প্ল্যাটফর্ম, বিজ্ঞাপন ও নীতির চাপ—একসঙ্গে তিন ফ্রন্টে লড়াই
সার্চ, ক্লাউড ও অ্যান্ড্রয়েডে গুগলের সামনে একই দ্বন্দ্ব—দ্রুত ফিচার আনতে হবে, কিন্তু আস্থা বা আইন ভাঙা চলবে না। নতুন জেনারেটিভ ফিচার আসছে, একই সময়ে আদালত ও নিয়মকানুনের চাপ বাড়ছে। ব্যবহারকারীকে বোঝাতে হচ্ছে—এআই ফল নির্ভরযোগ্য, বিজ্ঞাপনদাতাকে আশ্বস্ত করতে হচ্ছে—মাপঝোক ভাঙবে না, আর নীতিনির্ধারকদের দেখাতে হচ্ছে—নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর। গত বছর মডেল রিলিজ, কনটেন্ট বিতর্ক ও অ্যাড-টেক মামলার ঢেউ গুগলের গতিপথ বদলে দিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা গতি চান; ব্যবহারকারীরা স্থিরতা; ভুল হলে দায় ও সংশোধনের পথ—সবাই সেটাই দেখতে চায়।
গুগল ভুল কমাতে উৎস শনাক্তকরণ ও ক্ষতিকর আউটপুট সীমায় কাজ করছে। সার্চ ফল, ডকস ও অ্যান্ড্রয়েড সহকারী—চেনা জায়গায় নিয়ন্ত্রিতভাবে এআই মিশছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপন স্ট্যাককে ঘিরে আদালতের সম্ভাব্য প্রতিকার ডেটা প্রবাহ বদলাতে পারে, যা এআই মডেলের প্রশিক্ষণ ও আয়—দুই দিকেই প্রভাব ফেলবে। কোম্পানি এখন ধাপে ধাপে রোলআউট, হিউম্যান-ইন-দ্য-লুপ রিভিউ ও স্পষ্ট ডেটা/ডিলিট নীতির ওপর জোর দিচ্ছে।
ব্যবহারকারী, নির্মাতা ও প্রতিযোগীদের জন্য অর্থ
ব্যবহারকারী দেখবে—চেনা ইন্টারফেসেই আরও এআই উত্তর, স্পষ্ট লেবেল ও অপ্ট-আউট। নির্মাতা ও প্রকাশকদের প্রশ্ন—সারাংশ দিলে ট্র্যাফিক থাকবে কি? গুগল লিঙ্কিং ও অ্যাট্রিবিউশন উন্নত করা, এবং প্রশিক্ষণে ব্লক টুল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এন্টারপ্রাইজ খাতে প্রাইভেট ডেটা বাউন্ডারি, অডিট লগ ও মডেল পছন্দ—‘রিস্ক-ম্যানেজড এআই’ই বিক্রি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ তীব্র হওয়ায় প্রতিটি ভুলের খরচ বাড়ে, প্রতিদ্বন্দ্বীরা সেটি কাজে লাগায়। তাই বড় ঝাঁপ নয়—ছোট কিন্তু নিরাপদ আপডেটের ধারাই মূল কৌশল। পুরোপুরি কথোপকথনভিত্তিক সার্চ তখনই আসবে, যখন ভুলের হার, কপিরাইট নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতি মিলবে। ততদিন দড়ির উপর হাঁটাই বাস্তবতা—উদ্ভাবন, তবে আস্থা বজায় রেখে।