হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে নিখোঁজ শ্রমিক মো. গোলাম রাব্বি (৩২)-এর লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে চালানো অভিযানে নদীর তলদেশ থেকে তাঁর মরদেহ তোলা হয়। রোববার বিকাল ৩টার দিকে দিঘলবাক ইউনিয়নের কুমারকাঁদা এলাকায় বালু উত্তোলনের সময় নৌকার নিচে ফাটল ধরা পড়ে। তখন মেরামতে নামলে পানির স্রোতে তলিয়ে যান রাব্বি—পরে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কী ঘটেছিল
প্রত্যক্ষদর্শীদের হিসাবে, কুমারকাঁদা ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে ‘অবৈধভাবে’ বালু তোলা হচ্ছিল। কাজ চলাকালে ব্যবহৃত নৌকাটির তলদেশে ফাটল দেখা দিলে শ্রমিক রাব্বি পানিতে নামেন; কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তীব্র স্রোতে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার চেষ্টায় নামলেও ব্যর্থ হন।
উদ্ধার অভিযান ও প্রশাসনের পদক্ষেপ
অন্ধকার নামায় রোববার রাতেই ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার শুরু করতে পারেনি। সোমবার সকালে ডুবুরি দল নামিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামান জানান, সুরতহাল শেষে লাশ হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
অবৈধ উত্তোলনের অভিযোগ
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়মিত বালু তোলা হচ্ছে; পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাঁদের দাবি, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হোক। এদিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক দাবি করেন, তাঁদের কাজ তিন দিন ধরে বন্ধ ছিল এবং নিখোঁজের তথ্য ‘অবাঞ্ছিত’।
নিহতের পরিচয়
গোলাম রাব্বি বরগুনা জেলার বাসিন্দা, মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি সোহাগ এন্টারপ্রাইজের ভাড়া নেওয়া নৌকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। পরিবারের দাবি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।