০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
চীনে চাহিদা ও উৎপাদন খাতে স্থবিরতা—মূল্যপতনে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা কাইলি জেনার আবার ‘কিং কাইলি’—নতুন সিঙ্গেল ‘ফোর্থ স্ট্রাইক বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে পুনরুদ্ধার—ফেডের সুদহার কমানোর ইঙ্গিতে ডলারের পতন হোক্কাইদোর ছোট্ট লাইব্রেরির ‘প্রশ্ন-দেয়াল’—দেশজুড়ে বেস্টসেলার বাজারে উদ্বৃত্ত সরবরাহ ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনায় তেলের দামে পতন আসিয়ান পাওয়ার গ্রিডে এডিবির প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার—ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও যুক্ত ওপেনএআইয়ের সঙ্গে ওয়ালমার্টের নতুন উদ্যোগ — চ্যাটজিপিটিতে এখন সরাসরি কেনাকাটার সুযোগ উইন্ডোজ ১০ শেষ—এবার ‘বড় ঘোষণা’ ইঙ্গিত দিল মাইক্রোসফট মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি টেলিস গ্রেপ্তার: গোপন নথি ফাঁস ও চীনের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জিততে পারবে—এমন বাজি ধরেছে চীন

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৭৬ শতাংশে নেমে আসছে — আইএমএফের নতুন পূর্বাভাসে অর্থনীতির ধীরগতি ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকির ইঙ্গিত

২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি দৃশ্যত কমে এসেছে। আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে অর্থনৈতিক গতিশীলতার যে ধারা ছিল, তা ধীরে ধীরে মন্থর হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএমএফ (IMF), বিশ্বব্যাংক ও এডিবি’র (ADB) সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, প্রবৃদ্ধি এখন ৩.৭৬ থেকে ৩.৮ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই পতনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগ স্থবিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কঠোর আর্থিক নীতির প্রভাব।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পতনের সংকেত

২০২৪–২৫ অর্থবছরে (জুলাই ২০২৪ – জুন ২০২৫) বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরগতিতে চলছে। আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে নানা সূচকে দেখা যাচ্ছে অর্থনৈতিক গতিচালনার “ঊর্ধ্বগতি” কমে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রবৃদ্ধির গতি কমার মূল কারণগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত হচ্ছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৭৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি-ও তাদের পূর্বাভাসে প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে এনেছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহে একধরনের সতর্ক সংকেত দিচ্ছে।

জিডিপি পূর্বাভাসে আইএমএফএডিবি ও বিশ্বব্যাংক

উৎস / সংস্থা অর্থবছর জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস মন্তব্য
IMF (World Economic Outlook, April 2025) ২০২৪–২৫ ৩.৮ % আইএমএফের “At a Glance” বিভাগে ২০২৫ সালের বাস্তব GDP বৃদ্ধির হার ৩.৮% ধরা হয়েছে
IMF (সংশোধিত) ২০২৪–২৫ ৩.৭৬ % পরবর্তী আপডেটে আইএমএফ পূর্বাভাস হালকা কমিয়ে ৩.৭৬% করেছে
ADB ২০২৪–২৫ ৩.৯ % এডিবি মনে করছে প্রবৃদ্ধি সামান্য বেশি হতে পারে
World Bank ২০২৪–২৫ ৩.৩ % বিশ্বব্যাংক তার পূর্বাভাস কমিয়ে এনে ৩.৩% করেছে
সরকার / BBS (প্রস্তাবিত) ২০২৪–২৫ ৩.৯৭ % প্রাথমিক সরকারি হিসাব অনুযায়ী বৃদ্ধির হার ৩.৯৭% ধরা হয়েছে

আগস্ট ২০২৪-এর পর পতনের ধারা: কারণ ও প্রেক্ষাপট

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সুশাসনের ঘাটতি

২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আন্দোলন-বিক্ষোভ ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। সরকার ও নীতিনির্ধারণে পরিবর্তনের আশঙ্কা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটিয়েছে, ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা এসেছে।

বিনিয়োগের হ্রাস

দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ উভয়ই কমেছে। আইএমএফ জানায়, “economic disruptions, tightened policy mix, heightened uncertainty”—এসব কারণে বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কঠোর নীতি ও সুদের চাপ

কঠোর মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতি গ্রহণের ফলে সুদের হার বেড়েছে, যা শিল্পখাতে ঋণগ্রহণ ব্যয় বাড়িয়েছে। ফলে নতুন উদ্যোগ ও অবকাঠামো প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়ছে।

বৈদেশিক চাহিদা ও রপ্তানিতে ধীরগতি

বৈশ্বিক মন্দা ও বাজারে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে চাপ তৈরি হয়েছে। পোশাক শিল্পের প্রধান ক্রেতা দেশগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি আয়ও হ্রাস পাচ্ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি

২০২৪ সালের আগস্টে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে কৃষি, যোগাযোগ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই দুর্যোগগুলো কৃষি উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটায়, যা জিডিপির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

অর্থনৈতিক সঙ্কেত ও মাইক্রোশক

আইএমএফ মিশন রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ‘ইয়ার-অন-ইয়ার’ ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধি ৩.৩% এ নেমে এসেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের ৫.১% থেকে অনেক কম। অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ঋণগ্রহণে অনীহা এবং আর্থিক খাতে দুর্বলতা সামগ্রিক অর্থনীতিকে চাপে ফেলছে।

বাজেট ও রাজস্ব সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ

রাজস্ব ঘাটতি পূরণে করব্যবস্থা বাড়ানো বা সামাজিক ছাড় কমানোর চাপ তৈরি হয়েছে। নতুন বাজেটে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হতে সময় লাগবে।

ভাবমূর্তি ও আস্থা সংকট

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। পরিকল্পনা বিলম্বিত হচ্ছে, নতুন প্রকল্প অনুমোদন ঝুলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ঋণের বোঝা ও প্রকল্প ব্যর্থতার মতো ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।

বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়

আগস্ট ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক ধীরগতি এখন দেশের অর্থনীতির জন্য এক গভীর চিন্তার কারণ। আইএমএফ ও অন্যান্য সংস্থা যেখানে ৩.৭৬% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছে, সেখানে বাজারের ভেতরে আরও ধীরগতি ও অন্তর্নিহিত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

এই অবস্থায় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন দ্রুত ও কার্যকর নীতি গ্রহণ, জনআস্থা পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া। সঠিক দিকনির্দেশনা ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ছাড়া অর্থনীতির পুনরুদ্ধার দীর্ঘায়িত হতে পারে।

#বাংলাদেশঅর্থনীতি #জিডিপিপ্রবৃদ্ধি #IMF #WorldBank #ADB #বাংলাদেশবাজেট #অর্থনৈতিকসংকট #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনে চাহিদা ও উৎপাদন খাতে স্থবিরতা—মূল্যপতনে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৭৬ শতাংশে নেমে আসছে — আইএমএফের নতুন পূর্বাভাসে অর্থনীতির ধীরগতি ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকির ইঙ্গিত

০১:২৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি দৃশ্যত কমে এসেছে। আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে অর্থনৈতিক গতিশীলতার যে ধারা ছিল, তা ধীরে ধীরে মন্থর হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএমএফ (IMF), বিশ্বব্যাংক ও এডিবি’র (ADB) সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, প্রবৃদ্ধি এখন ৩.৭৬ থেকে ৩.৮ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই পতনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগ স্থবিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কঠোর আর্থিক নীতির প্রভাব।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পতনের সংকেত

২০২৪–২৫ অর্থবছরে (জুলাই ২০২৪ – জুন ২০২৫) বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরগতিতে চলছে। আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে নানা সূচকে দেখা যাচ্ছে অর্থনৈতিক গতিচালনার “ঊর্ধ্বগতি” কমে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রবৃদ্ধির গতি কমার মূল কারণগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত হচ্ছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৭৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি-ও তাদের পূর্বাভাসে প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে এনেছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহে একধরনের সতর্ক সংকেত দিচ্ছে।

