০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৭৬ শতাংশে নেমে আসছে — আইএমএফের নতুন পূর্বাভাসে অর্থনীতির ধীরগতি ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকির ইঙ্গিত শিয়ালবাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মরদেহ শনাক্তে প্রয়োজন হতে পারে ডিএনএ পরীক্ষা কানাডা-ভারত —সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে দুই দেশ বলিউডের পর্দায় বৃষ্টিতে ভেজা প্রেম—বলিউডের চিরন্তন রোমান্সের প্রতীক অপরাধচক্রের কবলে কম্বোডিয়া—কোরিয়ান নাগরিক অপহরণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ কে-বিউটির বিশ্বজোড়া উন্মাদনা—বিনোদনের নতুন রূপে কোরিয়ার সৌন্দর্য শিল্প মালয়েশিয়ার উকায় পেরদানায় ‘বাঘের গর্জন’ রহস্য—বন্যপ্রাণি বিভাগ বলছে শূকর ও কুকুরের পদচিহ্ন শিশুদের মধ্যে ই-সিগারেট আসক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ আলট্রা-প্রসেসড খাবারই বাড়াচ্ছে ওজন ও আসক্তি—গবেষকদের নতুন বিশ্লেষণ ইসরায়েলে ট্রাম্পকে নায়কের মর্যাদা গাজার যুদ্ধবিরতিতে ঐতিহাসিক মোড়—

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সমকালের একটি শিরোনাম “খুলনায় দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলায় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ”

খুলনায় দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলায় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে নগরীর নিরালা তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই হামলার ঘটে।

হামলায় আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মনির হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১৫টি মোটরসাইকেলে ২০ জন দুর্বৃত্ত নিরালা ১৯ নম্বর রোডে এসে থামে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা মনির ও হানিফকে লক্ষ্য গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি হানিফের গলায় এবং মনিরের নিতম্বে বিদ্ধ হয়। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা বের হলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

খুলনা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে তারা দুইজন আহত হয়। আহত মনিরের বিরুদ্ধে ২টা মাদকের মামলা রয়েছে। তবে ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র”

জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাতে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব দলের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে উপনীত হতে পারব।’

গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়। সেই খসড়ার ওপর পাওয়া মতামত যুক্ত করে জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য তৈরি করা হয়েছে। পটভূমিতে কিছু ভাষাগত পরিবর্তনের পাশাপাশি ‘ঐকমত্যের ঘোষণা’ শিরোনামে জুলাই সনদে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যের পটভূমিতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ; পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ ও বঞ্চনার পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ; পঁচাত্তরে বাকশাল গঠন, পটপরিবর্তনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানান বিষয় উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে চূড়ান্ত খসড়ার পটভূমিতে ‘১৯৭৬ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা ছিল। চূড়ান্ত ভাষ্যে এর স্থলে ‘১৯৭৮ সালে বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা হয়েছে।

খসড়া সনদের পটভূমির আরেক অংশে লেখা হয়েছিল, ‘২০০৬ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও তৎপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।’ চূড়ান্ত ভাষ্যে লেখা হয়, ‘২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লগি-বইঠা তাণ্ডবে দেশে কয়েকটি নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১/১১ সরকার নামে পরিচিত। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে ‘বিষাক্ত গ্যাস’, কারখানার ছাদের দরজা ছিল তালাবন্ধ”

রাজধানীর মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। আর এ গ্যাসের প্রভাবে দম বন্ধ ও পরে জ্ঞান হারিয়ে মারা যান তারা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ‘ডেভেলপ স্টেজে’ পৌঁছে যায়। এতে সাদা ধোঁয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভেতরে থাকা শ্রমিকরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, যে ভবন থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, তার ছাদের দরজায় দুটি তালা লাগানো ছিল। ফলে শ্রমিকেরা ওপর তলায় উঠতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওয়াশিং কারখানা ভবন ও রাসায়নিক গুদাম—কোনোটিরই অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে ওই কারখানা ও তার বিপরীত পাশে রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মানবজমিনের একটি শিরোন “উপদেষ্টাদের কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত?”

সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের কেউ কেউ সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। তাদের কার্যক্রমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া দলগুলো। বিশেষ করে জামায়াত এবং এনসিপি’র পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উঠায় তোলপাড় চলছে। কিছু কিছু উপদেষ্টা সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন, এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য দেয়ার পর থেকে নানা আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। নাহিদ নিজেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। নাহিদ বলেছেন, উপদেষ্টাদের কারা সেফ এক্সিট খুঁজছেন তাদের নামও প্রয়োজনে প্রকাশ করে দেবেন। তার এই বক্তব্য প্রচারের পর সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সর্বশেষ জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের উপদেষ্টাদের নিয়ে বিস্ফোরক বক্তব্য দিয়েছেন। গতকাল তিনি বলেছেন, সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা নীলনকশার নির্বাচনের চেষ্টা করছে, তাদের নাম আছে, তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। তারা মিটিংয়ে কী আলোচনা করেন তার খবরও আমাদের কাছে আছে। তিনি বলেন, আমরা সময় দিচ্ছি সংশোধন হওয়ার। সংশোধন না হলে তাদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিবো। ওদিকে বিএনপি’র সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও কয়েকজন উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রধান দলগুলোর এমন মন্তব্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উপদেষ্টাদের কারা কি ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁছছেন অনেকে। যদিও এ পর্যন্ত দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো উপদেষ্টার নাম বলা হয়নি। গতকাল জামায়াত নেতা তাহের অবশ্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছের কয়েকজনের দিকে ইঙ্গিত করে অভিযোগ তোলেন।

অনেকে বলছেন, অভিযোগ তোলা দলগুলোই সরকার গঠনে ভূমিকা রেখেছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার পরিচালনায় তারা সহায়তা করছে। এই অবস্থায় তারাই আবার সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।

