বিশাল ভিড়, তবু প্রশ্ন—কী থাকছে, কী ভাঙছে
দ্য জাপান টাইমস-এর হিসাবে ১৮৪ দিন চলা ওসাকা এক্সপোতে প্রায় ২৮ মিলিয়ন মানুষ এসেছে। ‘গ্র্যান্ড রিং’ সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জনপ্রিয় স্পট হয়ে ওঠে—প্রতীকী এক জন–আসন। সমর্থকেরা বলছেন, ডিজিটাল যুগে সরাসরি অভিজ্ঞতার মর্যাদা মনে করিয়ে দিয়েছে মেলাটি। সমালোচকেরা জানতে চাইছেন—খরচ কত, উপকরণ কতটা পুনর্ব্যবহার হবে, আর কত দ্রুত এলাকা কাজে লাগানো যাবে। এখন মূল হিসাব—প্যাভিলিয়ন, পরিবহন–সুবিধা ও স্বল্পমেয়াদি চাকরির কত অংশ স্থায়ী উন্নতিতে রূপ নেবে।
এটি শুধু নস্টালজিয়ার নয়, নগর–পরিকল্পনারও পরীক্ষা। এক্সপো–গুলো ব্যবসায়িক সংযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়; কিন্তু লাভ সমান হয় না। তাপ–প্রবাহের যুগে ছায়া, কুলিং ও ভিড়–পরিচালনার নকশা ভবিষ্যৎ ইভেন্টের জন্য পাঠ হতে পারে। পর্যটনের গতি ধরে রাখতে সাময়িক আকর্ষণগুলোকে বাসিন্দাদের জন্যও কাজের স্থায়ী জেলায় রূপান্তর জরুরি। বাজেট নিয়ে স্বচ্ছতা ও উপকরণ–পুনর্ব্যবহারের প্রকাশ্য রোডম্যাপ সমালোচনা কমাতে পারে—কোথায় কোন স্টিল/টিমবার/ফিক্সচার যাবে—আগেভাগে জানালে আস্থা বাড়ে।
সমাজিক রায় সময় নেবে। পরিবহন–উন্নতি যদি যাতায়াত সহজ করে ও ওয়াটারফ্রন্ট প্রাণবন্ত থাকে, জনমত ব্যয়ের পক্ষে যায়; ফেলে রাখা খোলস বাড়লে বিপরীত ফল। ক্ষুদ্র ব্যবসা—পপ–আপ, সেবা–দোকান—অস্থায়ী উন্মাদনাকে টেকসই বিক্রিতে রূপ দিতে পারলে ‘সাফল্যগাথা’ শক্ত হবে। তাই সূক্ষ্ম অডিট দরকার—কী কাজ দিয়েছে, কী দেয়নি; এবং কাঠামোগুলো পুনর্ব্যবহারে কমিউনিটির মত নেওয়া—তবেই প্রদর্শনী থেকে দীর্ঘস্থায়ী সুফলে যাওয়া সম্ভব।