০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
মিয়ানমারের ২০২৫ নির্বাচন সারাদেশে হবে না—জুন্তা প্রধানের স্বীকারোক্তি চীনে চাহিদা ও উৎপাদন খাতে স্থবিরতা—মূল্যপতনে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা কাইলি জেনার আবার ‘কিং কাইলি’—নতুন সিঙ্গেল ‘ফোর্থ স্ট্রাইক বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে পুনরুদ্ধার—ফেডের সুদহার কমানোর ইঙ্গিতে ডলারের পতন হোক্কাইদোর ছোট্ট লাইব্রেরির ‘প্রশ্ন-দেয়াল’—দেশজুড়ে বেস্টসেলার বাজারে উদ্বৃত্ত সরবরাহ ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনায় তেলের দামে পতন আসিয়ান পাওয়ার গ্রিডে এডিবির প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার—ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও যুক্ত ওপেনএআইয়ের সঙ্গে ওয়ালমার্টের নতুন উদ্যোগ — চ্যাটজিপিটিতে এখন সরাসরি কেনাকাটার সুযোগ উইন্ডোজ ১০ শেষ—এবার ‘বড় ঘোষণা’ ইঙ্গিত দিল মাইক্রোসফট মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি টেলিস গ্রেপ্তার: গোপন নথি ফাঁস ও চীনের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ

নোবেল শান্তি পুরস্কারকে এখন ‘নোবেল যুদ্ধ পুরস্কার’ বলা উচিত

ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় ক্ষুব্ধএমন খবর বেরিয়েছে। পরিবর্তে পুরস্কারটি গেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর হাতে। কিন্তু যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এক মুহূর্তের জন্য নিজের ঔদ্ধত্যের বাইরে তাকাতে পারতেনতিনি বুঝতে পারতেন যে নরওয়ের নোবেল কমিটি তার প্রশাসনকে তুষ্ট করতে কতটা ঢলেছেন।
সবশেষেঅতিদক্ষিণপন্থী মাচাদোকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন ট্রাম্পেরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওযিনি তখনও সিনেটর ছিলেনএবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও বর্তমানে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজসহ আরও কয়েকজন আইনপ্রণেতা।
তিনি একবার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজে নাকি বলেছেন, “দমন বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো শক্তিমার্কিন শক্তি।
কমিটির ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই মাচাদো ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেনযদিও ট্রাম্প নাকি তার নাম মনে করতে পারেননি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যিনি আসলে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন… তিনি আমাকে ফোন করে বললেন, ‘আমি এটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছিকারণ সত্যি বলতে আপনি-ই এর যোগ্য ছিলেন।’ ভীষণ শালীন আচরণ। আমি বলিনি, ‘তাহলে আমাকে দিয়ে দিন’, যদিও আমার মনে হয়েছে তিনি হয়তো দিতেও পারতেন।


মার্কিন সাম্রাজ্যের প্রধানযে দেশ তার দেশটিকে শত্রু হিসেবে দেখে এবং সামরিক অভিযান চালাচ্ছেতাকে এভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন খুব শান্তিপূর্ণ আচরণ বলে মনে হয় না।
মাচাদো নায়ক না খলনায়িকাজাতির মুক্তিদাত্রী না রাষ্ট্রদ্রোহীএসব অনেকটাই আপনার রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তিনি আলফ্রেড নোবেল যে ধরনের শান্তিসাধকের কথা ভেবেছিলেনতেমন কারও মতো মনে হয় না।
পুরস্কারটি যা করছেমার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাচাদোর উদ্দেশে পাঠানো বার্তার মতোইতা হলো ট্রাম্প যে ভেনেজুয়েলার উপকূলে প্রাণঘাতী এবং ইতিমধ্যেই তীব্রতর সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেনসেটিকে ন্যায্যতা দেওয়া।
এর মধ্যে আছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকা উড়িয়ে দেওয়াযেগুলোকে বলা হচ্ছে ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক পাচারের নৌকা। কিন্তু সেগুলোতে কী ছিলকারা ছিলআদৌ সেগুলো ভেনেজুয়েলা থেকেই এসেছিল কি নাকিছুই যাচাই করা যায়নি।
স্বাধীন আইনি বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেনএসব হামলা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনঅর্থাৎ রাষ্ট্র-সমর্থিত হত্যার আরেক নাম।
ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়েছেতারা ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আরও প্রত্যক্ষ সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুতএর মধ্যে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনাও রয়েছে।
যুক্তিটি হলোএটা ওয়াশিংটনের মাদকবিরোধী যুদ্ধ’-এরই ধারাবাহিকতাঅথচ লাতিন আমেরিকায় এমন বহু দেশ আছেযেখানে মাদক পাচার পরিস্থিতি আরও খারাপতবু তারা যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু।


