এনার্জি ক্ষুধা, গ্রিড চাপ, করপোরেট কৌশল
এআই ট্রেনিং–ইনফারেন্সের অদম্য বিদ্যুৎ–চাহিদা মেটাতে বড় টেক কোম্পানিগুলো নিজস্ব বিদ্যুৎ–উৎপাদনের পথে হাঁটছে। অন–সাইট টারবাইন, দীর্ঘমেয়াদি ইউটিলিটি চুক্তি, এমনকি উন্নত পারমাণবিক (এসএমআর)–এর মতো বিকল্পে নজর দিচ্ছে তারা—কারণ গ্রিড–আপগ্রেডে বছর লেগে যায়, আর শীর্ষ চাহিদায় দাম ও নির্ভরতার ঝুঁকি বেশি।
জমি কেনা, উচ্চ–ক্ষমতার লাইনের পাশে নতুন প্লট, ইন্টারকানেকশন কিউ—সব জায়গাতেই এই প্রবণতা দৃশ্যমান। একটি হাইপারস্কেল ক্যাম্পাস গিগাওয়াট–পর্যায়ের লোড টেনে নেয়; ক্ষণিকের ডাউনটাইমও কোটি ডলারের ক্ষতি। তাই বিদ্যুৎ–নিরাপত্তাই এখন ডেটা সেন্টারের কোর ব্যবসায়িক শর্ত।
ঝুঁকি, বিধি–নিষেধ ও পারমাণবিক বাজি
সমালোচকেরা বলেন, করপোরেট প্ল্যান্ট বাড়লে সমন্বিত গ্রিড–পরিকল্পনা ভাঙবে, আবার ফসিল–ভিত্তিক হলে স্থানীয় দূষণও বাড়বে। সমর্থকেরা পাল্টা যুক্তি দেন—অন–সাইট উৎপাদন, ব্যাটারি ও নবায়নের সঙ্গে জুড়ে দিলে পিক–লোড কমে, গ্রিডের চাপও হালকা হয়। সবচেয়ে সাহসী বাজি উন্নত পারমাণবিক রিয়্যাক্টর—উচ্চ ক্ষমতা, কার্বন–মুক্ত, ডেটা ক্যাম্পাসের পাশে। কিন্তু লাইসেন্সিং, সাপ্লাই–চেইন ও সময়—তিন বাধাই কঠিন।
ফলত অপারেটররা “পাওয়ার পোর্টফোলিও” বানাচ্ছে—ডিরেক্ট ক্রয়, ভার্চুয়াল চুক্তি, ডিমান্ড রেসপন্স ও যেখানে সম্ভব নিজস্ব উৎপাদনের মিশ্রণ। কোথায় নতুন এআই পার্ক উঠবে, গ্রাহক–দর কতটা নড়বে, আর জলবায়ু লক্ষ্য টিকে থাকবে কি না—সবই এই দৌড়ে নির্ধারিত হবে।