গত ৪ঠা অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। পরে এক প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বক্তব্যের স্বপক্ষে নাহিদ ইসলামকে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরার আহ্বান জানান। নাহিদ ইসলামের মন্তব্যের সূত্র ধরে প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেন এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, কিছু উপদেষ্টার মাঝে আমরা এই আচরণ দেখতে পাচ্ছি যে, তারা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। দেশে থাকুন আর দেশের বাইরে থাকুন; এই দায়সারা দায়িত্ব নেয়ার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৭৬ শতাংশে নেমে আসছে — আইএমএফের নতুন পূর্বাভাসে অর্থনীতির ধীরগতি ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকির ইঙ্গিত

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

০৮:৩০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “খুলনায় দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলায় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ”

খুলনায় দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলায় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে নগরীর নিরালা তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই হামলার ঘটে।

হামলায় আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মনির হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১৫টি মোটরসাইকেলে ২০ জন দুর্বৃত্ত নিরালা ১৯ নম্বর রোডে এসে থামে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা মনির ও হানিফকে লক্ষ্য গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি হানিফের গলায় এবং মনিরের নিতম্বে বিদ্ধ হয়। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা বের হলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

খুলনা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে তারা দুইজন আহত হয়। আহত মনিরের বিরুদ্ধে ২টা মাদকের মামলা রয়েছে। তবে ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র”

জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাতে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব দলের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে উপনীত হতে পারব।’

গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়। সেই খসড়ার ওপর পাওয়া মতামত যুক্ত করে জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য তৈরি করা হয়েছে। পটভূমিতে কিছু ভাষাগত পরিবর্তনের পাশাপাশি ‘ঐকমত্যের ঘোষণা’ শিরোনামে জুলাই সনদে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যের পটভূমিতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ; পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ ও বঞ্চনার পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ; পঁচাত্তরে বাকশাল গঠন, পটপরিবর্তনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানান বিষয় উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে চূড়ান্ত খসড়ার পটভূমিতে ‘১৯৭৬ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা ছিল। চূড়ান্ত ভাষ্যে এর স্থলে ‘১৯৭৮ সালে বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা হয়েছে।

খসড়া সনদের পটভূমির আরেক অংশে লেখা হয়েছিল, ‘২০০৬ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও তৎপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।’ চূড়ান্ত ভাষ্যে লেখা হয়, ‘২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লগি-বইঠা তাণ্ডবে দেশে কয়েকটি নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১/১১ সরকার নামে পরিচিত। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে ‘বিষাক্ত গ্যাস’, কারখানার ছাদের দরজা ছিল তালাবন্ধ”

রাজধানীর মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। আর এ গ্যাসের প্রভাবে দম বন্ধ ও পরে জ্ঞান হারিয়ে মারা যান তারা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ‘ডেভেলপ স্টেজে’ পৌঁছে যায়। এতে সাদা ধোঁয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভেতরে থাকা শ্রমিকরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, যে ভবন থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, তার ছাদের দরজায় দুটি তালা লাগানো ছিল। ফলে শ্রমিকেরা ওপর তলায় উঠতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওয়াশিং কারখানা ভবন ও রাসায়নিক গুদাম—কোনোটিরই অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে ওই কারখানা ও তার বিপরীত পাশে রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মানবজমিনের একটি শিরোন “উপদেষ্টাদের কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত?”

সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের কেউ কেউ সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। তাদের কার্যক্রমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া দলগুলো। বিশেষ করে জামায়াত এবং এনসিপি’র পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উঠায় তোলপাড় চলছে। কিছু কিছু উপদেষ্টা সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন, এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য দেয়ার পর থেকে নানা আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। নাহিদ নিজেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। নাহিদ বলেছেন, উপদেষ্টাদের কারা সেফ এক্সিট খুঁজছেন তাদের নামও প্রয়োজনে প্রকাশ করে দেবেন। তার এই বক্তব্য প্রচারের পর সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সর্বশেষ জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের উপদেষ্টাদের নিয়ে বিস্ফোরক বক্তব্য দিয়েছেন। গতকাল তিনি বলেছেন, সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা নীলনকশার নির্বাচনের চেষ্টা করছে, তাদের নাম আছে, তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। তারা মিটিংয়ে কী আলোচনা করেন তার খবরও আমাদের কাছে আছে। তিনি বলেন, আমরা সময় দিচ্ছি সংশোধন হওয়ার। সংশোধন না হলে তাদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিবো। ওদিকে বিএনপি’র সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও কয়েকজন উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রধান দলগুলোর এমন মন্তব্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উপদেষ্টাদের কারা কি ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁছছেন অনেকে। যদিও এ পর্যন্ত দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো উপদেষ্টার নাম বলা হয়নি। গতকাল জামায়াত নেতা তাহের অবশ্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছের কয়েকজনের দিকে ইঙ্গিত করে অভিযোগ তোলেন।

অনেকে বলছেন, অভিযোগ তোলা দলগুলোই সরকার গঠনে ভূমিকা রেখেছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার পরিচালনায় তারা সহায়তা করছে। এই অবস্থায় তারাই আবার সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।

গত ৪ঠা অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। পরে এক প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বক্তব্যের স্বপক্ষে নাহিদ ইসলামকে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরার আহ্বান জানান। নাহিদ ইসলামের মন্তব্যের সূত্র ধরে প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেন এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, কিছু উপদেষ্টার মাঝে আমরা এই আচরণ দেখতে পাচ্ছি যে, তারা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। দেশে থাকুন আর দেশের বাইরে থাকুন; এই দায়সারা দায়িত্ব নেয়ার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না।