০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭০) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রয়োজন স্মার্ট গ্রাম, শুধু বড় শহরের মেগাপ্রকল্প নয় জাপানে স্ট্যান্ড-আপ কমেডির জোয়ার: বিদেশি ও দ্বিভাষী শিল্পীদের হাতে নতুন হাসির পথ ডায়ানা ড্যানিয়েলের জন্য একটি নতুন সকাল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৭) বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো প্যারিস থেকে তেঙ্গাহ: একটি ফরাসি রেট্রো থিমের বাসা অন্ধকার ভ্রমণের উত্থান: অতীতের ক্ষত দেখতেই কেন বাড়ছে পর্যটকের ভিড় সেনেগালে দুর্নীতি দমন না রাজনৈতিক প্রতিশোধ? ফায়ে–সোঙ্কো সরকারের কড়াকড়িতে বিতর্ক তুঙ্গে

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি

সমকালের একটি শিরোনাম “খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল রোববার তাঁর সিটিস্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। সেগুলোর রিপোর্ট ভালো। এমন অবস্থায় বিদেশ না নিয়ে দেশেই চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়েও ভাবছে মেডিকেল বোর্ড।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত বোর্ডের একজন চিকিৎসক গতকাল রাতে সমকালকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। আমরা চেষ্টা করছি দেশেই চিকিৎসা দিতে। আমাদের বিশ্বাস, তিনি দেশের চিকিৎসাতেই সেরে উঠবেন। তাঁর অবস্থা এর চেয়ে বেশি ক্রিটিক্যাল ছিল। তখনও সেরে উঠেছিলেন। লন্ডন নেওয়ার প্রয়োজন না-ও হতে পারে। সিটিস্ক্যান, ইসিজিসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট ভালো।’

খালেদা জিয়াকে আর কতদিন সিসিইউতে রাখা হবে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ভর করছে তাঁর শরীরিক উন্নতির ওপর। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান শয্যাপাশে থেকে চিকিৎসার বিষয়ে সমন্বয় করছেন। তিনি বেশ কয়েক দিন দেশেই থাকবেন।’

খালেদা জিয়া কথা বলতে পারেন কিনা– জানতে চাইলে এ চিকিৎসক বলেন, কিছুটা বলার চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁর ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, দুই পুত্রবধূ সার্বক্ষণিক পাশে আছেন। তাদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা বলার চেষ্টা করেন।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী রোববার রাতে বলেছেন, মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে। যখনই বিএনপি চাইবে, তখন কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবে। এটা কোনো সমস্যা নয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। আমি সকালে তাঁকে সিসিইউতে দেখে এসেছি। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। সাড়া দিচ্ছেন। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে। লন্ডনে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে, তা পরে ঠিক করা হবে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর জানানো হয়েছিল, গত জানুয়ারির মতো এবারও কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”ভোটের আগে নেশার বাণিজ্য”

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে নতুন এসব মাদকের বড় বড় চালান বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষছে ভারতের মাদক কারবারিরা। ফেনসিডিলের মতো এসব সিরাপও কোডিন ফসফেট মিশ্রিত। বোতলজাত এসব মাদকের দেশে প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ফেনসিডিলের মতো নেশাজাতীয় নতুন এই সিরাপগুলো হলো ‘ব্রনোকফ সি’, ‘চকো প্লাস’ ও ‘উইন কোরেক্স’। এগুলোর মধ্যে ব্রনোকফ সি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন অধিদপ্তর। নেশাজাতীয় উপাদান থাকায় কাশির এসব সিরাপ ইতিমধ্যে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নাম নতুন হলেও এই তিন সিরাপের নেশার মাত্রা ফেনসিডিলের সমান। ফেনসিডিলের বোতলে ভরে নতুন নামের মোড়ক লাগিয়ে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ভারত থেকে এস্কাফ নামের সিরাপও একইভাবে দেশে ঢুকেছিল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩ লাখ। তাদের বেশির ভাগ পুরুষ। নারী ও শিশুদের মধ্যেও মাদকাসক্তি রয়েছে। ৩ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মাদকসেবী ফেনসিডিল ও সমজাতীয় মাদকে আসক্ত।

অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অধিশাখা বলছে, এসব মাদক সেবনে গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঝিমুনি, লিভার-কিডনি অকেজো হওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তবর্তী ১০টি জেলায় কমপক্ষে ৬২টি কারখানায় নেশাজাতীয় নতুন তিন ধরনের সিরাপ তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল, সিপাহীজলা, বিলোনিয়া, শান্তির বাজার ও মেঘালয় রাজ্যের একটি জেলায়। এসব কারখানাকেন্দ্রিক ৩৭৪ ভারতীয় মাদক কারবারি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান করে। এসব মাদক ঢুকছে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “লোকসান কমেনি, বেড়েছে সিস্টেম লস, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতেও নেই অগ্রগতি”

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ছিলেন। ওই সময়ে দেশে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ আইন প্রণয়ন করে কুইক রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারের (আইপিপি) মাধ্যমে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দেশে চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যহীনভাবে বাড়ানো হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ, বিপরীতে ব্যয় বেড়েছে ১১ গুণ। এতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) আর্থিকভাবে চূড়ান্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে অনেকগুলো অস্বচ্ছ চুক্তিও হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বিদ্যুৎ খাতকে বিগত সরকারের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে মূল্যায়ন করে। যদিও গত এক বছরের বেশি সময়ে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিপিডিবির লোকসান কমেনি। সিস্টেম লস আরো কিছুটা বেড়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বের প্রতিশ্রুত শূন্য কার্বন নিঃসরণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংস্কারের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির চিত্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সামনে উপস্থাপন করা হবে।

বছরের পর বছর অব্যাহতভাবে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে বিপিডিবি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সংস্থাটির ওপর থেকে চাপ কমিয়ে এটিকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দেখা গেছে, বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েও বিপিডিবিকে লোকসান থেকে বের করা যায়নি। বরং বিগত অর্থবছরে সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয়ার পরও অন্তত ৮ হাজার ৮০০ কোটি (প্রাক্কলন) টাকার মতো লোকসান করেছে সংস্থাটি। এ লোকসানের কারণে বিপিডিবি একদিকে যেমন বিদেশী অর্থ পরিশোধ নিয়ে টানাপড়নে রয়েছে, তেমনি স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ দেনায় জর্জরিত হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোতেও পরিস্থিতি এমনটাই ছিল।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে গত ১৬ মাসে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে এমনটি দেখছি না। পরিবর্তন বলতে পিডিবির আর্থিক চাপ ও ভর্তুকি কমবে, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমবে। কিন্তু তা তো হয়নি। যদি আগামীর কথা চিন্তা করি, তাহলে দেখতে হবে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় সাশ্রয়ে বিপিডিবি কী করছে, তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে। নতুন কোনো কেন্দ্র হচ্ছে কিনা, পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কবে আসছে কিছুই জানা যাচ্ছে না। একটা জিনিস হয়েছে, তা হলো বিদেশীদের বকেয়া পরিশোধ। এটিতে অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু দেশীয় কোম্পানিগুলোর বকেয়া অনেক রয়ে গেছে। বিশেষ আইনের অধীনে বিগত সরকারের অনেকগুলো নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের এলওআই (লেটার অব ইনটেন্ড) বাতিল হয়েছে। কিন্তু এসব প্রকল্পের অনেকগুলোতে বিনিয়োগ হয়ে গেছে। পিপিএ পদ্ধতি বাদ দিয়ে মার্চেন্ট বিদ্যুতের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু এ বাজার কাঠামোতে সেটা কতটুকু সফল হবে তা দেখার বিষয়। বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, চাহিদা নিরূপণ ইত্যাদির কাঠামোগত বা প্রক্রিয়ার কোনো পরিবর্তন হয়নি, যা আমার মতে ভালোভাবে পর্যালোচনার দরকার ছিল।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার মিলে নির্বাচনী জোট”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ ৩টি রাজনৈতিক দল জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। নবগঠিত এনসিপি
ছাড়াও এই জোটে রয়েছে মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই জোটে আরও কয়েকটি দলকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত এ জোটের নাম দেয়া হয়েছে- ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন এই জোট ঘোষণা করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ৩টি রাজনৈতিক দল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে ঐক্য ঘোষণা করছি। এই জোটের নাম ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। আমাদের উচিত ছিল এই জোট আরও আগে গঠন করার, কিন্তু নানা কারণে সেটা করতে পারিনি। পুরনোপন্থি দলগুলোর সঙ্গে নানা সমঝোতা করে সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের চেষ্টা করা আমাদের ভুল ছিল। যারা সংস্কারের পক্ষে আন্তরিক তাদের নিয়ে আমরা সামনে আগাবো। এই জোট প্রক্রিয়ায় আরও অনেক দলের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে, অনেক দল এ জোটে যুক্ত হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দলকে সিটের লোভ দেখিয়ে নানা জোটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দল থেকে যে অফার আসছে আমরা সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের লড়াই ছিল গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের আলাপ ছিল। নির্বাচন কেবল ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য নয়, নির্বাচনকে আমরা দেশ বদল ও সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য দেখতে চাই। আমরা দেখছি নানা প্রক্রিয়ায় দেশকে বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই জোট শুধু নির্বাচনী জোট নয়, এটি রাজনৈতিক জোট। যে লক্ষ্যে আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছিলাম সেই লক্ষ্যে আমরা সামনে আগাবো।

দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বরিশালে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ ও লক্ষ্মীপুরে আ স ম আব্দুর রব ভাইকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হেনস্তা করা হয়েছে। অর্থাৎ আমরা যে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারবে, তা হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্র দখল, আধিপত্য বিস্তার ও ফ্যাসিবাদী আচরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল প্রক্রিয়ায় দেশ চালাতে গিয়ে একটি দল দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি কেউ মনে করে গায়ের জোরে অথবা ধর্মের নামে মানুষকে প্রতারণা করে ভোট আদায় করবে তারা সবাই পরাজিত হবে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের জনগণ তারুণ্যের শক্তির পক্ষে থাকবে।
আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সবাই চায় বাংলাদেশে একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আসুক। বিরোধী দলের সভায় বাধা, ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা এগুলো মানুষ এখন চায় না। এখান থেকে আমরা আহ্বান করছি পুরনো রাজনীতি দিয়ে ফ্যাসিবাদকে দমন করা যায়নি। প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলো অনেক আন্দোলন করেছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছিল কিন্তু তার পরেও শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করতে পারে নাই। নতুনরা নতুনভাবে প্রতিবাদ করেছে বিধায় আজকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭০)

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি

০৮:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল রোববার তাঁর সিটিস্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। সেগুলোর রিপোর্ট ভালো। এমন অবস্থায় বিদেশ না নিয়ে দেশেই চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়েও ভাবছে মেডিকেল বোর্ড।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত বোর্ডের একজন চিকিৎসক গতকাল রাতে সমকালকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। আমরা চেষ্টা করছি দেশেই চিকিৎসা দিতে। আমাদের বিশ্বাস, তিনি দেশের চিকিৎসাতেই সেরে উঠবেন। তাঁর অবস্থা এর চেয়ে বেশি ক্রিটিক্যাল ছিল। তখনও সেরে উঠেছিলেন। লন্ডন নেওয়ার প্রয়োজন না-ও হতে পারে। সিটিস্ক্যান, ইসিজিসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট ভালো।’

খালেদা জিয়াকে আর কতদিন সিসিইউতে রাখা হবে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ভর করছে তাঁর শরীরিক উন্নতির ওপর। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান শয্যাপাশে থেকে চিকিৎসার বিষয়ে সমন্বয় করছেন। তিনি বেশ কয়েক দিন দেশেই থাকবেন।’

খালেদা জিয়া কথা বলতে পারেন কিনা– জানতে চাইলে এ চিকিৎসক বলেন, কিছুটা বলার চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁর ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, দুই পুত্রবধূ সার্বক্ষণিক পাশে আছেন। তাদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা বলার চেষ্টা করেন।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী রোববার রাতে বলেছেন, মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে। যখনই বিএনপি চাইবে, তখন কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবে। এটা কোনো সমস্যা নয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। আমি সকালে তাঁকে সিসিইউতে দেখে এসেছি। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। সাড়া দিচ্ছেন। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে। লন্ডনে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে, তা পরে ঠিক করা হবে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর জানানো হয়েছিল, গত জানুয়ারির মতো এবারও কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”ভোটের আগে নেশার বাণিজ্য”

