০২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য পরবর্তী ফেড চেয়ারম্যান হ্যাসেট নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক বিতর্ক এশিয়ান অ্যাঙ্গল | ভিয়েতনামের মাদকবিরোধী পুলিশ এখন জেন-জেডের ভাষায় কথা বলছে, ফলও মিলছে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনই মুর্শিদাবাদে একই নামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সৌদিতে ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা: সিভিল ডিফেন্সের জরুরি নির্দেশ রংপুরের তারাগঞ্জে হিন্দু দম্পতি যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার সৌদিতে পর্যটন ব্যয় রেকর্ড ১০৫ বিলিয়ন রিয়াল, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে বড় উত্থান দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েল-সমর্থিত মিলিশিয়া প্রধান নিহত: পোস্ট-যুদ্ধ পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা ইউরোপের নতুন টেকসই আইন নিয়ে উপসাগরীয় উদ্বেগ: ইউরোপে ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়তে পারে গালফ কোম্পানিগুলো ইন্দোনেশিয়ায় ধ্বংস হওয়া ধানক্ষেত দ্রুত পুনর্গঠনের ঘোষণা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলল সেনাবাহিনী

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক সহায়তা—নতুন শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তা

বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এখন এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। মালয়েশিয়ার নতুন সিদ্ধান্ত—সব স্তরের শিক্ষার্থীর জন্য বছরে দুইবার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা—শিক্ষাব্যবস্থার মানবিক রূপান্তরের উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্থিতি, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন দিশা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এখন শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের নয়, বরং শিক্ষাব্যবস্থারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে। মালয়েশিয়া সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে—দেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য বছরে দুইবার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে শিক্ষানীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও জরুরি, কারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, সামাজিক চাপ ও পরীক্ষাভীতি ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।

 হেলদি মাইন্ড স্ক্রিনিং’ কর্মসূচি

মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রী ফাদলিনা সিদেক ঘোষণা করেছেন, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য বছরে দুইবার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ‘হেলদি মাইন্ড স্ক্রিনিং’ নামে এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল পর্যায়ে মানসিক সমস্যাগুলো আগে থেকেই শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিষণ্নতা বা মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ দেখা যাবে, তাদের দ্রুত সহায়তার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, কোনো শিশুর মানসিক কষ্ট অবহেলায় না থেকে দ্রুত চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের আওতায় আসতে পারে।”

পাঁচটি সংস্কার ক্ষেত্র: শিক্ষার মানবিক দিককে গুরুত্ব

ফাদলিনা সিদেকের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে—
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য।
প্রজনন ও সামাজিক স্বাস্থ্য শিক্ষা (যৌন সহিংসতা ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধে)।
শিশু সুরক্ষা নীতি।
শিক্ষকদের মানসিক সহায়তা ও যত্ন।
শিক্ষার্থীদের মতামত ও অংশগ্রহণ।

এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার এমন এক শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তুলতে চায়, যেখানে নিরাপত্তা, সহানুভূতি ও মানসিক সুস্থতা শিক্ষার মূল ভিত্তি হবে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট: নতুন প্রজন্মের মানসিক চাপ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হিসাব অনুযায়ী, প্রতি সাতজন কিশোরের একজন কোনো না কোনো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে স্কুলে ফেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও একাকিত্ব আরও বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানো, প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার চাপ ও পরিবারে যোগাযোগহীনতা এই সমস্যাকে জটিল করে তুলছে।

যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো ইতিমধ্যেই স্কুলে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং চালু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ‘Mental Health First Aid’ প্রোগ্রাম শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক সংকট চিহ্নিত করতে পারেন।

বাংলাদেশের বাস্তবতা: নীরব সংকটের মুখোমুখি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশেও মানসিক চাপের কারণে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা, বিষণ্নতা ও পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার ঘটনা বাড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত মনোবৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা থাকলেও তাদের সংখ্যা নগণ্য এবং অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সাহায্য চাইতে সংকোচ বোধ করে।

দেশের শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মালয়েশিয়ার মতো উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্থিতিশীলতা, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, অভিভাবকদের সচেতনতা ও স্কুলে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করে তুলতে পারে।

শিক্ষা শুধু মস্তিষ্কের নয়মন ও অনুভূতিরও বিকাশ

শিক্ষা যদি জীবনের জন্যই হয়, তবে মানসিক সুস্থতা সেই শিক্ষার মূলভিত্তি। মালয়েশিয়ার উদাহরণ দেখাচ্ছে—শিক্ষার্থীর মানসিক সুস্থতাকে অবহেলা করলে শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এখন প্রয়োজন এমন একটি স্কুল সংস্কৃতি, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী শুধু ভালো ফল নয়, ভালো থাকা শিখবে।

