১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
জিওইঞ্জিনিয়ারিং আলোচনায় কেন্দ্রস্থ—কীভাবে গবেষণা, কতটা শাসন ১৮৪ দিনের ওসাকা এক্সপো শেষ—২৮ মিলিয়ন দর্শনার্থীর পর স্থায়ী উত্তরাধিকার কী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৫) একজন অভিনেতা, কবি ও মানুষ: শৈশব থেকে শিল্পের শীর্ষে শাহেদ শরীফ খানের জীবনগাথা চিড়িয়াখানার মৃত্যু উপত্যকা—অবহেলা, দুর্নীতি ও প্রাণহীন প্রশাসন -তৃতীয় পর্ব নারায়ণগঞ্জে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭ শ্রমিক স্বচ্ছ জল, নীল আকাশ, পাহাড়ের কোলে বয়ে চলা এক জাদুকরী স্বর্গনদী—জাদুকাটা নদী স্বর্গের ছায়া নেমে এসেছে সুনামগঞ্জে সাভারে মানবপাচার চক্রের আট সদস্য গ্রেপ্তার ইউরোপে বিমানবন্দর–গ্রিডের ওপর ড্রোন অনুপ্রবেশ—প্রতিরোধে সেন্সর, জ্যামিং, নতুন বিধি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় ত্রিপক্ষীয় চুক্তি

রেয়ার আর্থ রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণে বেইজিং অনড়—ট্যারিফ–যুদ্ধের ভেতর সাপ্লাই চেইনের নতুন চাপ

কেন এই কড়াকড়ি ও প্রভাব কোথায়

যুক্তরাষ্ট্র নতুন ট্যারিফ বাড়ানোর পর চীন তাদের রেয়ার আর্থ উপাদান ও সরঞ্জাম রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণকে বৈধ ও প্রয়োজনীয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে। বেইজিং বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও সম্পদ–ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই এই কড়াকড়ি; ওয়াশিংটন পাল্টা সরবরাহ–ঝুঁকি ও প্রযুক্তিনির্ভরতার কথা তুলে ধরছে। ফলাফল—লাইসেন্স, যাচাই ও কাগুজে প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে ডেলিভারি ধীর হবে এবং ব্যয় বাড়বে। তাইওয়ান, জাপান, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এখনই এক্সপোজার মানচিত্র করছে, বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, আর প্রয়োজন হলে মজুত তৈরি করছে।

রেয়ার আর্থ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগনেটের মূল উপাদান—ইভি, উইন্ড টারবাইন, কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা–খাতে এদের সমাদর। খনি ও প্রসেসিং–এ চীনের প্রভাব বেশি; ফলে নীতিগত যেকোনো বাঁক বাজারকে নাড়িয়ে দেয়। কড়াকড়িতে উপাদানের ‘রিঅকোয়ালিফিকেশন’ দরকার হতে পারে—যা হাই–রিলায়েবিলিটি উৎপাদনে সময়সাপেক্ষ। সরকারগুলো চীনের বাইরে রিফাইনিং–সেপারেশন বাড়াতে প্রণোদনা দেবে, তবে স্কেল–আপে বছর লাগে। অন্তর্বর্তী সময়ে কোম্পানিগুলো ডুয়াল সোর্সিং, সেফটি স্টক, এবং প্রয়োজনে ভিন্ন ম্যাগনেট রসায়নে পণ্য পুনর্নকশার পথে হাঁটতে পারে।

