০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

“চ্যাটজিপিটির সব ডেটা রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিল—আদালতের নতুন সিদ্ধান্ত”

আইনগত লড়াই চললেও সংরক্ষণ নীতি এখন সংকীর্ণ
এনগ্যাজেটের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন আদালত ওপেনএআইকে সব ধরনের চ্যাটজিপিটি–ডেটা অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ আর বলবৎ রাখছে না; আদেশে ব্যতিক্রম যোগ করে পরিসর কমানো হয়েছে। এতে বিরাট পরিমাণ লগ, প্রম্পট ও আউটপুট ধরে রাখার খরচ ও গোপনীয়তার ঝুঁকি কিছুটা লাঘব হবে। একই সঙ্গে চলমান মামলার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশনা কীভাবে সময়ের সঙ্গে বদলাতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলল। তবে প্রশিক্ষণ ডেটা ও গোপনীয়তা নিয়ে মামলা বহাল আছে; প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আইন মেনে তারা এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের জন্য বিকল্প নিয়ন্ত্রণও দেয়।

এআই শাসন ব্যবস্থায় ‘রিটেনশন’ এখন বড় বিতর্ক। অধিকারকর্মীরা বলেন, পক্ষপাত, অপব্যবহার ও নিরাপত্তা ভাঙন যাচাইয়ের জন্য বিস্তৃত সংরক্ষণ দরকার। কোম্পানিগুলোর যুক্তি, অযথা ডেটা জমানোই সাইবার ঝুঁকি ও ডেটা–মিনিমাইজেশন নীতির পরিপন্থী। সংকীর্ণ রিটেনশন গোপনীয়তা রক্ষা করলেও, অনেকের আশঙ্কা—ক্ষতি পরে ধরা পড়লে প্রমাণ জোগাড় কঠিন হতে পারে। আদালতের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দুই দিক সামলাতে চায়—প্রাসঙ্গিক উপাদান রাখতে হবে, কিন্তু নির্বিচারে নয়।

ব্যবহারকারী ও ডেভেলপারদের জন্য অর্থ কী
সম্ভবত কম সময়ের জন্য কম লগ ধরে রাখা হবে; এতে কোনো ঘটনায় তদন্তে ট্রেসব্যাক সীমিত হতে পারে—হোক সেটি প্রম্পট–ইনজেকশন, হোক গোপনীয়তা লঙ্ঘন। যেসব এন্টারপ্রাইজ আগে থেকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, তাদের প্রভাব কম; ছোট ডেভেলপারদের কমপ্লায়েন্স বোঝা হালকা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র–ইউরোপের নিয়ন্ত্রকেরা নজর রাখছেন, কারণ মডেল–প্রোভাইডাররা এখন রিটেনশন, অ্যাক্সেস ও প্রতিকার কাঠামো মানিয়ে নিচ্ছে। আদালতগুলো ‘প্রোপোরশানালিটি’ ও প্রযুক্তিগত বাস্তবতা—বিরাট টেলিমেট্রি সংরক্ষণের খরচ—গণনা করে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। সামনে দেখা যেতে পারে হাইব্রিড পন্থা: সংবেদনশীল ফিল্ড হ্যাশ বা রিড্যাক্ট করা, ধাপভিত্তিক সংরক্ষণকাল, আর বিতর্কিত ডেটাসেটের জন্য তৃতীয়পক্ষ এসক্রো। শেষ কথা—অযথা সবকিছু নয়, লক্ষ্যভিত্তিক সংরক্ষণ; আর মামলাগুলো ভবিষ্যতের সুরক্ষা–মান ঠিক করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

“চ্যাটজিপিটির সব ডেটা রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিল—আদালতের নতুন সিদ্ধান্ত”

০২:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আইনগত লড়াই চললেও সংরক্ষণ নীতি এখন সংকীর্ণ
এনগ্যাজেটের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন আদালত ওপেনএআইকে সব ধরনের চ্যাটজিপিটি–ডেটা অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ আর বলবৎ রাখছে না; আদেশে ব্যতিক্রম যোগ করে পরিসর কমানো হয়েছে। এতে বিরাট পরিমাণ লগ, প্রম্পট ও আউটপুট ধরে রাখার খরচ ও গোপনীয়তার ঝুঁকি কিছুটা লাঘব হবে। একই সঙ্গে চলমান মামলার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশনা কীভাবে সময়ের সঙ্গে বদলাতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলল। তবে প্রশিক্ষণ ডেটা ও গোপনীয়তা নিয়ে মামলা বহাল আছে; প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আইন মেনে তারা এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের জন্য বিকল্প নিয়ন্ত্রণও দেয়।

এআই শাসন ব্যবস্থায় ‘রিটেনশন’ এখন বড় বিতর্ক। অধিকারকর্মীরা বলেন, পক্ষপাত, অপব্যবহার ও নিরাপত্তা ভাঙন যাচাইয়ের জন্য বিস্তৃত সংরক্ষণ দরকার। কোম্পানিগুলোর যুক্তি, অযথা ডেটা জমানোই সাইবার ঝুঁকি ও ডেটা–মিনিমাইজেশন নীতির পরিপন্থী। সংকীর্ণ রিটেনশন গোপনীয়তা রক্ষা করলেও, অনেকের আশঙ্কা—ক্ষতি পরে ধরা পড়লে প্রমাণ জোগাড় কঠিন হতে পারে। আদালতের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দুই দিক সামলাতে চায়—প্রাসঙ্গিক উপাদান রাখতে হবে, কিন্তু নির্বিচারে নয়।

ব্যবহারকারী ও ডেভেলপারদের জন্য অর্থ কী
সম্ভবত কম সময়ের জন্য কম লগ ধরে রাখা হবে; এতে কোনো ঘটনায় তদন্তে ট্রেসব্যাক সীমিত হতে পারে—হোক সেটি প্রম্পট–ইনজেকশন, হোক গোপনীয়তা লঙ্ঘন। যেসব এন্টারপ্রাইজ আগে থেকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, তাদের প্রভাব কম; ছোট ডেভেলপারদের কমপ্লায়েন্স বোঝা হালকা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র–ইউরোপের নিয়ন্ত্রকেরা নজর রাখছেন, কারণ মডেল–প্রোভাইডাররা এখন রিটেনশন, অ্যাক্সেস ও প্রতিকার কাঠামো মানিয়ে নিচ্ছে। আদালতগুলো ‘প্রোপোরশানালিটি’ ও প্রযুক্তিগত বাস্তবতা—বিরাট টেলিমেট্রি সংরক্ষণের খরচ—গণনা করে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। সামনে দেখা যেতে পারে হাইব্রিড পন্থা: সংবেদনশীল ফিল্ড হ্যাশ বা রিড্যাক্ট করা, ধাপভিত্তিক সংরক্ষণকাল, আর বিতর্কিত ডেটাসেটের জন্য তৃতীয়পক্ষ এসক্রো। শেষ কথা—অযথা সবকিছু নয়, লক্ষ্যভিত্তিক সংরক্ষণ; আর মামলাগুলো ভবিষ্যতের সুরক্ষা–মান ঠিক করবে।