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে নতুন এসব মাদকের বড় বড় চালান বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষছে ভারতের মাদক কারবারিরা। ফেনসিডিলের মতো এসব সিরাপও কোডিন ফসফেট মিশ্রিত। বোতলজাত এসব মাদকের দেশে প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ফেনসিডিলের মতো নেশাজাতীয় নতুন এই সিরাপগুলো হলো ‘ব্রনোকফ সি’, ‘চকো প্লাস’ ও ‘উইন কোরেক্স’। এগুলোর মধ্যে ব্রনোকফ সি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন অধিদপ্তর। নেশাজাতীয় উপাদান থাকায় কাশির এসব সিরাপ ইতিমধ্যে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নাম নতুন হলেও এই তিন সিরাপের নেশার মাত্রা ফেনসিডিলের সমান। ফেনসিডিলের বোতলে ভরে নতুন নামের মোড়ক লাগিয়ে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ভারত থেকে এস্কাফ নামের সিরাপও একইভাবে দেশে ঢুকেছিল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩ লাখ। তাদের বেশির ভাগ পুরুষ। নারী ও শিশুদের মধ্যেও মাদকাসক্তি রয়েছে। ৩ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মাদকসেবী ফেনসিডিল ও সমজাতীয় মাদকে আসক্ত।

অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অধিশাখা বলছে, এসব মাদক সেবনে গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঝিমুনি, লিভার-কিডনি অকেজো হওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তবর্তী ১০টি জেলায় কমপক্ষে ৬২টি কারখানায় নেশাজাতীয় নতুন তিন ধরনের সিরাপ তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল, সিপাহীজলা, বিলোনিয়া, শান্তির বাজার ও মেঘালয় রাজ্যের একটি জেলায়। এসব কারখানাকেন্দ্রিক ৩৭৪ ভারতীয় মাদক কারবারি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান করে। এসব মাদক ঢুকছে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “লোকসান কমেনি, বেড়েছে সিস্টেম লস, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতেও নেই অগ্রগতি”

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ছিলেন। ওই সময়ে দেশে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ আইন প্রণয়ন করে কুইক রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারের (আইপিপি) মাধ্যমে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দেশে চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যহীনভাবে বাড়ানো হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ, বিপরীতে ব্যয় বেড়েছে ১১ গুণ। এতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) আর্থিকভাবে চূড়ান্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে অনেকগুলো অস্বচ্ছ চুক্তিও হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বিদ্যুৎ খাতকে বিগত সরকারের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে মূল্যায়ন করে। যদিও গত এক বছরের বেশি সময়ে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিপিডিবির লোকসান কমেনি। সিস্টেম লস আরো কিছুটা বেড়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বের প্রতিশ্রুত শূন্য কার্বন নিঃসরণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংস্কারের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির চিত্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সামনে উপস্থাপন করা হবে।

