১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ইউক্রেনজুড়ে রুশ ড্রোন–মিসাইলের নজিরবিহীন হামলা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সঙ্গে অসদাচরণের জেরে এমএমসিএইচ চিকিৎসক সাময়িক বরখাস্ত ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা কৌশল এশিয়ায় চীনের প্রভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থান  মৈত্রী দিবসে প্রণয় ভার্মা ‘সাবসিডিতে হবে না’—চিনি শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ চাই: উপদেষ্টা আদিলুর  মানিকগঞ্জে কালিগঙ্গা নদীতে দুই শিশুর মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে বিদেশি পিস্তলসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার পরস্পরনির্ভরতা ও পারস্পরিক সুফলই এগিয়ে নেবে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: প্রণয় ভার্মা নিউ সাউথ ওয়েলসে ভয়াবহ বুশফায়ার, হাজারো মানুষকে সরে যেতে নির্দেশ মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে লেডি গাগার তুমুল প্রত্যাবর্তন

বিনিয়োগে গতি নেই, দারিদ্র্য বাড়ছে—আস্থাহীন পরিবেশে থমকে গেছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে বড় ধরনের ধীরগতি দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় অর্থনীতির গতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে, কর্মসংস্থান কমছে এবং দারিদ্র্যের হার আবারও বাড়ছে।


উন্নয়ন প্রকল্পে অগ্রগতি নেই

২০২৪–২৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৬৮ শতাংশ, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও ব্যয়ের গতি খুব ধীর। এমনকি পাঁচটি মন্ত্রণালয় এখনো কোনো ব্যয় শুরু করতে পারেনি। সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগের স্থবিরতা স্পষ্ট; ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৭ শতাংশের নিচে।


প্রবৃদ্ধি কমছে, মূল্যস্ফীতিতে চাপে সাধারণ মানুষ

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ—পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। কর্মসংস্থান কমেছে, মজুরি বাড়েনি, অথচ পণ্যের দাম বেড়ে মানুষের জীবনে চাপ তৈরি করেছে। আইএমএফ-ও প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে—২০২৫–২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা আগের পূর্বাভাস (৫.৪%) থেকে কম।


ব্যবসা পরিবেশে আস্থাহীনতা

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নীতি বাস্তবায়নে ধীরগতি এবং সংস্কারের ঘাটতি এখন সবচেয়ে বড় বাধা। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের যৌথ প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স (বিবিবিএক্স) ২০২৪–২৫’-এ দেখা যায়, ব্যবসা পরিবেশের স্কোর সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬৯ পয়েন্টে, তবে এটি এখনো “সহায়ক পরিবেশ”-এর নিচে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের কিছু উদ্যোগে অল্প উন্নতি হলেও সংস্কারের গতি এতটাই ধীর যে তা ব্যবসায়িক আস্থা পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট নয়।


অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

বিবিবিএক্স প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, বৈদেশিক মুদ্রার ওঠানামা, উচ্চ সুদের হার ও স্থায়ী মূল্যস্ফীতি ব্যবসা পরিবেশকে চাপে রেখেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঘন ঘন নীতি ও প্রশাসনিক পরিবর্তনও ব্যবসায়িক আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

 


সূচকভিত্তিক বিশ্লেষণ: কোথায় উন্নতি, কোথায় অবনতি

বিবিবিএক্স মোট ১১টি সূচকের ওপর মূল্যায়ন করেছে। এর মধ্যে অর্থায়ন প্রাপ্তি সূচক সবচেয়ে উন্নত—২৮.১১ থেকে বেড়ে ৪০.০৭ পয়েন্টে উঠেছে। ব্যবসা শুরু, কর পরিশোধ ও বিরোধ নিষ্পত্তিতেও সামান্য উন্নতি হয়েছে।
তবে ব্যবসায়িক অবকাঠামো, শ্রমনীতি, বাণিজ্য সুবিধা, প্রযুক্তি গ্রহণ এবং পরিবেশগত মান সংক্রান্ত সূচকে অবনতি ঘটেছে।


