১০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭০) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রয়োজন স্মার্ট গ্রাম, শুধু বড় শহরের মেগাপ্রকল্প নয় জাপানে স্ট্যান্ড-আপ কমেডির জোয়ার: বিদেশি ও দ্বিভাষী শিল্পীদের হাতে নতুন হাসির পথ ডায়ানা ড্যানিয়েলের জন্য একটি নতুন সকাল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৭) বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো প্যারিস থেকে তেঙ্গাহ: একটি ফরাসি রেট্রো থিমের বাসা অন্ধকার ভ্রমণের উত্থান: অতীতের ক্ষত দেখতেই কেন বাড়ছে পর্যটকের ভিড় সেনেগালে দুর্নীতি দমন না রাজনৈতিক প্রতিশোধ? ফায়ে–সোঙ্কো সরকারের কড়াকড়িতে বিতর্ক তুঙ্গে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪০)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • 64

সাপ্লাইয়ের ডেলিভারি বোঝাই করে তর ইংরেজি শব্দ ‘ইউটিলিটি’ এবং কে ও ডব্লিউ যথাক্রমে সামনের ও পেছনের চাকার তর করে খাল পেরিয়ে আসতে “ডাক” নৌকার আর কতোক্ষণ লাগবে!

কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটিতে কংক্রীটে তৈরি ইউনিটের উপরে সি-১০৯ পার্ক করা।

ট্রেনিং ক্যাম্প ও বিমান অবতরণের ‘ল্যান্ডিং স্ট্রিপ’-এর মাঝখানে ছিল একটি খাল। ভাটার সময় খাল শুকনো থাকত, জোয়ার এলে ভরে টইটম্বুর হয়ে যেত। ভাটার সময় ক্যাম্পের ট্রাকগুলো শুকনো খালের উপর দিয়ে সোজা চলে আসত ল্যান্ডিং স্ট্রিপে, প্লেন থেকে সব সাপ্লাই ট্রাক বোঝাই করে শুকনো খালপথ ধরে ক্যাম্পে ফিরে যেতো। ট্রেনিং ক্যাম্পের কমান্ডার আনাতোলকে- কখন জোয়ার-ভাটা হয় সংক্রান্ত একটি চার্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু আনাতোলের কেমন যেনো খটকা লাগে, সেই তৈরিকৃত চার্টটিতে কেবলমাত্র- চট্টগ্রামে কখন জোয়ার-ভাটা হয়, সেই সময়গুলো রেকর্ড করা হয়েছে। আনাতোল খেয়াল করেন যে বাস্তবে ঘটার মধ্যে সময়ের পার্থক্য রয়েছে।

অর্থাৎ চট্টগ্রামের জন্য তৈরিকৃত জোয়ার কিন্তু ক্যাম্পের খালের জলে জোয়ার-ভাটা হওয়ার এবং চট্টগ্রামে জোয়ার-ভাটা অবশ্য হিসাবের এই অমিলটি কমান্ডারের দৃষ্টিগোচর করেন এবং নিজে উদ্যোগ ভাটার চাট গছিয়ে দিয়ে কমান্ডার সাহেব কর্তব্য পালন করেছেন। আনাতোল নিয়ে ক্যাম্পের খালে জোয়ার-ভাটা ঘটার সঠিক হিসাব কষতে সাহায্য করেন। কিন্তু কমান্ডার সাহেব আনাতোলকে বলেন যে- তোমাকে যে চার্টটি দিয়েছি সেটিই সময়সূচী অনুযায়ী আনাতোলের সাপ্লাই বোঝাই প্লেন যখন ল্যান্ড করে, দেখে যে অনুসরণ করো। কর্তার হাচ্ছায় কর্ম! যা হবার তা-ই ঘটে।

কমান্ডারের চার্টের ক্যাম্পের খালটি তখন ভরা জোয়ারের জলে টইটম্বুর। আনাতোল কি করবেন এখন! তিনি রেডিও-র মাধ্যমে ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন, সেখান থেকে ডি= যে বছর চাকাযুক্ত নৌকাটির প্রথম ডিজাইন করা হয় (১৯৪২); ইউ-তাকে বলা হলো যে ‘উভচর “ডাক” বোট’ পাঠানো হচ্ছে (“ডাক” “DUKW”: চালন; সংক্ষেপে নাম হয় “ডাক” বোট।) সাপ্লাইয়ের ডেলিভারি বোঝাই করে তর ইংরেজি শব্দ ‘ইউটিলিটি’ এবং কে ও ডব্লিউ যথাক্রমে সামনের ও পেছনের চাকার তর করে খাল পেরিয়ে আসতে “ডাক” নৌকার আর কতোক্ষণ লাগবে! যেমনি কথা তেমনি কাজ! “ডাক” নৌকার ‘কৃতিত্ব’ দেখার জন্য মহা ঔৎসুক্য নিয়ে সবাই ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু দুঃখজনক যে “ডাক” নৌকাটি খালের জলে প্রবেশ করতে না করতেই স্রোতের টান সেটিকে সোজা সমুদ্রের দিকে নিয়ে যায়; তবে কপাল ভালো যে নাবিকরা সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছিলেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৯)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৯)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭০)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪০)