মাদুরোকে দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরতান্ত্রিক বলা হয়। কিন্তু এমন স্বৈরশাসক বিশ্বে অল্প ননযারা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। তার অপরাধ” হলোতিনিতার প্রয়াত বামপন্থী পূর্বসূরি হুগো চাভেজের মতোইযুক্তরাষ্ট্রের পছন্দসই ধরনের স্বৈরশাসক নন।
ওয়াশিংটনের দশকজুড়ে চলা নিষেধাজ্ঞা ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি ধ্বংস করেছেদেশকে জনশূন্যতার দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং অকালমৃত্যু বাড়িয়েছেএমনটা বলছে বহু স্বাধীন গবেষণা১৯৭১ সাল থেকে ১৫০টিরও বেশি দেশে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাজনিত মৃত্যুর ওপর করা দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের সাম্প্রতিক গবেষণাও তার মধ্যে রয়েছে।
মাচাদোর অবশ্য নিজের দেশের ওপর প্রাণঘাতী নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক অভিযান নিয়ে কোনো সমস্যা নেইযতক্ষণ সেটা যুক্তরাষ্ট্র করে। হয়তো তার বিশ্বাসদেশকে রক্ষা করতে চাইলে আগে সেটিকে ধ্বংস করাই দরকার।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেযুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কার্যত দেশের পুরো রপ্তানি আয়কেই ধ্বংস করেছেযার ৯৬ শতাংশই আগে আসত তেল বিক্রি থেকে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, “ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞাউদাহরণ হিসেবেযুক্তরাষ্ট্রের মহামন্দার তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড় অর্থনৈতিক সংকোচন ডেকে এনেছে।
ধারণা করা হয়৭০ লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছেনবিদ্রূপজনকভাবেএর মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তেযে অভিবাসন সংকট সামাল দিতে ট্রাম্প সবচেয়ে নির্বিচার ও নির্মম পদ্ধতি অবলম্বন করতে চেয়েছেন।
কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলেনোবেল শান্তি পুরস্কার প্রায়ই শান্তির চেয়ে কম এবং পশ্চিমাবিশেষত যুক্তরাষ্ট্রেরবৈদেশিক নীতিকে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার বেশি। প্রয়াত লিউ শিয়াওবো ছিলেন এ প্রবণতার ক্লাসিক উদাহরণ। তবে অন্তত তিনি অহিংসার পক্ষে ছিলেনঅনেক বিজয়ীর ক্ষেত্রে সেটিও নেই।


