ওয়েব ট্রাফিক, কপিরাইট ও লিংক-ইকোনমি
গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’ বৈশিষ্ট্যকে ঘিরে ওয়েব অবকাঠামো কোম্পানি, প্রকাশক ও ডেভেলপার কমিউনিটির একাংশ নতুন করে আপত্তি তুলছে। তাদের যুক্তি—সারসংক্ষেপ-ভিত্তিক উত্তর ব্যবহারকারীদের সাইটে পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে, ভুল তথ্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এবং ওপেন ওয়েবের লিংক-নির্ভর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক, DNS ও বড় হোস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অস্পষ্ট এআই ক্রলার থেকে বাড়তি লোড আসছে; রেফারাল বদলে যাওয়ায় মৌলিক রিপোর্টিং বা ডকুমেন্টেশন তৈরির প্রণোদনা কমছে। ফলে কেউ কেউ প্রযুক্তিগত প্রতিরোধে নামছে—অঘোষিত বট থ্রোটল করা, রোবটস নীতিমালা কড়া করা, আর লো-সিগন্যাল রিকোয়েস্টে এজ-ক্যাশিং বদলে খরচ বাড়ানো। বার্তাটি পরিষ্কার: ব্যবহারকারী ফিরিয়ে না দিলে, ওয়েবের ‘কাঁচামাল’ তুলতে খরচও বাড়বে।
ঝুঁকি, পণ্য আস্থা ও সম্ভাব্য পরিবর্তন
গুগলের জন্য ঝুঁকি দ্বিমুখী। প্রথমত, কপিরাইট ও বট-অ্যাক্সেস চুক্তি ভাঙার অভিযোগে আইনি চাপ বাড়তে পারে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য-অর্থনীতি-নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্নে এআই-উত্তরের ভুল বা প্রেক্ষাপটহীনতা আস্থা ক্ষয়ে দিতে পারে। সরাসরি বয়কট নয়; বহু প্রতিষ্ঠানই এখনও গুগল ট্র্যাফিক ও বিজ্ঞাপন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সমন্বিত ‘ফ্রিকশন’—প্রযুক্তিগত, আইনি ও সুনামগত—পণ্যে সমন্বয় আনতে বাধ্য করতে পারে। সামনে বট-লেবেলিং আরও স্পষ্ট হওয়া, অপ্ট-আউট বাস্তবায়ন কঠোর করা, আর ওভারভিউকে নির্দিষ্ট খাতে বা স্পষ্ট প্রম্পটের পেছনে সরিয়ে নেওয়ার পরীক্ষা বাড়তে পারে। মূল প্রশ্নটি টিকে: যে সার্চ সবকিছু সংক্ষেপ করে, সেটি কি সবকিছু তৈরি করা ইকোসিস্টেমটিকেও টিকিয়ে রাখতে পারে? অবকাঠামো কোম্পানিগুলোর হিসাব বলছে—এখনও পাইপের প্রভাব আছে, আর পাইপ চাইলে চাপও দিতে পারে।