১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
২১০০ সালে বছরে ৫৭টি অতিরিক্ত ‘সুপারহট’ দিন—সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট দেশগুলো কর্মস্থলে হয়রানির শিকারদের মধ্যে ৩৫% নিরব থাকে, ভয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় না এআই সংগীতে বড় জোট: স্পটিফাই–সনি–ইউনিভার্সাল–ওয়ার্নারের নতুন পরীক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম আমেরিকার গণপরিবহনে ‘ভয়’-ই বড় বাধা—সমাধান পরিষ্কার: নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৯) তিন দফা দাবিতে অনড় আন্দোলন—আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলেন শিক্ষকরা চার দিন পর সামান্য ঘুরে দাঁড়াল ডিএসই, সিএসই-তে পতন অব্যাহত চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী বিমানবাহিনী ভারতের: নিউজউইক ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশীকে গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রাণঘাতী শঙ্খিনী সাপ ( ব্যান্ডেড ক্রাইট): রঙিন সৌন্দর্যের আড়ালে লুকানো মারাত্মক বিষ

চার দিন পর সামান্য ঘুরে দাঁড়াল ডিএসই, সিএসই-তে পতন অব্যাহত

সপ্তাহের শেষ দিনে মূলধন বাজারে মিশ্র প্রবণতা

দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল তুলনামূলক ধীরগতির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। বাজারে অংশগ্রহণ ছিল কম এবং লেনদেনের পরিমাণও নেমে আসে মাসের সর্বনিম্ন স্তরে।

ডিএসই-তে চার দিন পর সূচকের সামান্য পুনরুদ্ধার

ডিএসই-র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) চার দিন পর মাত্র ২ পয়েন্ট বেড়ে সামান্য উত্থানে সপ্তাহ শেষ করে। অন্যদিকে শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস (DSES) সূচক ৫ পয়েন্ট কমে যায়, আর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) অপরিবর্তিত থাকে।

লেনদেনের সামগ্রিক চিত্রে দেখা যায়, বাজারের প্রস্থ নেতিবাচক ছিল। মোট ১৭৯টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ১৫৪টির দাম বেড়েছে এবং ৬৫টি অপরিবর্তিত ছিল।

খাতভিত্তিক অবস্থান

বিভাগভিত্তিক হিসাবে ‘এ’ ক্যাটাগরির মৌলিকভাবে শক্তিশালী শেয়ারগুলো কিছুটা ভালো করেছে। এই শ্রেণিতে ১০৫ কোম্পানির দর বেড়েছে, ৯২টির কমেছে এবং ২৪টি অপরিবর্তিত থেকেছে। অন্যদিকে ‘বি’ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোতে পতন দেখা যায়।

লেনদেনের নিম্নগতি

ডিএসই-তে দৈনিক লেনদেন কমে দাঁড়ায় ৪৪৪ কোটি টাকায়, যা আগের কার্যদিবসের ৪৮৭ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এটি চলতি মাসের সর্বনিম্ন লেনদেনের পরিমাণ।

ব্লক মার্কেটে ১৫টি কোম্পানির শেয়ার মোট ১১ কোটি টাকায় লেনদেন হয়। এর মধ্যে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ছিল শীর্ষে, যার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩.৯ কোটি টাকা।

সর্বোচ্চ মুনাফা ও ক্ষতিগ্রস্ত শেয়ার

দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পায় পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, যার শেয়ারমূল্য প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ কমে গেছে।

সিএসই-তে পতনের ধারা অব্যাহত

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক আরও ৩৬ পয়েন্ট কমে যায়, যা বাজারে ক্রেতা চাহিদার দুর্বলতা নির্দেশ করে। সেখানে ১০৬টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ৫৩টির বেড়েছে এবং ২৩টি অপরিবর্তিত ছিল।

লেনদেনও আরও কমে ৯ কোটি টাকায় দাঁড়ায়, যা আগের কার্যদিবসের ১৪ কোটি টাকার তুলনায় স্পষ্টভাবে নিম্নমুখী।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সিএসই-তেও সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধিকারী প্রতিষ্ঠান ছিল (প্রায় ৯%), আর এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড দিনের সর্বাধিক দরপতনকারী, যার শেয়ারমূল্য ১০ শতাংশ কমে যায়।