সুইডেনভিত্তিক ট্রান্সন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর পিস অ্যান্ড ফিউচার রিসার্চ’ বলেছে, “মাচাদো এমন এক উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতায় যুক্ত হলেনযাদের কর্মকাণ্ড শান্তির চেতনার পরিপন্থী: কিসিঞ্জারওবামাইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউক্রেনের সেই মানবাধিকারকর্মীরা যারা আরও অস্ত্র আমদানির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।” সংস্থাটি আরও বলেছে, “প্রতিটি পুরস্কার শান্তির অর্থকে ক্ষয় করেছেসেটিকে কৌশলগত প্রতীকে প্রতিস্থাপন করেছে এবং স্বভাবতইব্যতিক্রমহীনভাবেযুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেছে।
এটা [নোবেল কমিটির জন্য] এক বিভ্রান্তিকর নির্বাচন,” বলেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাতিন আমেরিকার ইতিহাসবিদ গ্রেগ গ্র্যান্ডিনডেমোক্রেসি নাউ চ্যানেলকে। তারা এমন একজনকে পুরস্কৃত করেছেযিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের সবচেয়ে সামরিকতাবাদী ও অন্ধকারাচ্ছন্ন চেহারার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের ২০২৫ নির্বাচন সারাদেশে হবে না—জুন্তা প্রধানের স্বীকারোক্তি

নোবেল শান্তি পুরস্কারকে এখন ‘নোবেল যুদ্ধ পুরস্কার’ বলা উচিত

০১:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় ক্ষুব্ধএমন খবর বেরিয়েছে। পরিবর্তে পুরস্কারটি গেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর হাতে। কিন্তু যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এক মুহূর্তের জন্য নিজের ঔদ্ধত্যের বাইরে তাকাতে পারতেনতিনি বুঝতে পারতেন যে নরওয়ের নোবেল কমিটি তার প্রশাসনকে তুষ্ট করতে কতটা ঢলেছেন।
সবশেষেঅতিদক্ষিণপন্থী মাচাদোকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন ট্রাম্পেরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওযিনি তখনও সিনেটর ছিলেনএবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও বর্তমানে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজসহ আরও কয়েকজন আইনপ্রণেতা।
তিনি একবার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজে নাকি বলেছেন, “দমন বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো শক্তিমার্কিন শক্তি।
কমিটির ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই মাচাদো ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেনযদিও ট্রাম্প নাকি তার নাম মনে করতে পারেননি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যিনি আসলে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন… তিনি আমাকে ফোন করে বললেন, ‘আমি এটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছিকারণ সত্যি বলতে আপনি-ই এর যোগ্য ছিলেন।’ ভীষণ শালীন আচরণ। আমি বলিনি, ‘তাহলে আমাকে দিয়ে দিন’, যদিও আমার মনে হয়েছে তিনি হয়তো দিতেও পারতেন।


মার্কিন সাম্রাজ্যের প্রধানযে দেশ তার দেশটিকে শত্রু হিসেবে দেখে এবং সামরিক অভিযান চালাচ্ছেতাকে এভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন খুব শান্তিপূর্ণ আচরণ বলে মনে হয় না।
মাচাদো নায়ক না খলনায়িকাজাতির মুক্তিদাত্রী না রাষ্ট্রদ্রোহীএসব অনেকটাই আপনার রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তিনি আলফ্রেড নোবেল যে ধরনের শান্তিসাধকের কথা ভেবেছিলেনতেমন কারও মতো মনে হয় না।
পুরস্কারটি যা করছেমার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাচাদোর উদ্দেশে পাঠানো বার্তার মতোইতা হলো ট্রাম্প যে ভেনেজুয়েলার উপকূলে প্রাণঘাতী এবং ইতিমধ্যেই তীব্রতর সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেনসেটিকে ন্যায্যতা দেওয়া।
এর মধ্যে আছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকা উড়িয়ে দেওয়াযেগুলোকে বলা হচ্ছে ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক পাচারের নৌকা। কিন্তু সেগুলোতে কী ছিলকারা ছিলআদৌ সেগুলো ভেনেজুয়েলা থেকেই এসেছিল কি নাকিছুই যাচাই করা যায়নি।
স্বাধীন আইনি বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেনএসব হামলা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনঅর্থাৎ রাষ্ট্র-সমর্থিত হত্যার আরেক নাম।
ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়েছেতারা ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আরও প্রত্যক্ষ সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুতএর মধ্যে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনাও রয়েছে।
যুক্তিটি হলোএটা ওয়াশিংটনের মাদকবিরোধী যুদ্ধ’-এরই ধারাবাহিকতাঅথচ লাতিন আমেরিকায় এমন বহু দেশ আছেযেখানে মাদক পাচার পরিস্থিতি আরও খারাপতবু তারা যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু।


