প্রথম ধাপের বিরতি ও মানবিক সহায়তা
মার্কিন-মধ্যস্থ নতুন সমঝোতার প্রথম ধাপ কার্যকর হতে শুরু করায় শনিবার হাজারো গাজাবাসী উত্তরাঞ্চলের পথে ফিরতে থাকেন। অনেকেই পায়ে হেঁটে, কেউ গাড়িতে বা গাধার গাড়িতে করে ভাঙাচোরা ঘরের খোঁজে রওনা হন। ইসরায়েলি বাহিনী কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে উপকূলীয় রাস্তা আংশিকভাবে উন্মুক্ত হয় এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো চলাচল বাড়ায়। এই প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি, ত্রাণ প্রবেশের গতি বাড়ানো এবং নিরাপত্তা যাচাই—এসবেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী ধাপগুলো জিম্মি বিনিময়, বন্দিমুক্তি ও আরও সামরিক প্রত্যাহারের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে যুক্ত থাকবে। আঞ্চলিক কূটনীতিকরা বলছেন, লঙ্ঘন ঠেকাতে নজরদারি ব্যবস্থাও পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ ও ঝুঁকির জায়গা
এখন মূল প্রশ্ন—বাস্তুচ্যুতদের টেকসই প্রত্যাবর্তন কীভাবে নিশ্চিত হবে, ত্রাণ করিডর কতটা প্রশস্ত হবে এবং পরবর্তী জিম্মি-বন্দি বিনিময় কোন গতিতে এগোবে। ইসরায়েল বলছে, আরও পিছু হটা ‘কমপ্লায়েন্স’ ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর নির্ভরশীল। হামাস জানিয়েছে, মানবিক প্রবাহ স্থায়ী না হলে এবং পুনর্গঠনের সুযোগ না বাড়লে তারা অগ্রসর হবে না। যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণে আছে; অংশীদার দেশগুলো লজিস্টিকস ও বিরোধ নিষ্পত্তির সমন্বয়কেন্দ্র চালাতে প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের সতর্কতা—বিচ্ছিন্ন সহিংসতা বা প্ররোচনা এই নাজুক বিরতিকে নড়বড়ে করতে পারে। পরিষেবা—পানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য—পুনরুদ্ধার কতটা বিস্তৃত হয় এবং রাজনৈতিক আলোচনায় অগ্রগতি হয় কি না, তার ওপরই স্থায়িত্ব নির্ভর করবে।