বাজারে ‘এআই-সংলগ্ন’ শক্তির ঢেউ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিনিয়োগ উন্মাদনা জ্বালানি খাতে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলছে। ডেটা সেন্টারের ২৪/৭ বিদ্যুতের চাহিদা, চিপ কারখানা-সার্ভার নির্মাতা-ক্লাউড কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎচুক্তি—সব মিলিয়ে এলএনজি পরিবহন, টারবাইন নির্মাতা ও বড় জেনারেশন-সমৃদ্ধ ইউটিলিটিতে ক্রয়চাপ বেড়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের সতর্কবার্তা—লাভের গল্প পদার্থবিদ্যা ও পারমিটিং বাস্তবতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সক্ষমতা—গ্যাস পিকার, উন্নত নিউক্লিয়ার বা বৃহৎ স্টোরেজ—গড়তে বছর লাগে, প্রান্তিক নয়। একইসঙ্গে ট্রান্সমিশন আপগ্রেড পিছিয়ে, অনুমোদন জটিলতা বাড়ছে, আর তেল-গ্যাসের অস্থিরতা আয়কে দোলাচলে ফেলছে। ফলে ‘এআই-সংলগ্ন শক্তি’ শেয়ারে ফেনা; একটি হাইপারস্কেল ক্যাম্পাসের খবর বা রপ্তানি নীতির গুঞ্জনেই দামের বড় ওঠানামা।
চাহিদা নরম হলে কী ভাঙবে
যদি এআই-চাহিদা কমে—মডেল দক্ষতা বাড়ায়, অর্থায়ন কঠোর হয় বা নতুন বিধিনিয়ম কাঁচা শক্তি-নির্ভর ট্রেনিং কমায়—তাহলে উচ্চ মূল্যায়ন দ্রুত গুটিয়ে যেতে পারে। ডেটা সেন্টার সংযোগে দ্বি-অঙ্ক রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ইউটিলিটি তহবিল পুনরুদ্ধার ইস্যুতে পড়তে পারে। উল্টো দিকে, চাহিদা অব্যাহত থাকলে গ্রিড সংকট ও জ্বালানি সরবরাহঝুঁকি দামের ধাক্কা ও লোডশেডিং বাড়াতে পারে—রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ডেকে আনবে। বিচক্ষণ পথ হচ্ছে শৃঙ্খলাপূর্ণ ক্যাপেক্স, স্বচ্ছ হেজিং, এবং স্থিতিশীল-পরিবর্তনশীল শক্তির ভারসাম্যপূর্ণ পোর্টফোলিও। বিনিয়োগকারীরা বছরশেষে তিন সংকেত দেখছেন: চুক্তির তথ্য যা হাইপ থেকে আয় আলাদা করে; ইন্টারকানেকশন কিউ-তে আসল নির্মাণ টাইমলাইন; এবং পারমিটিং-বাজার নকশা নিয়ে নীতিগতের সিগনাল। এআই-বিদ্যুৎ বুম সত্যি হতে পারে—কিন্তু গ্রিড, ভূ-তত্ত্ব ও ব্যালান্সশিটের সীমাও ততটাই সত্য।