জিডিপি পূর্বাভাসে আইএমএফএডিবি ও বিশ্বব্যাংক

উৎস / সংস্থা অর্থবছর জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস মন্তব্য
IMF (World Economic Outlook, April 2025) ২০২৪–২৫ ৩.৮ % আইএমএফের “At a Glance” বিভাগে ২০২৫ সালের বাস্তব GDP বৃদ্ধির হার ৩.৮% ধরা হয়েছে
IMF (সংশোধিত) ২০২৪–২৫ ৩.৭৬ % পরবর্তী আপডেটে আইএমএফ পূর্বাভাস হালকা কমিয়ে ৩.৭৬% করেছে
ADB ২০২৪–২৫ ৩.৯ % এডিবি মনে করছে প্রবৃদ্ধি সামান্য বেশি হতে পারে
World Bank ২০২৪–২৫ ৩.৩ % বিশ্বব্যাংক তার পূর্বাভাস কমিয়ে এনে ৩.৩% করেছে
সরকার / BBS (প্রস্তাবিত) ২০২৪–২৫ ৩.৯৭ % প্রাথমিক সরকারি হিসাব অনুযায়ী বৃদ্ধির হার ৩.৯৭% ধরা হয়েছে

আগস্ট ২০২৪-এর পর পতনের ধারা: কারণ ও প্রেক্ষাপট

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সুশাসনের ঘাটতি

২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আন্দোলন-বিক্ষোভ ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। সরকার ও নীতিনির্ধারণে পরিবর্তনের আশঙ্কা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটিয়েছে, ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা এসেছে।

বিনিয়োগের হ্রাস

দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ উভয়ই কমেছে। আইএমএফ জানায়, “economic disruptions, tightened policy mix, heightened uncertainty”—এসব কারণে বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কঠোর নীতি ও সুদের চাপ

কঠোর মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতি গ্রহণের ফলে সুদের হার বেড়েছে, যা শিল্পখাতে ঋণগ্রহণ ব্যয় বাড়িয়েছে। ফলে নতুন উদ্যোগ ও অবকাঠামো প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়ছে।

বৈদেশিক চাহিদা ও রপ্তানিতে ধীরগতি

বৈশ্বিক মন্দা ও বাজারে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে চাপ তৈরি হয়েছে। পোশাক শিল্পের প্রধান ক্রেতা দেশগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি আয়ও হ্রাস পাচ্ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি

২০২৪ সালের আগস্টে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে কৃষি, যোগাযোগ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই দুর্যোগগুলো কৃষি উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটায়, যা জিডিপির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

অর্থনৈতিক সঙ্কেত ও মাইক্রোশক

আইএমএফ মিশন রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ‘ইয়ার-অন-ইয়ার’ ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধি ৩.৩% এ নেমে এসেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের ৫.১% থেকে অনেক কম। অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ঋণগ্রহণে অনীহা এবং আর্থিক খাতে দুর্বলতা সামগ্রিক অর্থনীতিকে চাপে ফেলছে।

বাজেট ও রাজস্ব সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ

রাজস্ব ঘাটতি পূরণে করব্যবস্থা বাড়ানো বা সামাজিক ছাড় কমানোর চাপ তৈরি হয়েছে। নতুন বাজেটে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হতে সময় লাগবে।

ভাবমূর্তি ও আস্থা সংকট

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। পরিকল্পনা বিলম্বিত হচ্ছে, নতুন প্রকল্প অনুমোদন ঝুলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ঋণের বোঝা ও প্রকল্প ব্যর্থতার মতো ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।

বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়

আগস্ট ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক ধীরগতি এখন দেশের অর্থনীতির জন্য এক গভীর চিন্তার কারণ। আইএমএফ ও অন্যান্য সংস্থা যেখানে ৩.৭৬% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছে, সেখানে বাজারের ভেতরে আরও ধীরগতি ও অন্তর্নিহিত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

এই অবস্থায় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন দ্রুত ও কার্যকর নীতি গ্রহণ, জনআস্থা পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া। সঠিক দিকনির্দেশনা ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ছাড়া অর্থনীতির পুনরুদ্ধার দীর্ঘায়িত হতে পারে।

#বাংলাদেশঅর্থনীতি #জিডিপিপ্রবৃদ্ধি #IMF #WorldBank #ADB #বাংলাদেশবাজেট #অর্থনৈতিকসংকট #সারাক্ষণরিপোর্ট