বছরের পর বছর অব্যাহতভাবে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে বিপিডিবি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সংস্থাটির ওপর থেকে চাপ কমিয়ে এটিকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দেখা গেছে, বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েও বিপিডিবিকে লোকসান থেকে বের করা যায়নি। বরং বিগত অর্থবছরে সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয়ার পরও অন্তত ৮ হাজার ৮০০ কোটি (প্রাক্কলন) টাকার মতো লোকসান করেছে সংস্থাটি। এ লোকসানের কারণে বিপিডিবি একদিকে যেমন বিদেশী অর্থ পরিশোধ নিয়ে টানাপড়নে রয়েছে, তেমনি স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ দেনায় জর্জরিত হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোতেও পরিস্থিতি এমনটাই ছিল।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে গত ১৬ মাসে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে এমনটি দেখছি না। পরিবর্তন বলতে পিডিবির আর্থিক চাপ ও ভর্তুকি কমবে, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমবে। কিন্তু তা তো হয়নি। যদি আগামীর কথা চিন্তা করি, তাহলে দেখতে হবে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় সাশ্রয়ে বিপিডিবি কী করছে, তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে। নতুন কোনো কেন্দ্র হচ্ছে কিনা, পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কবে আসছে কিছুই জানা যাচ্ছে না। একটা জিনিস হয়েছে, তা হলো বিদেশীদের বকেয়া পরিশোধ। এটিতে অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু দেশীয় কোম্পানিগুলোর বকেয়া অনেক রয়ে গেছে। বিশেষ আইনের অধীনে বিগত সরকারের অনেকগুলো নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের এলওআই (লেটার অব ইনটেন্ড) বাতিল হয়েছে। কিন্তু এসব প্রকল্পের অনেকগুলোতে বিনিয়োগ হয়ে গেছে। পিপিএ পদ্ধতি বাদ দিয়ে মার্চেন্ট বিদ্যুতের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু এ বাজার কাঠামোতে সেটা কতটুকু সফল হবে তা দেখার বিষয়। বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, চাহিদা নিরূপণ ইত্যাদির কাঠামোগত বা প্রক্রিয়ার কোনো পরিবর্তন হয়নি, যা আমার মতে ভালোভাবে পর্যালোচনার দরকার ছিল।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার মিলে নির্বাচনী জোট”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ ৩টি রাজনৈতিক দল জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। নবগঠিত এনসিপি
ছাড়াও এই জোটে রয়েছে মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই জোটে আরও কয়েকটি দলকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত এ জোটের নাম দেয়া হয়েছে- ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন এই জোট ঘোষণা করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ৩টি রাজনৈতিক দল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে ঐক্য ঘোষণা করছি। এই জোটের নাম ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। আমাদের উচিত ছিল এই জোট আরও আগে গঠন করার, কিন্তু নানা কারণে সেটা করতে পারিনি। পুরনোপন্থি দলগুলোর সঙ্গে নানা সমঝোতা করে সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের চেষ্টা করা আমাদের ভুল ছিল। যারা সংস্কারের পক্ষে আন্তরিক তাদের নিয়ে আমরা সামনে আগাবো। এই জোট প্রক্রিয়ায় আরও অনেক দলের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে, অনেক দল এ জোটে যুক্ত হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দলকে সিটের লোভ দেখিয়ে নানা জোটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দল থেকে যে অফার আসছে আমরা সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের লড়াই ছিল গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের আলাপ ছিল। নির্বাচন কেবল ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য নয়, নির্বাচনকে আমরা দেশ বদল ও সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য দেখতে চাই। আমরা দেখছি নানা প্রক্রিয়ায় দেশকে বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই জোট শুধু নির্বাচনী জোট নয়, এটি রাজনৈতিক জোট। যে লক্ষ্যে আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছিলাম সেই লক্ষ্যে আমরা সামনে আগাবো।

দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বরিশালে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ ও লক্ষ্মীপুরে আ স ম আব্দুর রব ভাইকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হেনস্তা করা হয়েছে। অর্থাৎ আমরা যে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারবে, তা হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্র দখল, আধিপত্য বিস্তার ও ফ্যাসিবাদী আচরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল প্রক্রিয়ায় দেশ চালাতে গিয়ে একটি দল দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি কেউ মনে করে গায়ের জোরে অথবা ধর্মের নামে মানুষকে প্রতারণা করে ভোট আদায় করবে তারা সবাই পরাজিত হবে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের জনগণ তারুণ্যের শক্তির পক্ষে থাকবে।
আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সবাই চায় বাংলাদেশে একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আসুক। বিরোধী দলের সভায় বাধা, ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা এগুলো মানুষ এখন চায় না। এখান থেকে আমরা আহ্বান করছি পুরনো রাজনীতি দিয়ে ফ্যাসিবাদকে দমন করা যায়নি। প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলো অনেক আন্দোলন করেছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছিল কিন্তু তার পরেও শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করতে পারে নাই। নতুনরা নতুনভাবে প্রতিবাদ করেছে বিধায় আজকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।