একই মানদণ্ডে ইয়েন-ডলার পেগড টোকেন
জাপানের তিন ‘মেগাব্যাংক’—এমইউএফজি, সুমিতোমো মিতসুই ও মিজুহো—করপোরেট লেনদেনের জন্য আইনসঙ্গত মুদ্রার সঙ্গে ১:১ অনুপাতে পেগড স্টেবলকয়েন ইস্যুর যৌথ পরিকল্পনা নিয়েছে। লক্ষ্য, সাপ্লাই-চেইন পেমেন্ট ও হাই-ভ্যালু সেটেলমেন্ট দ্রুত করা এবং প্রোগ্রামেবল শর্তে অর্থছাড় সম্ভব করা। প্রাথমিক পাইলটে মিতসুবিশি কর্পোরেশনের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে; যেখানে বড় অঙ্কের বিল পরিশোধ, আন্তঃগ্রুপ ইনভয়েসিং ও মাইলস্টোনভিত্তিক ডিসবার্সমেন্ট পরীক্ষা হবে। প্রযুক্তিগতভাবে এটি চলবে প্রোগম্যাটের টোকেনাইজেশন অবকাঠামোয়, যা জাপানে সম্পদ-সমর্থিত টোকেন ইস্যুতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাংক-ইস্যু স্টেবলকয়েন বেসরকারি টোকেনের তুলনায় পাল্টা-ঝুঁকি কমায় এবং প্রচলিত ব্যাংক ট্রান্সফারের চেয়ে দ্রুত ফাইনালিটি দেয়—ব্যাংকগুলোর এমন যুক্তি। উৎপাদন ও লজিস্টিকসে ‘জাস্ট-ইন-টাইম’ মডেলে শর্ত পূরণ হলেই স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট ছাড়ায় মিল-ম্যাচিংয়ের সময় কমে।
আইনি কাঠামোও প্রস্তুত। জাপানের সংশোধিত পেমেন্ট সার্ভিসেস অ্যাক্ট ব্যাংক ও ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিয়াট-ব্যাকড স্টেবলকয়েন ইস্যুর সুযোগ দিয়েছে। ফলে রিজার্ভ ১:১, ক্লায়েন্ট সম্পদের রিং-ফেন্সিং ও এক্সপোজার ক্যাপ—এসব নিয়মে পাইলট চলবে। টোকেনাইজড ডিপোজিট-সিকিউরিটিজের মধ্যে ‘অ্যাটোমিক সোয়াপ’ পরীক্ষাও চলছে, যাতে ডেলিভারি-ভার্সাস-পেমেন্ট রিয়েল-টাইমে সম্ভব হয়। ক্রিপ্টো কোম্পানির ডলার-পেগড কয়েন বাজারে থাকলেও, করপোরেটরা ব্যাংক-গ্রেড কমপ্লায়েন্স ও অডিট-ট্রেইল না পেলে আগ্রহী হয় না—এমন বাস্তবতা বদলাতে পারে। সাপ্লাই-চেইনের ইআরপি-তে শর্তভিত্তিক পেমেন্ট এমবেড করে পণ্য কাস্টমস পার হলেই বা কিউসি পাশ করলেই ইনস্ট্যান্ট সেটেলমেন্টের পথ খুলতে পারে।
কৌশলগত প্রেক্ষাপট ও সীমান্তপারের সম্ভাবনা
এশিয়ার পেমেন্ট ইকোসিস্টেম দ্রুত বদলাচ্ছে। সিঙ্গাপুর-হংকং টোকেনাইজড ডিপোজিট পরীক্ষা করছে; কোরিয়া-ভারত খুচরা ফাস্ট-পেমেন্ট স্কেল করছে। জাপানে করপোরেট স্টেবলকয়েন জেনগিন বা আরটিজিএসকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন নয়, বরং প্রোগ্রামেবল কেসগুলো নেবে। সীমান্তপারের বাণিজ্যেও সুবিধা—ইয়েন-ডলার পেগড টোকেন পূর্বানুমেয় প্রবাহে এফএক্স ক্ষয় ও করেসপন্ডেন্ট ফি কমাতে পারে। তবে চ্যালেঞ্জ আছে: চেইন-ইন্টারঅপ, সাইবার স্থিতি, ব্ল্যাকলিস্টিং গভর্নেন্স; দেউলিয়ার সময় টোকেনের আচরণও আইনি আলোচ্য। তা সত্ত্বেও দিকনির্দেশ স্পষ্ট—ব্যাংক-গ্রেড গতি, স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পারলে সিএফওরা কর্মরত মূলধনের নতুন ‘প্লাম্বিং’ হিসেবে টোকেনাইজড ক্যাশ নেওয়ার পথেই হাঁটবেন।