০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’ নিয়ে অবকাঠামো জোটের পাল্টা চাপ

ওয়েব ট্রাফিক, কপিরাইট ও লিংক-ইকোনমি

গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’ বৈশিষ্ট্যকে ঘিরে ওয়েব অবকাঠামো কোম্পানি, প্রকাশক ও ডেভেলপার কমিউনিটির একাংশ নতুন করে আপত্তি তুলছে। তাদের যুক্তি—সারসংক্ষেপ-ভিত্তিক উত্তর ব্যবহারকারীদের সাইটে পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে, ভুল তথ্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এবং ওপেন ওয়েবের লিংক-নির্ভর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক, DNS ও বড় হোস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অস্পষ্ট এআই ক্রলার থেকে বাড়তি লোড আসছে; রেফারাল বদলে যাওয়ায় মৌলিক রিপোর্টিং বা ডকুমেন্টেশন তৈরির প্রণোদনা কমছে। ফলে কেউ কেউ প্রযুক্তিগত প্রতিরোধে নামছে—অঘোষিত বট থ্রোটল করা, রোবটস নীতিমালা কড়া করা, আর লো-সিগন্যাল রিকোয়েস্টে এজ-ক্যাশিং বদলে খরচ বাড়ানো। বার্তাটি পরিষ্কার: ব্যবহারকারী ফিরিয়ে না দিলে, ওয়েবের ‘কাঁচামাল’ তুলতে খরচও বাড়বে।

ঝুঁকি, পণ্য আস্থা ও সম্ভাব্য পরিবর্তন

গুগলের জন্য ঝুঁকি দ্বিমুখী। প্রথমত, কপিরাইট ও বট-অ্যাক্সেস চুক্তি ভাঙার অভিযোগে আইনি চাপ বাড়তে পারে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য-অর্থনীতি-নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্নে এআই-উত্তরের ভুল বা প্রেক্ষাপটহীনতা আস্থা ক্ষয়ে দিতে পারে। সরাসরি বয়কট নয়; বহু প্রতিষ্ঠানই এখনও গুগল ট্র্যাফিক ও বিজ্ঞাপন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সমন্বিত ‘ফ্রিকশন’—প্রযুক্তিগত, আইনি ও সুনামগত—পণ্যে সমন্বয় আনতে বাধ্য করতে পারে। সামনে বট-লেবেলিং আরও স্পষ্ট হওয়া, অপ্ট-আউট বাস্তবায়ন কঠোর করা, আর ওভারভিউকে নির্দিষ্ট খাতে বা স্পষ্ট প্রম্পটের পেছনে সরিয়ে নেওয়ার পরীক্ষা বাড়তে পারে। মূল প্রশ্নটি টিকে: যে সার্চ সবকিছু সংক্ষেপ করে, সেটি কি সবকিছু তৈরি করা ইকোসিস্টেমটিকেও টিকিয়ে রাখতে পারে? অবকাঠামো কোম্পানিগুলোর হিসাব বলছে—এখনও পাইপের প্রভাব আছে, আর পাইপ চাইলে চাপও দিতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’ নিয়ে অবকাঠামো জোটের পাল্টা চাপ

০৭:০৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ওয়েব ট্রাফিক, কপিরাইট ও লিংক-ইকোনমি

গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’ বৈশিষ্ট্যকে ঘিরে ওয়েব অবকাঠামো কোম্পানি, প্রকাশক ও ডেভেলপার কমিউনিটির একাংশ নতুন করে আপত্তি তুলছে। তাদের যুক্তি—সারসংক্ষেপ-ভিত্তিক উত্তর ব্যবহারকারীদের সাইটে পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে, ভুল তথ্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এবং ওপেন ওয়েবের লিংক-নির্ভর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক, DNS ও বড় হোস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অস্পষ্ট এআই ক্রলার থেকে বাড়তি লোড আসছে; রেফারাল বদলে যাওয়ায় মৌলিক রিপোর্টিং বা ডকুমেন্টেশন তৈরির প্রণোদনা কমছে। ফলে কেউ কেউ প্রযুক্তিগত প্রতিরোধে নামছে—অঘোষিত বট থ্রোটল করা, রোবটস নীতিমালা কড়া করা, আর লো-সিগন্যাল রিকোয়েস্টে এজ-ক্যাশিং বদলে খরচ বাড়ানো। বার্তাটি পরিষ্কার: ব্যবহারকারী ফিরিয়ে না দিলে, ওয়েবের ‘কাঁচামাল’ তুলতে খরচও বাড়বে।

ঝুঁকি, পণ্য আস্থা ও সম্ভাব্য পরিবর্তন

গুগলের জন্য ঝুঁকি দ্বিমুখী। প্রথমত, কপিরাইট ও বট-অ্যাক্সেস চুক্তি ভাঙার অভিযোগে আইনি চাপ বাড়তে পারে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য-অর্থনীতি-নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্নে এআই-উত্তরের ভুল বা প্রেক্ষাপটহীনতা আস্থা ক্ষয়ে দিতে পারে। সরাসরি বয়কট নয়; বহু প্রতিষ্ঠানই এখনও গুগল ট্র্যাফিক ও বিজ্ঞাপন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সমন্বিত ‘ফ্রিকশন’—প্রযুক্তিগত, আইনি ও সুনামগত—পণ্যে সমন্বয় আনতে বাধ্য করতে পারে। সামনে বট-লেবেলিং আরও স্পষ্ট হওয়া, অপ্ট-আউট বাস্তবায়ন কঠোর করা, আর ওভারভিউকে নির্দিষ্ট খাতে বা স্পষ্ট প্রম্পটের পেছনে সরিয়ে নেওয়ার পরীক্ষা বাড়তে পারে। মূল প্রশ্নটি টিকে: যে সার্চ সবকিছু সংক্ষেপ করে, সেটি কি সবকিছু তৈরি করা ইকোসিস্টেমটিকেও টিকিয়ে রাখতে পারে? অবকাঠামো কোম্পানিগুলোর হিসাব বলছে—এখনও পাইপের প্রভাব আছে, আর পাইপ চাইলে চাপও দিতে পারে।