জরিপে খাতভিত্তিক চিত্র

জরিপটি খুচরা, নির্মাণ, কৃষি, খাদ্য ও পানীয়, তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া, বস্ত্র, পরিবহনসহ ১২টি খাতে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে কৃষি, খাদ্য ও ওষুধ খাত তুলনামূলক ভালো করেছে; কিন্তু তৈরি পোশাক, বস্ত্র, নির্মাণ ও হালকা প্রকৌশল খাত পিছিয়ে আছে।
ভৌগোলিকভাবে বরিশাল (৬২.৮), সিলেট (৬১.৫) ও ময়মনসিংহ (৬১.৩) শীর্ষে; ঢাকা (৫৯.০) ও চট্টগ্রাম (৬০.১) সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। এমসিসিআই মনে করে, এটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।


দারিদ্র্য বাড়ছে, কর্মসংস্থান কমছে

বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট ২০২৫’ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক মন্দার ফলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে অতি দারিদ্র্যে পড়তে পারে। বিবিএসের ২০২২ সালের হিসাবে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ; বর্তমানে তা বেড়ে ২১.২ শতাংশে পৌঁছেছে।
পিপিআরসির এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে বাস করছে।


বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের মত

সিপিডির অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিনিয়োগের স্থবিরতা, ঋণ প্রবৃদ্ধির পতন ও দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির কারণে দারিদ্র্য বাড়ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও সুশাসন ছাড়া এ অবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়।”

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, “বন্দরজট, ঋণের অনিশ্চয়তা, গ্যাস সংকট—সব মিলিয়ে ব্যবসার খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।”

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে জ্বালানি নিরাপত্তা, দুর্নীতি দমন ও দীর্ঘমেয়াদি নীতির ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়েছে।

অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ এখন রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে হলে জ্বালানি ও লজিস্টিক অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন এবং নীতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা জরুরি।”


অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধারে এখন প্রয়োজন বাস্তবমুখী সংস্কার, সুশাসন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। না হলে প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্যের চক্র থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।


#
বাংলাদেশ_অর্থনীতি, উন্নয়ন_স্থবিরতা, ব্যবসা_পরিবেশ, মূল্যস্ফীতি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, বিনিয়োগ_সংকট, দারিদ্র্য_বৃদ্ধি, সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনজুড়ে রুশ ড্রোন–মিসাইলের নজিরবিহীন হামলা

বিনিয়োগে গতি নেই, দারিদ্র্য বাড়ছে—আস্থাহীন পরিবেশে থমকে গেছে বাংলাদেশ

০১:১২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে বড় ধরনের ধীরগতি দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় অর্থনীতির গতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে, কর্মসংস্থান কমছে এবং দারিদ্র্যের হার আবারও বাড়ছে।


উন্নয়ন প্রকল্পে অগ্রগতি নেই

২০২৪–২৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৬৮ শতাংশ, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও ব্যয়ের গতি খুব ধীর। এমনকি পাঁচটি মন্ত্রণালয় এখনো কোনো ব্যয় শুরু করতে পারেনি। সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগের স্থবিরতা স্পষ্ট; ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৭ শতাংশের নিচে।


প্রবৃদ্ধি কমছে, মূল্যস্ফীতিতে চাপে সাধারণ মানুষ

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ—পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। কর্মসংস্থান কমেছে, মজুরি বাড়েনি, অথচ পণ্যের দাম বেড়ে মানুষের জীবনে চাপ তৈরি করেছে। আইএমএফ-ও প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে—২০২৫–২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা আগের পূর্বাভাস (৫.৪%) থেকে কম।


