মাদ্রিদের পাল্টা যুক্তি ও জোটে বাস্তব অবদান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পেনকে ন্যাটোর “ল্যাগার্ড” বলে আখ্যা দিয়ে বহিষ্কারের কথাও তুলেছেন। জবাবে মাদ্রিদ জানিয়েছে—তারা “অঙ্গীকারবদ্ধ ও বিশ্বস্ত” মিত্র, যে বহু ন্যাটো মিশনে বাস্তব সক্ষমতা দিয়েছে। পুরনো বোঝাপড়ার এই বিতর্কে নতুন মাত্রা—ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ওয়াশিংটনের কড়া অবস্থান। স্পেন দীর্ঘদিন গড়ের নিচে খরচ করেছে, তবে সরকার বলছে ২% জিডিপি লক্ষ্য ধরার পথে বাজেট বাড়ানো হচ্ছে এবং লাতভিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর—বহু মিশনে সেনা মোতায়েন, প্রশিক্ষণ ও ইউক্রেনকে সহায়তা তাদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ।
আগামী পথ ও রাজনৈতিক চাপ
ন্যাটো থেকে সদস্য বহিষ্কার বাস্তবে সম্ভাবনা কম; তাছাড়া জোটের বার্তাও দুর্বল হবে। কিন্তু চাপ থাকবে। সদস্যদের জন্য ২% এখন “মেঝে”, অর্থাৎ সর্বনিম্ন প্রত্যাশিত ব্যয়। স্পেনের সামনে দ্বৈত চ্যালেঞ্জ—দ্রুত প্রোকিউরমেন্ট এগোনো ও সক্ষমতা ডেলিভারি নিশ্চিত করা। জোটসঙ্গীদের মতে, হঠাৎ ব্যয় বাড়ালে সরবরাহশৃঙ্খলে চাপ বাড়ে; তাই বহু বছরে ছড়িয়ে দেওয়া চুক্তি, সহ-উৎপাদন ও গোলাবারুদ মজুতের ওপর জোর জরুরি। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ও আর্টিলারি সহায়তাই এখন সবচেয়ে জরুরি মানদণ্ড। মাদ্রিদের বক্তব্য—শুধু শতাংশ নয়, মাঠে সক্ষমতার আউটপুট দিয়ে দায়বদ্ধতা মাপা উচিত। আসন্ন বাজেটে বাস্তব বরাদ্দ ও চুক্তি বাড়লে “ল্যাগার্ড” তকমা টেকে না; না হলে সমালোচনা ফের জোরদার হবে।