বাজার বিশ্লেষণ

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে স্পষ্ট নীতিগত পদক্ষেপ প্রয়োজন। সাম্প্রতিক মন্দাভাব ও লেনদেনের নিম্নস্তর নির্দেশ করে যে, বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থানে আছেন।

#ঢাকাস্টকএক্সচেঞ্জ #চট্টগ্রামস্টকএক্সচেঞ্জ #ডিএসই #সিএসই #পুঁজিবাজার #শেয়ারবাজার #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

২১০০ সালে বছরে ৫৭টি অতিরিক্ত ‘সুপারহট’ দিন—সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট দেশগুলো

চার দিন পর সামান্য ঘুরে দাঁড়াল ডিএসই, সিএসই-তে পতন অব্যাহত

০৮:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

সপ্তাহের শেষ দিনে মূলধন বাজারে মিশ্র প্রবণতা

দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল তুলনামূলক ধীরগতির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। বাজারে অংশগ্রহণ ছিল কম এবং লেনদেনের পরিমাণও নেমে আসে মাসের সর্বনিম্ন স্তরে।

ডিএসই-তে চার দিন পর সূচকের সামান্য পুনরুদ্ধার

ডিএসই-র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) চার দিন পর মাত্র ২ পয়েন্ট বেড়ে সামান্য উত্থানে সপ্তাহ শেষ করে। অন্যদিকে শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস (DSES) সূচক ৫ পয়েন্ট কমে যায়, আর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) অপরিবর্তিত থাকে।

লেনদেনের সামগ্রিক চিত্রে দেখা যায়, বাজারের প্রস্থ নেতিবাচক ছিল। মোট ১৭৯টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ১৫৪টির দাম বেড়েছে এবং ৬৫টি অপরিবর্তিত ছিল।

খাতভিত্তিক অবস্থান

বিভাগভিত্তিক হিসাবে ‘এ’ ক্যাটাগরির মৌলিকভাবে শক্তিশালী শেয়ারগুলো কিছুটা ভালো করেছে। এই শ্রেণিতে ১০৫ কোম্পানির দর বেড়েছে, ৯২টির কমেছে এবং ২৪টি অপরিবর্তিত থেকেছে। অন্যদিকে ‘বি’ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোতে পতন দেখা যায়।

লেনদেনের নিম্নগতি

ডিএসই-তে দৈনিক লেনদেন কমে দাঁড়ায় ৪৪৪ কোটি টাকায়, যা আগের কার্যদিবসের ৪৮৭ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এটি চলতি মাসের সর্বনিম্ন লেনদেনের পরিমাণ।

ব্লক মার্কেটে ১৫টি কোম্পানির শেয়ার মোট ১১ কোটি টাকায় লেনদেন হয়। এর মধ্যে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ছিল শীর্ষে, যার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩.৯ কোটি টাকা।

সর্বোচ্চ মুনাফা ও ক্ষতিগ্রস্ত শেয়ার

দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পায় পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, যার শেয়ারমূল্য প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ কমে গেছে।

সিএসই-তে পতনের ধারা অব্যাহত

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক আরও ৩৬ পয়েন্ট কমে যায়, যা বাজারে ক্রেতা চাহিদার দুর্বলতা নির্দেশ করে। সেখানে ১০৬টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ৫৩টির বেড়েছে এবং ২৩টি অপরিবর্তিত ছিল।

লেনদেনও আরও কমে ৯ কোটি টাকায় দাঁড়ায়, যা আগের কার্যদিবসের ১৪ কোটি টাকার তুলনায় স্পষ্টভাবে নিম্নমুখী।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সিএসই-তেও সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধিকারী প্রতিষ্ঠান ছিল (প্রায় ৯%), আর এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড দিনের সর্বাধিক দরপতনকারী, যার শেয়ারমূল্য ১০ শতাংশ কমে যায়।

বাজার বিশ্লেষণ

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে স্পষ্ট নীতিগত পদক্ষেপ প্রয়োজন। সাম্প্রতিক মন্দাভাব ও লেনদেনের নিম্নস্তর নির্দেশ করে যে, বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থানে আছেন।

#ঢাকাস্টকএক্সচেঞ্জ #চট্টগ্রামস্টকএক্সচেঞ্জ #ডিএসই #সিএসই #পুঁজিবাজার #শেয়ারবাজার #সারাক্ষণরিপোর্ট