০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
বৈশ্বিক মানবিক সহায়তায় নতুন ভূমিকা নিচ্ছে বেইজিং, তবে ‘গণতান্ত্রিক বিকল্প’ও দরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪১) ভূতের নৃত্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের টানা আন্দোলন, সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা শাহজালাল বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩৫ নিরাপত্তাকর্মী কিংবদন্তি রক গুরু আইয়ুব বাচ্চুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার স্রোত জুলাই সনদ নিয়ে বিভাজন—রক্ত দিল যারা, ক্ষমতার মঞ্চে তাদের দেখা নেই দোহায় পাক-আফগান বৈঠক—সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অবসানে তাৎক্ষণিক সমাধান খোঁজার উদ্যোগ শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মিরপুর ও চট্টগ্রাম—পরপর অগ্নিকাণ্ডে বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

তেলদামের ধারাবাহিক পতন—শীতের আগে কারা লাভবান, কারা চাপে

ইনভেন্টরি বাড়া, চাহিদা কমা ও বাজার সংকেত
মার্কিন মজুত বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক চাহিদা নরম হওয়ায় ব্রেন্ট প্রায় ৬১ ডলার, ডব্লিউটিআই প্রায় ৫৭ ডলারে নেমে সপ্তাহজুড়ে পতন বাড়িয়েছে। রিফাইনারি মেইনটেন্যান্স, শক্তিশালী মার্কিন উৎপাদন ও সতর্ক প্রবৃদ্ধি—এই তিনটি কারণ মিলেই বাজার দুর্বল। কূটনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিতও সরবরাহ-ঝুঁকি কমিয়ে দেখাচ্ছে—যে কারণে ট্রেডাররা জ্বালানি রুটে তাৎক্ষণিক বিঘ্নের আশঙ্কা কম পাচ্ছেন। পাম্পদাম ও শিপিং খরচে এই ধারা ইতিমধ্যে ঢুকছে, কিন্তু শেল প্রযোজক ও তেলনির্ভর বাজেটগুলোতে চাপ বাড়ছে।
কে লাভ পেল, কী নজর রাখা জরুরি
শীতের আগে গৃহস্থ, এয়ারলাইন ও লজিস্টিক খাতের জন্য এটি স্বস্তি। তবে কর, মুদ্রামানের ওঠানামা ও রিফাইনিং ক্ষমতার সীমা—এসব কারণে সব বাজারে সমান সুফল নাও পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে ঋণপাওয়া কঠিন হওয়ায় মার্কিন শেল প্রযোজকরা সতর্ক; আয় কমলে ওপেক+ আরও সমন্বিত পদক্ষেপ খুঁজতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, নিকট ভবিষ্যতে উচ্চ মজুত ও ‘ম্যাক্রো’ মনোভাবে দাম নির্ধারিত হবে; ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত উৎপাদন কমানো হলে প্রবণতা দ্রুত ঘুরতে পারে। বিদ্যুৎ ও ডেটা সেন্টার খরচে সাময়িক চাপ কমলেও গ্রিডের চাপ ও কম্পিউটিং চাহিদা শক্তিশালী থাকায় দামের প্রকৃত প্রভাব দেখতে সময় লাগবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশ্বিক মানবিক সহায়তায় নতুন ভূমিকা নিচ্ছে বেইজিং, তবে ‘গণতান্ত্রিক বিকল্প’ও দরকার

তেলদামের ধারাবাহিক পতন—শীতের আগে কারা লাভবান, কারা চাপে

০৫:৫১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ইনভেন্টরি বাড়া, চাহিদা কমা ও বাজার সংকেত
মার্কিন মজুত বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক চাহিদা নরম হওয়ায় ব্রেন্ট প্রায় ৬১ ডলার, ডব্লিউটিআই প্রায় ৫৭ ডলারে নেমে সপ্তাহজুড়ে পতন বাড়িয়েছে। রিফাইনারি মেইনটেন্যান্স, শক্তিশালী মার্কিন উৎপাদন ও সতর্ক প্রবৃদ্ধি—এই তিনটি কারণ মিলেই বাজার দুর্বল। কূটনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিতও সরবরাহ-ঝুঁকি কমিয়ে দেখাচ্ছে—যে কারণে ট্রেডাররা জ্বালানি রুটে তাৎক্ষণিক বিঘ্নের আশঙ্কা কম পাচ্ছেন। পাম্পদাম ও শিপিং খরচে এই ধারা ইতিমধ্যে ঢুকছে, কিন্তু শেল প্রযোজক ও তেলনির্ভর বাজেটগুলোতে চাপ বাড়ছে।
কে লাভ পেল, কী নজর রাখা জরুরি
শীতের আগে গৃহস্থ, এয়ারলাইন ও লজিস্টিক খাতের জন্য এটি স্বস্তি। তবে কর, মুদ্রামানের ওঠানামা ও রিফাইনিং ক্ষমতার সীমা—এসব কারণে সব বাজারে সমান সুফল নাও পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে ঋণপাওয়া কঠিন হওয়ায় মার্কিন শেল প্রযোজকরা সতর্ক; আয় কমলে ওপেক+ আরও সমন্বিত পদক্ষেপ খুঁজতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, নিকট ভবিষ্যতে উচ্চ মজুত ও ‘ম্যাক্রো’ মনোভাবে দাম নির্ধারিত হবে; ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত উৎপাদন কমানো হলে প্রবণতা দ্রুত ঘুরতে পারে। বিদ্যুৎ ও ডেটা সেন্টার খরচে সাময়িক চাপ কমলেও গ্রিডের চাপ ও কম্পিউটিং চাহিদা শক্তিশালী থাকায় দামের প্রকৃত প্রভাব দেখতে সময় লাগবে।