ট্যাগ: #মানসিক_স্বাস্থ্য #শিক্ষা #বাংলাদেশ #মালয়েশিয়া #হেলদি_মাইন্ড_স্ক্রিনিং #শিক্ষার্থীদের_সুরক্ষা #স্কুল_পর্যায়ে_পরীক্ষা #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য পরবর্তী ফেড চেয়ারম্যান হ্যাসেট নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক বিতর্ক

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক সহায়তা—নতুন শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তা

১২:১৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এখন এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। মালয়েশিয়ার নতুন সিদ্ধান্ত—সব স্তরের শিক্ষার্থীর জন্য বছরে দুইবার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা—শিক্ষাব্যবস্থার মানবিক রূপান্তরের উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্থিতি, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন দিশা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এখন শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের নয়, বরং শিক্ষাব্যবস্থারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে। মালয়েশিয়া সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে—দেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য বছরে দুইবার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে শিক্ষানীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও জরুরি, কারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, সামাজিক চাপ ও পরীক্ষাভীতি ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।

 হেলদি মাইন্ড স্ক্রিনিং’ কর্মসূচি

মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রী ফাদলিনা সিদেক ঘোষণা করেছেন, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য বছরে দুইবার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ‘হেলদি মাইন্ড স্ক্রিনিং’ নামে এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল পর্যায়ে মানসিক সমস্যাগুলো আগে থেকেই শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিষণ্নতা বা মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ দেখা যাবে, তাদের দ্রুত সহায়তার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, কোনো শিশুর মানসিক কষ্ট অবহেলায় না থেকে দ্রুত চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের আওতায় আসতে পারে।”

পাঁচটি সংস্কার ক্ষেত্র: শিক্ষার মানবিক দিককে গুরুত্ব

ফাদলিনা সিদেকের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে—
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য।
প্রজনন ও সামাজিক স্বাস্থ্য শিক্ষা (যৌন সহিংসতা ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধে)।
শিশু সুরক্ষা নীতি।
শিক্ষকদের মানসিক সহায়তা ও যত্ন।
শিক্ষার্থীদের মতামত ও অংশগ্রহণ।

এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার এমন এক শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তুলতে চায়, যেখানে নিরাপত্তা, সহানুভূতি ও মানসিক সুস্থতা শিক্ষার মূল ভিত্তি হবে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট: নতুন প্রজন্মের মানসিক চাপ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হিসাব অনুযায়ী, প্রতি সাতজন কিশোরের একজন কোনো না কোনো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে স্কুলে ফেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও একাকিত্ব আরও বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানো, প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার চাপ ও পরিবারে যোগাযোগহীনতা এই সমস্যাকে জটিল করে তুলছে।

যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো ইতিমধ্যেই স্কুলে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং চালু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ‘Mental Health First Aid’ প্রোগ্রাম শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক সংকট চিহ্নিত করতে পারেন।

বাংলাদেশের বাস্তবতা: নীরব সংকটের মুখোমুখি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশেও মানসিক চাপের কারণে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা, বিষণ্নতা ও পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার ঘটনা বাড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত মনোবৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা থাকলেও তাদের সংখ্যা নগণ্য এবং অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সাহায্য চাইতে সংকোচ বোধ করে।

দেশের শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মালয়েশিয়ার মতো উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্থিতিশীলতা, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, অভিভাবকদের সচেতনতা ও স্কুলে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করে তুলতে পারে।

শিক্ষা শুধু মস্তিষ্কের নয়মন ও অনুভূতিরও বিকাশ

শিক্ষা যদি জীবনের জন্যই হয়, তবে মানসিক সুস্থতা সেই শিক্ষার মূলভিত্তি। মালয়েশিয়ার উদাহরণ দেখাচ্ছে—শিক্ষার্থীর মানসিক সুস্থতাকে অবহেলা করলে শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এখন প্রয়োজন এমন একটি স্কুল সংস্কৃতি, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী শুধু ভালো ফল নয়, ভালো থাকা শিখবে।

ট্যাগ: #মানসিক_স্বাস্থ্য #শিক্ষা #বাংলাদেশ #মালয়েশিয়া #হেলদি_মাইন্ড_স্ক্রিনিং #শিক্ষার্থীদের_সুরক্ষা #স্কুল_পর্যায়ে_পরীক্ষা #সারাক্ষণ_রিপোর্ট