আগামীতে নেতৃত্বস্তরের আলোচনার আগাম ইঙ্গিত বাজার খুঁজবে। আপাতত উভয় পক্ষেই পাল্টা–মাপের ধারাবাহিকতায় (ট্যারিফ, এক্সপোর্ট কন্ট্রোল, ভর্তুকি) টেক–সাপ্লাইচেইন টুকরো টুকরো থাকতেই পারে। প্রভাব একরকম নয়—বহু উৎসবিশিষ্ট সেক্টর সামলাতে পারলেও সংকীর্ণ ম্যাগনেট নির্মাতা ও ছোট সরবরাহকারীরা লিড টাইম ও বহনব্যয়ের ধাক্কায় নগদ প্রবাহে চাপে পড়তে পারে। নীতিনির্ধারকদের চ্যালেঞ্জ—সহনশীলতা বাড়াতে গিয়ে মূল্যচাপ বা পরিষ্কার জ্বালানি প্রযুক্তির বিস্তারকে যেন বাধা না পড়ে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জিওইঞ্জিনিয়ারিং আলোচনায় কেন্দ্রস্থ—কীভাবে গবেষণা, কতটা শাসন

রেয়ার আর্থ রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণে বেইজিং অনড়—ট্যারিফ–যুদ্ধের ভেতর সাপ্লাই চেইনের নতুন চাপ

০৬:০০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

কেন এই কড়াকড়ি ও প্রভাব কোথায়

যুক্তরাষ্ট্র নতুন ট্যারিফ বাড়ানোর পর চীন তাদের রেয়ার আর্থ উপাদান ও সরঞ্জাম রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণকে বৈধ ও প্রয়োজনীয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে। বেইজিং বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও সম্পদ–ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই এই কড়াকড়ি; ওয়াশিংটন পাল্টা সরবরাহ–ঝুঁকি ও প্রযুক্তিনির্ভরতার কথা তুলে ধরছে। ফলাফল—লাইসেন্স, যাচাই ও কাগুজে প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে ডেলিভারি ধীর হবে এবং ব্যয় বাড়বে। তাইওয়ান, জাপান, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এখনই এক্সপোজার মানচিত্র করছে, বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, আর প্রয়োজন হলে মজুত তৈরি করছে।

রেয়ার আর্থ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগনেটের মূল উপাদান—ইভি, উইন্ড টারবাইন, কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা–খাতে এদের সমাদর। খনি ও প্রসেসিং–এ চীনের প্রভাব বেশি; ফলে নীতিগত যেকোনো বাঁক বাজারকে নাড়িয়ে দেয়। কড়াকড়িতে উপাদানের ‘রিঅকোয়ালিফিকেশন’ দরকার হতে পারে—যা হাই–রিলায়েবিলিটি উৎপাদনে সময়সাপেক্ষ। সরকারগুলো চীনের বাইরে রিফাইনিং–সেপারেশন বাড়াতে প্রণোদনা দেবে, তবে স্কেল–আপে বছর লাগে। অন্তর্বর্তী সময়ে কোম্পানিগুলো ডুয়াল সোর্সিং, সেফটি স্টক, এবং প্রয়োজনে ভিন্ন ম্যাগনেট রসায়নে পণ্য পুনর্নকশার পথে হাঁটতে পারে।

আগামীতে নেতৃত্বস্তরের আলোচনার আগাম ইঙ্গিত বাজার খুঁজবে। আপাতত উভয় পক্ষেই পাল্টা–মাপের ধারাবাহিকতায় (ট্যারিফ, এক্সপোর্ট কন্ট্রোল, ভর্তুকি) টেক–সাপ্লাইচেইন টুকরো টুকরো থাকতেই পারে। প্রভাব একরকম নয়—বহু উৎসবিশিষ্ট সেক্টর সামলাতে পারলেও সংকীর্ণ ম্যাগনেট নির্মাতা ও ছোট সরবরাহকারীরা লিড টাইম ও বহনব্যয়ের ধাক্কায় নগদ প্রবাহে চাপে পড়তে পারে। নীতিনির্ধারকদের চ্যালেঞ্জ—সহনশীলতা বাড়াতে গিয়ে মূল্যচাপ বা পরিষ্কার জ্বালানি প্রযুক্তির বিস্তারকে যেন বাধা না পড়ে।