নিরাপত্তাবোধ, আচরণবিধি ও যাত্রীর মনস্তত্ত্ব
নতুন এক বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে গণপরিবহনের বড় সঙ্কট শুধু সময়সূচি বা ট্র্যাক নয়; যাত্রীর ‘ভয়’ ও ‘অপরিচ্ছন্নতা/অশৃঙ্খলা’ই চাহিদা কমায়। পরিসংখ্যানের তুলনায় ধারণা (পারসেপশন) বেশি নেতিবাচক; ছোটখাটো বিশৃঙ্খলাও সীমান্তবর্তী যাত্রীকে সরে যেতে বাধ্য করে। মহামারি-পরবর্তী সময়ে অনেকে সার্ভিস ফিরিয়েও যাত্রী ফেরত পাননি—স্টেশন তদারকি, আলো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দৃশ্যমান স্টাফে যথেষ্ট বিনিয়োগ না থাকায়। শুধু ‘জলবায়ু’ বা ‘যানজট’ যুক্তিতে ট্রানজিটকে ব্যাখ্যা করলে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার বাস্তবতা চাপা পড়ে। তুলনায় ইউরোপ-এশিয়ার নানা শহরে আচরণবিধি প্রয়োগ, চোরা টিকিট দমন, ধূমপানবিরোধী শৃঙ্খলা ও সামাজিক আস্থার মিশেল গণপরিবহনকে ভিড়ভাট্টায়ও নিরাপদ অনুভব করায়। যুক্তরাষ্ট্রে খণ্ডিত শাসন কাঠামো ও বাজেট রাজনীতি—এই মৌলিক কাজগুলোকে কঠিন করে।
কী করলে যাত্রী ফেরে
সমাধান একটার নয়—এক গুচ্ছ পদক্ষেপ দরকার। সশস্ত্র পুলিশের পাশাপাশি বা বিকল্প হিসেবে অনার্মড অ্যাটেনডেন্ট, কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর, ‘ক্রাইসিস রেসপন্স’ টিম যোগ হলে যাত্রীর আস্থা বাড়ে। পরিচ্ছন্নতা-রক্ষণাবেক্ষণের প্রভাব অসামঞ্জস্যভাবে বড়; ছোট ডিজাইন বদল—খোলা দৃশ্যপথ, উজ্জ্বল প্ল্যাটফর্ম, টানেলে নেটওয়ার্ক—নিরাপত্তাবোধ বাড়ায়। ঘটনাপঞ্জি ডেটা খোলামেলা প্রকাশ পারসেপশন গ্যাপ কমাতে পারে—তবে তা দৃশ্যমান পরিবর্তনের সঙ্গে হলে তবেই কার্যকর। রাজনৈতিক পরীক্ষাটা হলো—রেল মেগা-প্রকল্পের মতোই দৈনন্দিন অপারেশনে অর্থ ঢালা যায় কি না। তা হলে গাড়ি/রাইড-হেইলিংয়ে সরে যাওয়া যাত্রী ফেরানো সম্ভব; আর তখনই নিঃসরণ কমানো, সমতা ও ডাউনটাউন পুনরুদ্ধারের বৃহত্তর লক্ষ্যও এগোয়। সারকথা—নিরাপত্তা ও মর্যাদা আগে; ফ্রিকোয়েন্সি ও গতি তখনই ফল দেয়, যখন যাত্রীরা নিশ্চিন্তে ট্রেনে উঠতে পারেন।