সমকালের একটি শিরোনাম “প্রথমবারের মতো সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু”
‘দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারাদেশে একযোগে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সারাদেশের ১০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই টিকা পাবে শিক্ষার্থীরা। আগামী দশদিন শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেওয়া হবে।
রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এক মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জন্মসনদ না থাকা শিশুরাও এই টিকার আওতায় আসবে, যাতে কেউ বাদ না পড়ে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশুদের মৃত্যু হয়— এটা আমাদের লজ্জার। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক কিছু আমরা প্রতিরোধ করেছি, এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হবো ইনশাআল্লাহ।
এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মোহাম্মদপুরের রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে টিকাদান কর্মসূচির ক্যাস্পেইন উদ্বোধন করেন।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “বিআরটি প্রকল্প: সাধারণ সড়কের জন্যই এত ভোগান্তি”
দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা থাকা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন ১৫ জন। অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন একজন। এ ১৬ জনের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি সবাই বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। কেবল কবীর আহাম্মদ বাহিনীর নির্দেশে সাড়া দেননি।
ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান। অবশ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখনো হাতে পায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘গত ৮ অক্টোবর আইসিটিতে প্রথম দুটি চার্জশিট জমা পড়ে। এরপর তৃতীয় আরেকটা চার্জশিট জমা পড়ে। এ সংবাদ আসা শুরু করে ওইদিন বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে। আমরা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি চার্জশিট জমা পড়েছে এবং ট্রাইব্যুনালে সেটি গৃহীত হয়েছে। চার্জশিটগুলোর মধ্যে একটা ছিল গুমসংক্রান্ত, যারা তখন (আওয়ামী লীগ আমল) ডিজিএফআইয়ে কর্মরত ছিলেন তাদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আরেকটা ছিল র্যাবের টিএফআই (টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন) নিয়ে। আর আরেকটা মামলা ছিল ৪-৫ আগস্টের রামপুরার ঘটনা নিয়ে। আদালতে চার্জশিট গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়ে গেল। পরে এ পরোয়ানা আইজিপির (পুলিশপ্রধান) কাছে চলে যায় নিয়ম অনুযায়ী এবং ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো চার্জশিট কিংবা গ্রেফতারি পরোয়ানা পাইনি।’
তিন মামলায় আসামি হওয়া ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে নয়জন অবসরে রয়েছেন বলে জানান মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন এলপিআরে, বাকি ১৫ জন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর কর্মরত ১৫ জন এবং এলপিআরে থাকা একজনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেনা সদরে জয়েন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা নির্দেশিত স্থানে যোগ দেন। তবে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ এতে সাড়া দেননি। পরে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি গত ৯ অক্টোবর আইনজীবীর কাছে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হলেও পরবর্তী সময়ে আর ফিরে আসেননি। তিনি সেনা সদরে জয়েনও করেননি। তবে কর্মরত বাকি ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
মানবজমিনের একটি শিরোন “এআই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ৭ শতাংশ চাকরিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে”
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশনের জেরে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশে ৭ শতাংশ চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এই রিপোর্টে এশিয়ার ৬টি দেশ ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে বিশ্বব্যাংক।
সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট, জবস, এআই ও ট্রেড’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মাঝারি শিক্ষিত এবং তরুণ কর্মীরা—বিশেষ করে ব্যবসায়িক পরিষেবা এবং তথ্য প্রযুক্তিতে যারা কর্মরত তাদের চাকরি প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে ঝুঁকির মুখে পূর্ণ ছিল।
বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে, বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির ১৫ শতাংশ চাকরি নিশ্চিহ্ন হতে পারে এআই আগ্রাসনে। একটা সময় আলোচনা ছিল—এআই আর যাই করুক সৃজনশীল হতে পারবে না। যদিও ছবি আঁকা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ, গল্প ও কবিতা লেখার মতো কাজও করে ফেলছে কৃত্রিম মেধা। যদিও নির্দিষ্ট একটি ছকে এই সমস্ত পারে এআই।
বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সংস্থাগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে অফিসের কাজ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে। যারা হিসাবের (অ্যাকাউন্টস) কাজকর্ম করেন বা গ্রাহক সহায়তা (কাস্টোমার সার্ভিস) পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাদের কাজ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। বিপদে পড়তে পারেন উচ্চ আয়ের দক্ষ কর্মীরা। জেনারেটিভ এআই যেমন, OpenAI-এর ChatGPT, Anthropic’s Claude, X’s Grok, Google এর Gemini, Microsoft-এর Copilot এবং DeepSeek— মানুষের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেনারেটিভ এআই-এর প্রবর্তন ইতিমধ্যেই সবচেয়ে উন্মুক্ত এবং সবচেয়ে প্রতিস্থাপনযোগ্য হোয়াইট-কলার পেশাগুলোর জন্য মাসিক চাকরির তালিকা প্রায় ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ভারতের অ-কৃষি শ্রম বাজার হোয়াইট-কলার কাজের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। ২০২৩ সালে ভারতের প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা বাজার ৫.৪ মিলিয়ন কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং জিডিপিতে ৭.৫ শতাংশ অবদান রেখেছে। যে চাকরির জন্য সর্বোচ্চ স্তরের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন সেগুলোতেও এখন মানুষের পরিপূরক হিসেবে এআই-এর কথা ভাবা হচ্ছে। রেখেছে। যে চাকরির জন্য সর্বোচ্চ স্তরের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন সেগুলোতেও এখন মানুষের পরিপূরক হিসেবে এআই-এর কথা ভাবা হচ্ছে।