মাদুরোকে দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরতান্ত্রিক বলা হয়। কিন্তু এমন স্বৈরশাসক বিশ্বে অল্প ননযারা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। তার অপরাধ” হলোতিনিতার প্রয়াত বামপন্থী পূর্বসূরি হুগো চাভেজের মতোইযুক্তরাষ্ট্রের পছন্দসই ধরনের স্বৈরশাসক নন।
ওয়াশিংটনের দশকজুড়ে চলা নিষেধাজ্ঞা ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি ধ্বংস করেছেদেশকে জনশূন্যতার দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং অকালমৃত্যু বাড়িয়েছেএমনটা বলছে বহু স্বাধীন গবেষণা১৯৭১ সাল থেকে ১৫০টিরও বেশি দেশে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাজনিত মৃত্যুর ওপর করা দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের সাম্প্রতিক গবেষণাও তার মধ্যে রয়েছে।
মাচাদোর অবশ্য নিজের দেশের ওপর প্রাণঘাতী নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক অভিযান নিয়ে কোনো সমস্যা নেইযতক্ষণ সেটা যুক্তরাষ্ট্র করে। হয়তো তার বিশ্বাসদেশকে রক্ষা করতে চাইলে আগে সেটিকে ধ্বংস করাই দরকার।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেযুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কার্যত দেশের পুরো রপ্তানি আয়কেই ধ্বংস করেছেযার ৯৬ শতাংশই আগে আসত তেল বিক্রি থেকে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, “ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞাউদাহরণ হিসেবেযুক্তরাষ্ট্রের মহামন্দার তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড় অর্থনৈতিক সংকোচন ডেকে এনেছে।
ধারণা করা হয়৭০ লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছেনবিদ্রূপজনকভাবেএর মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তেযে অভিবাসন সংকট সামাল দিতে ট্রাম্প সবচেয়ে নির্বিচার ও নির্মম পদ্ধতি অবলম্বন করতে চেয়েছেন।
কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলেনোবেল শান্তি পুরস্কার প্রায়ই শান্তির চেয়ে কম এবং পশ্চিমাবিশেষত যুক্তরাষ্ট্রেরবৈদেশিক নীতিকে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার বেশি। প্রয়াত লিউ শিয়াওবো ছিলেন এ প্রবণতার ক্লাসিক উদাহরণ। তবে অন্তত তিনি অহিংসার পক্ষে ছিলেনঅনেক বিজয়ীর ক্ষেত্রে সেটিও নেই।


সুইডেনভিত্তিক ট্রান্সন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর পিস অ্যান্ড ফিউচার রিসার্চ’ বলেছে, “মাচাদো এমন এক উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতায় যুক্ত হলেনযাদের কর্মকাণ্ড শান্তির চেতনার পরিপন্থী: কিসিঞ্জারওবামাইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউক্রেনের সেই মানবাধিকারকর্মীরা যারা আরও অস্ত্র আমদানির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।” সংস্থাটি আরও বলেছে, “প্রতিটি পুরস্কার শান্তির অর্থকে ক্ষয় করেছেসেটিকে কৌশলগত প্রতীকে প্রতিস্থাপন করেছে এবং স্বভাবতইব্যতিক্রমহীনভাবেযুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটো স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেছে।
এটা [নোবেল কমিটির জন্য] এক বিভ্রান্তিকর নির্বাচন,” বলেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাতিন আমেরিকার ইতিহাসবিদ গ্রেগ গ্র্যান্ডিনডেমোক্রেসি নাউ চ্যানেলকে। তারা এমন একজনকে পুরস্কৃত করেছেযিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের সবচেয়ে সামরিকতাবাদী ও অন্ধকারাচ্ছন্ন চেহারার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।