চুক্তির খসড়া, স্বচ্ছতা ও কপিরাইট
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাই সনি মিউজিক, ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ, ওয়ার্নার মিউজিকসহ বড় লেবেলের সঙ্গে এআই-চালিত নতুন প্রোডাক্টে কাজ করতে যাচ্ছে। লক্ষ্য—ডিসকভারি, প্লেলিস্টিং ও ক্রিয়েটর টুলসের মতো ফিচার পরীক্ষা করা, একইসঙ্গে ভয়েস-ক্লোন/সিন্থেটিক কনটেন্টের জন্য ওয়াটারমার্কিং ও লাইসেন্সিংয়ের স্পষ্ট কাঠামো দাঁড় করানো। লেবেলগুলোর হিসাব দ্বিমুখী—অননুমোদিত এআই ট্র্যাকের স্রোত নিয়ন্ত্রণ করা, আর বৈধ টুল থেকে নতুন রাজস্ব ধরতে পারা। স্পটিফাইয়ের জন্য এটি কৌশলগত—পূর্বের পরীক্ষায় ‘রুলসের আগে দৌড়’ সমালোচনার পর এবার মানদণ্ড নির্ধারণে নিজ হাত শক্ত করা: কী লেবেল হবে, কে কত পাবে, কী ব্লক হবে।
সুযোগ, সীমারেখা ও অমীমাংসিত প্রশ্ন
লেবেলগুলো সম্মতি-নির্ভর ভয়েস মডেল, প্রয়াত শিল্পীদের ‘নো-ফ্লাই লিস্ট’ ও এমন রাজস্বভাগ চায় যা মানব শিল্পীর প্রাপ্যকে পাতলা না করে। ভোক্তা সংগঠনগুলো চাইবে—এআই কণ্ঠ বা যন্ত্র ব্যবহার হলে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত থাকুক। স্বাধীন শিল্পীদের অবস্থান মিশ্র—কারও কাছে এআই টুল ‘লিভারেজ’, কারও চোখে এটি এমন প্রতিযোগিতা যেখানে সুরারোপের দক্ষতার চেয়ে প্রম্পট-দক্ষতা পুরস্কৃত হয়। আইনজীবীরা ‘ক্লিন-রুম’ ট্রেনিং ও স্যাম্পলিং-সুলভ লাইসেন্সিংয়ের ইঙ্গিত দেখছেন। পরীক্ষার প্রথম ধাপ সীমিত অঞ্চলে ও ঘরানায়—হিপ-হপ হুক, ইডিএম স্টেম, ভাষাভিত্তিক ভ্যারিয়েন্ট—চালু হতে পারে। বড় প্রশ্ন—শ্রোতারা ‘এআই-লেবেলড’ ট্র্যাককে কতটা গ্রহণ করবেন। নিশ্চিত যা, গার্ডরেলই গতি ঠিক করবে—ক্রেডিট যত স্বচ্ছ, অধিকার যত পরিষ্কার, পরীক্ষাও তত দ্রুত স্যান্ডবক্স ছাড়তে পারবে।