চ্যালেঞ্জ: প্রযুক্তি, আইনি ক্ষমতা ও স্বচ্ছতা
ইউরোপের নানা দেশে বিমানবন্দর, বাণিজ্যিক স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ড্রোন উড়ে যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে—এগুলোকে শত্রুভাবাপন্ন পক্ষের তৎপরতা হিসেবে দেখছেন নীতিনির্ধারকেরা, জানায় জাপান টাইমস। শনাক্তকরণ, জ্যামিং ও বাধা দেওয়ার প্রতিটি কৌশলেই প্রযুক্তিগত সীমা ও আইনি জটিলতা আছে—ভুল প্রয়োগে বৈধ আকাশযানের নিরাপত্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জ্বালানি স্থাপনা থেকে স্টেডিয়াম—বিভিন্ন ঘটনার অভিজ্ঞতায় মনিটরিং–প্রতিক্রিয়ার ফাঁক ধরা পড়েছে। সুলভ ও দূরপাল্লার কনজিউমার ড্রোনের যুগে এই লড়াই একইসঙ্গে অ্যাভিয়েশন সেফটি, কনটার–ইনটেলিজেন্স ও জন–যোগাযোগের পরীক্ষা। কিছু দেশ রাডার, রেডিও–ফ্রিকোয়েন্সি সেন্সর ও ক্যামেরার সমন্বিত ‘এয়ার পিকচার’ সিস্টেম চালু করছে; সংবেদনশীল স্থাপনার কাছে ‘শুট–ডাউন’ কর্তৃত্বও স্পষ্ট করা হচ্ছে।
শিল্পখাত চাইছে জিওফেন্সিং ও রিমোট আইডির মানদণ্ড কঠোর করা—যাতে আইন মেনে চলা শখের ব্যবহারকারীরা সীমা ভাঙেন না, আর নিয়মভঙ্গকারীদের শনাক্ত করা যায়। নাগরিক–অধিকারকর্মীরা সতর্ক করছেন—বিস্তৃত জ্যামিং বৈধ যোগাযোগ ব্যাহত করতে পারে; শান্তিকালে এমন নজির স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বিমানবন্দর, ইউটিলিটি ও ইভেন্ট আয়োজকেরা তাই পরিকল্পনা বদলাচ্ছেন—পরিসীমা সুরক্ষা, দ্রুত ঘটনা–লগ, এবং পুলিশ–এয়ার–ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে মহড়া। বাজারে কনটার–ইউএএস প্রযুক্তি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে—লেজার, নেট, ইন্টারসেপ্টর ড্রোন, এআই–সহায়ক ট্র্যাকিং—তবে একক মান নেই। সফলতা নির্ভর করবে সীমান্ত–পেরোনো সমন্বয়, দ্রুত সতর্কতায় তথ্য–বিনিময়, এবং বিলম্ব–বাতিলে স্বচ্ছতা বজায় রাখার ওপর।