ইনভেন্টরি বাড়া, চাহিদা কমা ও বাজার সংকেত
মার্কিন মজুত বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক চাহিদা নরম হওয়ায় ব্রেন্ট প্রায় ৬১ ডলার, ডব্লিউটিআই প্রায় ৫৭ ডলারে নেমে সপ্তাহজুড়ে পতন বাড়িয়েছে। রিফাইনারি মেইনটেন্যান্স, শক্তিশালী মার্কিন উৎপাদন ও সতর্ক প্রবৃদ্ধি—এই তিনটি কারণ মিলেই বাজার দুর্বল। কূটনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিতও সরবরাহ-ঝুঁকি কমিয়ে দেখাচ্ছে—যে কারণে ট্রেডাররা জ্বালানি রুটে তাৎক্ষণিক বিঘ্নের আশঙ্কা কম পাচ্ছেন। পাম্পদাম ও শিপিং খরচে এই ধারা ইতিমধ্যে ঢুকছে, কিন্তু শেল প্রযোজক ও তেলনির্ভর বাজেটগুলোতে চাপ বাড়ছে।
কে লাভ পেল, কী নজর রাখা জরুরি
শীতের আগে গৃহস্থ, এয়ারলাইন ও লজিস্টিক খাতের জন্য এটি স্বস্তি। তবে কর, মুদ্রামানের ওঠানামা ও রিফাইনিং ক্ষমতার সীমা—এসব কারণে সব বাজারে সমান সুফল নাও পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে ঋণপাওয়া কঠিন হওয়ায় মার্কিন শেল প্রযোজকরা সতর্ক; আয় কমলে ওপেক+ আরও সমন্বিত পদক্ষেপ খুঁজতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, নিকট ভবিষ্যতে উচ্চ মজুত ও ‘ম্যাক্রো’ মনোভাবে দাম নির্ধারিত হবে; ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত উৎপাদন কমানো হলে প্রবণতা দ্রুত ঘুরতে পারে। বিদ্যুৎ ও ডেটা সেন্টার খরচে সাময়িক চাপ কমলেও গ্রিডের চাপ ও কম্পিউটিং চাহিদা শক্তিশালী থাকায় দামের প্রকৃত প্রভাব দেখতে সময় লাগবে।
তেলদামের ধারাবাহিক পতন—শীতের আগে কারা লাভবান, কারা চাপে
-
সারাক্ষণ রিপোর্ট
- ০৫:৫১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- 10
জনপ্রিয় সংবাদ