১৯৪৪ সালের মার্চ মাসে তার সমাপ্তি ঘটে। ফলস্বরূপ, জাপানি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের “দিল্লী চল”-র পদক্ষেপের ইতি ঘটে।
নরমান্ডির যৌথ বাহিনী ফ্রান্সের অধিকৃত অংশ (১৯৪৪ সালের ২৫ আগস্টে। মুক্ত করে এবং পশ্চিম ইউরোপের অধিকৃত ছোটো ছোটো দেশগুলোকে জার্মান দখলি মুক্ত করতে মনোনিবেশ করে।
ইউরোপের পূর্বাঞ্চল ফ্রন্টে: সোভিয়েত ইউনিয়ন ২৩ জুন থেকে ১৯ আগস্ট ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত স্থায়ী “অপারেশন ব্যাগরেশন” বা সামার অফেনসিভ পরিচালনা করে বেইলোরাশা, ইউক্রেন, পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চল, তিন বাল্টিক রিপাবলিক,ফিনল্যান্ড ইত্যাদি অংশে ভেরমা’কে সমূলে উচ্ছেদ করে। এবং ১৯৪৪ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রেড-আর্মি রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও হাঙ্গেরিকে জার্মান রাইখের দখলিমুক্ত করে। অর্থাৎ জামান দখলিকৃত ইউরোপের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ভূ-খণ্ড মুক্ত হয়।
অপরদিকে, এশিয়া মহাদেশে, ১৯৪৪ সালের জুন জুলাই মাসে, চীন-বার্মা-ভারত ফ্রন্টে ভারতের মনিপুর রাজ্যের “ইম্ফল” রণাঙ্গণ থেকে জাপানিরা, সেই সঙ্গে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ ফৌজও পিছু হটে আসতে থাকায়- জাপানিরা বার্মা থেকে ভারতমুখী যে অগ্রসরযাত্রা শুরু করেছিল, ১৯৪৪ সালের মার্চ মাসে তার সমাপ্তি ঘটে। ফলস্বরূপ, জাপানি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের “দিল্লী চল”-র পদক্ষেপের ইতি ঘটে। (দেখুন। এই গ্রন্থের “আজাদ হিন্দ ফৌজ, স্ট্যানলী বা স্ট্যান ও বিজেন্দ্র” অধ্যায়টি)।
ইম্ফল রণাঙ্গণে যুদ্ধ চলাকালীন দিনগুলোতে ঢাকার কুর্মিটোলা খাঁটি থেকে মার্কিন ৪৯০তম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রনের বি-২৪ বোমারু বিমানগুলো নিয়মিতভাবে বার্মায় অবস্থিত জাপানি লক্ষ্যবস্তুসমূহের উপর বোমাবর্ষণ করে আসত।
বার্মার আকাশে ৪৯০তম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রনের বি-২৪ বোমারু বিমান।
ঢাকায় অবস্থিত “এয়ার ট্রান্সপোর্ট কমান্ড” (এটিসি)-এর প্রথম অ্যাসাইনমেন্টের নির্দেশ মতো আনাতোল লন্ড্রিখানার ব্যবস্থাপনায় নেমে পড়েন। (লন্ড্রীখানায় লোক নিয়োগের জন্য) ইন্টারভিউ নেয়ার সময় আনাতোলের চমকপ্রদ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল; যেমন: পদপ্রার্থীরা আবেদনপত্রে নিজেরাই নিজেদের বস্তাভর্তি গুণগান করে চাকরিদাতাকে পরামর্শ দিচ্ছে, যেন তাদেরকেই চাকুরি দেয়া হয়; অথচ আবেদনপত্রের কোথাও তাদের যোগ্যতা, শিক্ষাদীক্ষা, প্রমাণপত্র, প্রশংসাপত্র, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সংক্রান্ত দলিলপত্রের কোনো নামগন্ধ থাকত না।
(চলবে)