পুরু বেড়া বা রেলিং। বেড়ার মাঝখানে প্রায় দুই ইঞ্চি পরিমাণ মোটা করে বোনা শক্ত কাপড় এমনভাবে ঢোকানো হয়েছে যাতে “বেড-স্প্রীং”-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করে। চার কোণায় কাঠের যে চারটি স্তম্ভ রয়েছে- তার প্রতিটির সঙ্গে একটি করে প্রায় ছয় ফুট লম্বা খুঁটি এমনভাবে লাগানো হয়েছে যে অনায়াসে মশারি টাঙাতে পারি। শহরের দোকানে কেনা তোষকটি “চারপায়া”-তে বিছিয়ে দেয়ার পরে ঘুমানোর জন্য একটি আরামদায়ক বিছানা হয় আমার”।
তেজগাঁও ঘাটিতে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপেক্ষারত সি-৫৪ বিমান।
আসবাবপত্রের আয়োজনে একটি সম্পূর্ণতার মেজাজ আনার জন্য একটি ‘চেস্ট অব ড্রয়ারস’, আয়না লাগানো ড্রেসিং টেবিল, ধোয়াধুয়ি প্রক্ষালনের জন্য ‘ওয়াশ-স্ট্যান্ড’: তোয়ালে রাখার ব্যাক, লেখালেখির জন্য একটি টেবিল ও একটি চেয়ার ইত্যাদি সবই থাকে। এবং এমনকি ‘নাক-উঁচু’দের মধ্যে যারা রাতের বেলা বাসার সীমানার বাইরে অবস্থিত পায়খানায় যেতে অনিচ্ছুক তাদের জন্য, ঘরের কোণায় থাকে বসার মতো টুল, টুলের মাঝখানটায় গর্ত, সেই গর্তের নিচে ঝোলানো থাকে বালতির মতো। দেখতে ধাতব পাত্র।
সামগ্রিকভাবে আমার জন্য আরামদায়কই ছিল, তবে বৈদ্যুতিক আলোর অভাবটিকে খুব ‘মিস’ করতাম। অবশ্য পরে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থাও হয়”। তেজগাঁওর সঙ্গে কুর্মিটোলার (ক্যান্টনমেন্ট। খাঁটি গড়ে তোলা হয়েছিল যা থেকে আজকের ক্যান্টনমেন্টের ভিত্তি।
তেজগাঁও ঘাঁটির থিয়েটার হল, সৌজন্য: লয়েড পরিবার
তেজগাঁও মার্কিন বিমানঘাঁটির আকাশ দৃশ্য।
কুর্মিটোলার নিজস্ব পেট্রোল পাম্প স্টেশনে, সপ্তম গ্রুপের বি-২৪ বোমারু বিমানে সরাসরি জ্বালানি ভরে নেয়া হচ্ছে; জ্বালানি ভর্তি শেষ হলেই হিমালয়ের “হাম্প” টপকে চীনের কুনমিংয়ে জ্বালানি খালাস করে আসবে।
৮৯তম এয়ার সার্ভিস স্কোয়াড্রনের ৩০৫তম এয়ার সার্ভিস গ্রুপের কর্মিরা পি-৩৮-এর সার্ভিস কর্মে ব্যস্ত: তেজগাঁও বিমানঘাটি, ১৯৪৪ সাল। ছবি: লুইস আর পোর্টো।
যুক্তরাষ্ট্রের জওয়ানরা দেশ থেকে আসা প্রিয়জনের চিঠি বাসা’র বারান্দায় বসে পড়ছেন
১৯৪৪ সাল: ৪৩৬তম স্কোয়াড্রনের বি-২৪ বোমারু বিমান তেজগাঁও বিমানঘাটিতে ফিরে আসছে।
তেজগাঁও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তা পরিত্যাজই ছিল। ১৯৪৭ সালে তা তেজগাঁও বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হয়। ১৯৮০ সালে তা আবার হস্তান্তর করা হয় বিমানবাহিনীকে।
(চলবে)