ব্যবসা পরিবেশে আস্থাহীনতা

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নীতি বাস্তবায়নে ধীরগতি এবং সংস্কারের ঘাটতি এখন সবচেয়ে বড় বাধা। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের যৌথ প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স (বিবিবিএক্স) ২০২৪–২৫’-এ দেখা যায়, ব্যবসা পরিবেশের স্কোর সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬৯ পয়েন্টে, তবে এটি এখনো “সহায়ক পরিবেশ”-এর নিচে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের কিছু উদ্যোগে অল্প উন্নতি হলেও সংস্কারের গতি এতটাই ধীর যে তা ব্যবসায়িক আস্থা পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট নয়।


অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

বিবিবিএক্স প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, বৈদেশিক মুদ্রার ওঠানামা, উচ্চ সুদের হার ও স্থায়ী মূল্যস্ফীতি ব্যবসা পরিবেশকে চাপে রেখেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঘন ঘন নীতি ও প্রশাসনিক পরিবর্তনও ব্যবসায়িক আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

 


সূচকভিত্তিক বিশ্লেষণ: কোথায় উন্নতি, কোথায় অবনতি

বিবিবিএক্স মোট ১১টি সূচকের ওপর মূল্যায়ন করেছে। এর মধ্যে অর্থায়ন প্রাপ্তি সূচক সবচেয়ে উন্নত—২৮.১১ থেকে বেড়ে ৪০.০৭ পয়েন্টে উঠেছে। ব্যবসা শুরু, কর পরিশোধ ও বিরোধ নিষ্পত্তিতেও সামান্য উন্নতি হয়েছে।
তবে ব্যবসায়িক অবকাঠামো, শ্রমনীতি, বাণিজ্য সুবিধা, প্রযুক্তি গ্রহণ এবং পরিবেশগত মান সংক্রান্ত সূচকে অবনতি ঘটেছে।


জরিপে খাতভিত্তিক চিত্র

জরিপটি খুচরা, নির্মাণ, কৃষি, খাদ্য ও পানীয়, তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া, বস্ত্র, পরিবহনসহ ১২টি খাতে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে কৃষি, খাদ্য ও ওষুধ খাত তুলনামূলক ভালো করেছে; কিন্তু তৈরি পোশাক, বস্ত্র, নির্মাণ ও হালকা প্রকৌশল খাত পিছিয়ে আছে।
ভৌগোলিকভাবে বরিশাল (৬২.৮), সিলেট (৬১.৫) ও ময়মনসিংহ (৬১.৩) শীর্ষে; ঢাকা (৫৯.০) ও চট্টগ্রাম (৬০.১) সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। এমসিসিআই মনে করে, এটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।


দারিদ্র্য বাড়ছে, কর্মসংস্থান কমছে

বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট ২০২৫’ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক মন্দার ফলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে অতি দারিদ্র্যে পড়তে পারে। বিবিএসের ২০২২ সালের হিসাবে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ; বর্তমানে তা বেড়ে ২১.২ শতাংশে পৌঁছেছে।
পিপিআরসির এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে বাস করছে।


বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের মত

সিপিডির অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিনিয়োগের স্থবিরতা, ঋণ প্রবৃদ্ধির পতন ও দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির কারণে দারিদ্র্য বাড়ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও সুশাসন ছাড়া এ অবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়।”

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, “বন্দরজট, ঋণের অনিশ্চয়তা, গ্যাস সংকট—সব মিলিয়ে ব্যবসার খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।”

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে জ্বালানি নিরাপত্তা, দুর্নীতি দমন ও দীর্ঘমেয়াদি নীতির ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়েছে।

অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ এখন রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে হলে জ্বালানি ও লজিস্টিক অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন এবং নীতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা জরুরি।”


অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধারে এখন প্রয়োজন বাস্তবমুখী সংস্কার, সুশাসন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। না হলে প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্যের চক্র থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।


#
বাংলাদেশ_অর্থনীতি, উন্নয়ন_স্থবিরতা, ব্যবসা_পরিবেশ, মূল্যস্ফীতি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, বিনিয়োগ_সংকট, দারিদ্র্য_বৃদ্ধি, সারাক্ষণ_রিপোর্ট