০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

সাপ্লাইয়ের ডেলিভারি বোঝাই করে তর ইংরেজি শব্দ ‘ইউটিলিটি’ এবং কে ও ডব্লিউ যথাক্রমে সামনের ও পেছনের চাকার তর করে খাল পেরিয়ে আসতে “ডাক” নৌকার আর কতোক্ষণ লাগবে!

কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটিতে কংক্রীটে তৈরি ইউনিটের উপরে সি-১০৯ পার্ক করা।

ট্রেনিং ক্যাম্প ও বিমান অবতরণের ‘ল্যান্ডিং স্ট্রিপ’-এর মাঝখানে ছিল একটি খাল। ভাটার সময় খাল শুকনো থাকত, জোয়ার এলে ভরে টইটম্বুর হয়ে যেত। ভাটার সময় ক্যাম্পের ট্রাকগুলো শুকনো খালের উপর দিয়ে সোজা চলে আসত ল্যান্ডিং স্ট্রিপে, প্লেন থেকে সব সাপ্লাই ট্রাক বোঝাই করে শুকনো খালপথ ধরে ক্যাম্পে ফিরে যেতো। ট্রেনিং ক্যাম্পের কমান্ডার আনাতোলকে- কখন জোয়ার-ভাটা হয় সংক্রান্ত একটি চার্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু আনাতোলের কেমন যেনো খটকা লাগে, সেই তৈরিকৃত চার্টটিতে কেবলমাত্র- চট্টগ্রামে কখন জোয়ার-ভাটা হয়, সেই সময়গুলো রেকর্ড করা হয়েছে। আনাতোল খেয়াল করেন যে বাস্তবে ঘটার মধ্যে সময়ের পার্থক্য রয়েছে।

অর্থাৎ চট্টগ্রামের জন্য তৈরিকৃত জোয়ার কিন্তু ক্যাম্পের খালের জলে জোয়ার-ভাটা হওয়ার এবং চট্টগ্রামে জোয়ার-ভাটা অবশ্য হিসাবের এই অমিলটি কমান্ডারের দৃষ্টিগোচর করেন এবং নিজে উদ্যোগ ভাটার চাট গছিয়ে দিয়ে কমান্ডার সাহেব কর্তব্য পালন করেছেন। আনাতোল নিয়ে ক্যাম্পের খালে জোয়ার-ভাটা ঘটার সঠিক হিসাব কষতে সাহায্য করেন। কিন্তু কমান্ডার সাহেব আনাতোলকে বলেন যে- তোমাকে যে চার্টটি দিয়েছি সেটিই সময়সূচী অনুযায়ী আনাতোলের সাপ্লাই বোঝাই প্লেন যখন ল্যান্ড করে, দেখে যে অনুসরণ করো। কর্তার হাচ্ছায় কর্ম! যা হবার তা-ই ঘটে।

কমান্ডারের চার্টের ক্যাম্পের খালটি তখন ভরা জোয়ারের জলে টইটম্বুর। আনাতোল কি করবেন এখন! তিনি রেডিও-র মাধ্যমে ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন, সেখান থেকে ডি= যে বছর চাকাযুক্ত নৌকাটির প্রথম ডিজাইন করা হয় (১৯৪২); ইউ-তাকে বলা হলো যে ‘উভচর “ডাক” বোট’ পাঠানো হচ্ছে (“ডাক” “DUKW”: চালন; সংক্ষেপে নাম হয় “ডাক” বোট।) সাপ্লাইয়ের ডেলিভারি বোঝাই করে তর ইংরেজি শব্দ ‘ইউটিলিটি’ এবং কে ও ডব্লিউ যথাক্রমে সামনের ও পেছনের চাকার তর করে খাল পেরিয়ে আসতে “ডাক” নৌকার আর কতোক্ষণ লাগবে! যেমনি কথা তেমনি কাজ! “ডাক” নৌকার ‘কৃতিত্ব’ দেখার জন্য মহা ঔৎসুক্য নিয়ে সবাই ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু দুঃখজনক যে “ডাক” নৌকাটি খালের জলে প্রবেশ করতে না করতেই স্রোতের টান সেটিকে সোজা সমুদ্রের দিকে নিয়ে যায়; তবে কপাল ভালো যে নাবিকরা সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছিলেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৯)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৯)