সৌদি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আরামকোর প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির (আইপিও) ঘোষণা এমন এক নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ এনে দিয়েছে, যা যেন সোনার থালায় পরিবেশিত হয়েছে। এর অর্থ হলো—ইতিহাসের সবচেয়ে মূল্যবান সৌদি রত্নটি জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা সরাসরি মুনাফা অর্জন করতে পারে। এটি প্রমাণ করে যে নীতিনির্ধারকেরা চান, সৌদি নাগরিকরাই প্রথমে তাদের দেশের সম্পদ থেকে উপকৃত হোক এবং রাজ্যের সম্পদে প্রকৃত অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখুক।
বিনিয়োগের সুযোগ ও মুনাফা
বিশ্বে আরামকোর মতো আকার ও মুনাফার হারের কোনো কোম্পানি নেই। যারা এই বিনিয়োগের সুযোগ হারাবে, তারা এমন এক বিশাল লাভ থেকে বঞ্চিত হবে, যা তাদের প্রাপ্য।
আরামকো গণমাধ্যমের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছে যে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০২০ সালে তারা ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৮১.২৫ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল) লভ্যাংশ বিতরণ করবে।
আর্থিক বাজার বিশ্লেষণভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘আরাকাম’-এর হিসাবে, মোট ২০০ বিলিয়ন শেয়ারের ভিত্তিতে প্রতিটি শেয়ারে প্রায় ১.৪০৬ সৌদি রিয়াল লাভ হবে।
বৈশ্বিক আগ্রহ ও সৌদি নাগরিকদের ভূমিকা
গত দুই বছর ধরে বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করে রেখেছে, যেন আরামকোর আইপিও ঘোষণার পর সর্বাধিক শেয়ার কিনতে পারে।
এখন সেই দিন ঘনিয়ে আসছে। সৌদি নাগরিকরা ঘরে বসেই এই শেয়ার কেনার সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাদের জন্য এক বিরল সৌভাগ্য। অন্য বিনিয়োগকারীরা চেষ্টা করবে সর্বনিম্ন দামে শেয়ার কিনে নিতে—যদি কোনো নাগরিক তাড়াহুড়ো করে মুনাফা পাওয়ার আগেই নিজের শেয়ার বিক্রি করে দেয়।
নাগরিকদের জন্য পরামর্শ
আমি সৌদি নাগরিকদের পরামর্শ দিচ্ছি—যতটা সম্ভব বেশি শেয়ার কিনুন এবং অন্তত চার বছর ধরে রাখুন। কারণ প্রতিটি শেয়ার থেকে যে আয় আসবে, তা বিক্রি করে পাওয়া অর্থের চেয়ে অনেক বেশি হবে।
আমি আরও বলব—যারা রাজ্যের এই অমূল্য রত্নের শেয়ার কিনতে চায়, তাদের কথায় কান দেবেন না।
অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
আরামকোর আইপিও সৌদি অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনবে। এটি বাজারের আকার দ্বিগুণ করবে, বিনিয়োগের হার বৃদ্ধি করবে এবং ‘ভিশন ২০৩০’-এর লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে—যার উদ্দেশ্য একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি গঠন করা, যার মূল উপকারভোগী হবে সৌদি নাগরিকরাই।