আফ্রিকা জুড়ে জনস্বাস্থ্যের অগ্রগতি থমকে গেছে—অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল, অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ও টিকাদান সরঞ্জাম পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে জীবনরক্ষাকারী কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় ক্লিনিক বন্ধ বা সেবা কমিয়েছে। এতে ম্যালেরিয়া, ডিপথেরিয়া, হামসহ প্রতিরোধযোগ্য রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে। মাঠপর্যায়ের সংস্থাগুলো বলছে, সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়ায় রোগী শনাক্তকরণ ও ওষুধ বিতরণ ব্যাহত হচ্ছে।
এই ঘাটতির প্রভাব শুধু হাসপাতালেই থেমে নেই; শরণার্থী ক্যাম্প, সীমান্তাঞ্চল ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি চিকিৎসা ও পুষ্টি সহায়তাও কমেছে। দীর্ঘদিনের এইজন্য গড়ে ওঠা স্বাস্থ্যকাঠামোতে ‘ডোমিনো ইফেক্ট’ দেখা দিচ্ছে—এক জায়গায় ঘাটতি অন্য সেবাকেও দুর্বল করছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, বাজেট সংকোচন চলতে থাকলে টিকাদান কাভারেজ কমবে, ওষুধ-প্রতিরোধী সংক্রমণ বাড়বে এবং প্রজননস্বাস্থ্য সেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
সহায়তা কমার অর্থ কী
রোগ প্রতিরোধ, পরীক্ষাগার সক্ষমতা ও কমিউনিটি হেলথওয়ার্কারদের ভাতা কাটছাঁটে নজরদারি দুর্বল হচ্ছে। নিয়মিত সরবরাহ না থাকায় রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত; ফলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে এবং পূর্বের সাফল্য—যেমন এইডস, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ—হুমকিতে পড়ছে।
পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে
স্বাস্থ্যখাতে স্থানীয় বাজেট বাড়ানো ও বহুপাক্ষিক বিকল্প তহবিল সক্রিয় করা না গেলে সংক্রমণ তরঙ্গ থামবে না। জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহ পুনরুদ্ধার, উচ্চঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোয় লক্ষ্যভিত্তিক টিকাদান এবং শরণার্থী ক্যাম্পে মোবাইল ক্লিনিক বাড়ানোই এখন অগ্রাধিকার।