কেন এই কড়াকড়ি ও প্রভাব কোথায়
যুক্তরাষ্ট্র নতুন ট্যারিফ বাড়ানোর পর চীন তাদের রেয়ার আর্থ উপাদান ও সরঞ্জাম রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণকে বৈধ ও প্রয়োজনীয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে। বেইজিং বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও সম্পদ–ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই এই কড়াকড়ি; ওয়াশিংটন পাল্টা সরবরাহ–ঝুঁকি ও প্রযুক্তিনির্ভরতার কথা তুলে ধরছে। ফলাফল—লাইসেন্স, যাচাই ও কাগুজে প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে ডেলিভারি ধীর হবে এবং ব্যয় বাড়বে। তাইওয়ান, জাপান, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এখনই এক্সপোজার মানচিত্র করছে, বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, আর প্রয়োজন হলে মজুত তৈরি করছে।
রেয়ার আর্থ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগনেটের মূল উপাদান—ইভি, উইন্ড টারবাইন, কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা–খাতে এদের সমাদর। খনি ও প্রসেসিং–এ চীনের প্রভাব বেশি; ফলে নীতিগত যেকোনো বাঁক বাজারকে নাড়িয়ে দেয়। কড়াকড়িতে উপাদানের ‘রিঅকোয়ালিফিকেশন’ দরকার হতে পারে—যা হাই–রিলায়েবিলিটি উৎপাদনে সময়সাপেক্ষ। সরকারগুলো চীনের বাইরে রিফাইনিং–সেপারেশন বাড়াতে প্রণোদনা দেবে, তবে স্কেল–আপে বছর লাগে। অন্তর্বর্তী সময়ে কোম্পানিগুলো ডুয়াল সোর্সিং, সেফটি স্টক, এবং প্রয়োজনে ভিন্ন ম্যাগনেট রসায়নে পণ্য পুনর্নকশার পথে হাঁটতে পারে।
আগামীতে নেতৃত্বস্তরের আলোচনার আগাম ইঙ্গিত বাজার খুঁজবে। আপাতত উভয় পক্ষেই পাল্টা–মাপের ধারাবাহিকতায় (ট্যারিফ, এক্সপোর্ট কন্ট্রোল, ভর্তুকি) টেক–সাপ্লাইচেইন টুকরো টুকরো থাকতেই পারে। প্রভাব একরকম নয়—বহু উৎসবিশিষ্ট সেক্টর সামলাতে পারলেও সংকীর্ণ ম্যাগনেট নির্মাতা ও ছোট সরবরাহকারীরা লিড টাইম ও বহনব্যয়ের ধাক্কায় নগদ প্রবাহে চাপে পড়তে পারে। নীতিনির্ধারকদের চ্যালেঞ্জ—সহনশীলতা বাড়াতে গিয়ে মূল্যচাপ বা পরিষ্কার জ্বালানি প্রযুক্তির বিস্তারকে যেন বাধা না পড়ে।