোর্টিং চালু করা দরকার। একই সঙ্গে কমিউনিটি পর্যায়ে ঝুঁকি যোগাযোগ ও সুরক্ষা সামগ্রী দিতে হবে।
আগামী সপ্তাহগুলোর ঝুঁকি
বৃষ্টি ও মশাবাহিত রোগের মৌসুমে বিলম্বিত সরবরাহ চলতে থাকলে হাসপাতাল ভর্তি ও মৃত্যু বাড়তে পারে। জরুরি ‘ব্রিজ ফান্ডিং’ ও আন্তর্জাতিক সমন্বয় না হলে এমপক্সের পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার ঊর্ধ্বগতি থামানো কঠিন হবে।