কম্বোডিয়ায় কোরিয়ানদের জড়িত হওয়ার বিষয়
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উই সেঙ্গ-লাক বুধবার জানিয়েছেন, প্রায় ১,০০০ কোরিয়ান কম্বোডিয়ায় সংঘটিত অপরাধী চক্রগুলোর সাথে জড়িত, তবে তাদের মধ্যে কতজন ভিকটিম এবং কতজন স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
এ তথ্যটি সিউলে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যেখানে কম্বোডিয়ার অপরাধী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কোরিয়ানদের জন্য চাকরি প্রতারণা এবং অপহরণের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে। এই চক্রগুলো বিশ্বব্যাপী ভিকটিমদের লক্ষ্য করে কাজ করছে, যার মধ্যে কোরিয়াও রয়েছে।
প্রতারণার উপকরণ
কম্বোডিয়ায় অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে কোরিয়ানদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে, যেখানে ভালো বেতন এবং যেমন চাকরি ভাষা দোভাষী, ডেটা এন্ট্রি অথবা সামাজিক মিডিয়া ব্যবস্থাপনা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। সেখানে যাওয়ার পর কোরিয়ানরা জানতে পারেন যে তারা বন্দী হয়ে পড়েছেন এবং তাদেরকে প্রতারণার কার্যক্রমে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সরকারের পদক্ষেপ
সিউল দ্রুত এই অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত কোরিয়ানদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে এবং অপহৃত নাগরিকদের খুঁজে বের করতে সরকারের পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উই সেঙ্গ-লাক জানান, ভিকটিম ও অপরাধীদের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কারণ অনেক কোরিয়ান যারা স্বেচ্ছায় কম্বোডিয়ায় গিয়েছিলেন, পরে অপরাধে জড়িত হয়েছেন এবং এখন তারা ফিরে আসতে চাইলেও পারছেন না।
কোরিয়ার চেষ্টায় সমন্বয় প্রয়োজন
কোরিয়ার সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হলো ৬০ জন কোরিয়ানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা, যাদের মধ্যে প্রায় ৯০ জনকে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে কম্বোডিয়াতে অভিযানে আটক করা হয়েছিল। এ জন্য কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে সক্রিয় সমন্বয় প্রয়োজন।
প্রতিনিধি দল পাঠানো
এ বিষয়ে আলোচনা করতে সিউল একটি সরকারী প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন দ্বিতীয় উপ-বিদেশী মন্ত্রী কিম জিনা। কিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সহকর্মীর সাথে বৈঠক করবেন এবং আটক কোরিয়ানদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
আইনগত ব্যবস্থা
কম্বোডিয়াতে কোরিয়ানদের জন্য ৪ স্তরের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিশেষভাবে নির্দিষ্ট এলাকায় কোরিয়ানদের যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরই, ওই এলাকায় যেসব কোরিয়ান গেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে কোরিয়ার সরকারের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কোরিয়ান কর্মকর্তাদের সীমিত ক্ষমতা রয়েছে বিদেশে কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে।