১০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ইউক্রেনজুড়ে রুশ ড্রোন–মিসাইলের নজিরবিহীন হামলা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সঙ্গে অসদাচরণের জেরে এমএমসিএইচ চিকিৎসক সাময়িক বরখাস্ত ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা কৌশল এশিয়ায় চীনের প্রভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থান  মৈত্রী দিবসে প্রণয় ভার্মা ‘সাবসিডিতে হবে না’—চিনি শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ চাই: উপদেষ্টা আদিলুর  মানিকগঞ্জে কালিগঙ্গা নদীতে দুই শিশুর মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে বিদেশি পিস্তলসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার পরস্পরনির্ভরতা ও পারস্পরিক সুফলই এগিয়ে নেবে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: প্রণয় ভার্মা নিউ সাউথ ওয়েলসে ভয়াবহ বুশফায়ার, হাজারো মানুষকে সরে যেতে নির্দেশ মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে লেডি গাগার তুমুল প্রত্যাবর্তন

তেলদামের ধারাবাহিক পতন—শীতের আগে কারা লাভবান, কারা চাপে

ইনভেন্টরি বাড়া, চাহিদা কমা ও বাজার সংকেত
মার্কিন মজুত বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক চাহিদা নরম হওয়ায় ব্রেন্ট প্রায় ৬১ ডলার, ডব্লিউটিআই প্রায় ৫৭ ডলারে নেমে সপ্তাহজুড়ে পতন বাড়িয়েছে। রিফাইনারি মেইনটেন্যান্স, শক্তিশালী মার্কিন উৎপাদন ও সতর্ক প্রবৃদ্ধি—এই তিনটি কারণ মিলেই বাজার দুর্বল। কূটনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিতও সরবরাহ-ঝুঁকি কমিয়ে দেখাচ্ছে—যে কারণে ট্রেডাররা জ্বালানি রুটে তাৎক্ষণিক বিঘ্নের আশঙ্কা কম পাচ্ছেন। পাম্পদাম ও শিপিং খরচে এই ধারা ইতিমধ্যে ঢুকছে, কিন্তু শেল প্রযোজক ও তেলনির্ভর বাজেটগুলোতে চাপ বাড়ছে।
কে লাভ পেল, কী নজর রাখা জরুরি
শীতের আগে গৃহস্থ, এয়ারলাইন ও লজিস্টিক খাতের জন্য এটি স্বস্তি। তবে কর, মুদ্রামানের ওঠানামা ও রিফাইনিং ক্ষমতার সীমা—এসব কারণে সব বাজারে সমান সুফল নাও পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে ঋণপাওয়া কঠিন হওয়ায় মার্কিন শেল প্রযোজকরা সতর্ক; আয় কমলে ওপেক+ আরও সমন্বিত পদক্ষেপ খুঁজতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, নিকট ভবিষ্যতে উচ্চ মজুত ও ‘ম্যাক্রো’ মনোভাবে দাম নির্ধারিত হবে; ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত উৎপাদন কমানো হলে প্রবণতা দ্রুত ঘুরতে পারে। বিদ্যুৎ ও ডেটা সেন্টার খরচে সাময়িক চাপ কমলেও গ্রিডের চাপ ও কম্পিউটিং চাহিদা শক্তিশালী থাকায় দামের প্রকৃত প্রভাব দেখতে সময় লাগবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনজুড়ে রুশ ড্রোন–মিসাইলের নজিরবিহীন হামলা

তেলদামের ধারাবাহিক পতন—শীতের আগে কারা লাভবান, কারা চাপে

০৫:৫১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ইনভেন্টরি বাড়া, চাহিদা কমা ও বাজার সংকেত
মার্কিন মজুত বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক চাহিদা নরম হওয়ায় ব্রেন্ট প্রায় ৬১ ডলার, ডব্লিউটিআই প্রায় ৫৭ ডলারে নেমে সপ্তাহজুড়ে পতন বাড়িয়েছে। রিফাইনারি মেইনটেন্যান্স, শক্তিশালী মার্কিন উৎপাদন ও সতর্ক প্রবৃদ্ধি—এই তিনটি কারণ মিলেই বাজার দুর্বল। কূটনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিতও সরবরাহ-ঝুঁকি কমিয়ে দেখাচ্ছে—যে কারণে ট্রেডাররা জ্বালানি রুটে তাৎক্ষণিক বিঘ্নের আশঙ্কা কম পাচ্ছেন। পাম্পদাম ও শিপিং খরচে এই ধারা ইতিমধ্যে ঢুকছে, কিন্তু শেল প্রযোজক ও তেলনির্ভর বাজেটগুলোতে চাপ বাড়ছে।
কে লাভ পেল, কী নজর রাখা জরুরি
শীতের আগে গৃহস্থ, এয়ারলাইন ও লজিস্টিক খাতের জন্য এটি স্বস্তি। তবে কর, মুদ্রামানের ওঠানামা ও রিফাইনিং ক্ষমতার সীমা—এসব কারণে সব বাজারে সমান সুফল নাও পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে ঋণপাওয়া কঠিন হওয়ায় মার্কিন শেল প্রযোজকরা সতর্ক; আয় কমলে ওপেক+ আরও সমন্বিত পদক্ষেপ খুঁজতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, নিকট ভবিষ্যতে উচ্চ মজুত ও ‘ম্যাক্রো’ মনোভাবে দাম নির্ধারিত হবে; ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বা অপ্রত্যাশিত উৎপাদন কমানো হলে প্রবণতা দ্রুত ঘুরতে পারে। বিদ্যুৎ ও ডেটা সেন্টার খরচে সাময়িক চাপ কমলেও গ্রিডের চাপ ও কম্পিউটিং চাহিদা শক্তিশালী থাকায় দামের প্রকৃত প্রভাব দেখতে সময় লাগবে।