০৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী আটক, কারাগারে প্রেরণ ঋণখেলাপির অভিযোগে নির্বাচনে অযোগ্য মান্না, রিট খারিজ হাইকোর্টে

বন্যার নতুন বাস্তবতা: এফিমার মানচিত্র পাল্টাতে শহরগুলোর জোর প্রচেষ্টা

মানচিত্র বনাম স্থানীয় বাস্তবতা
মার্কিন শহরগুলো এখন এফিমা (FEMA)–র বন্যা–মানচিত্রকে চ্যালেঞ্জ করছে—কারণ এই নকশা প্রিমিয়াম, নির্মাণবিধি ও সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। রবিবারের নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেল, মাউন্টেন ওয়েস্ট থেকে উপসাগরীয় উপকূল—বহু শহর আইনগত ও প্রকৌশলগত পথ ধরে মানচিত্র সংশোধনের আবেদন করছে। স্থানীয় প্রশাসনের যুক্তি—সাম্প্রতিক বাঁধ, ড্রেনেজ, রিটেনশন বেসিন বা নদীতীর সুরক্ষার মতো প্রকল্পগুলো বর্তমান মানচিত্রে প্রতিফলিত হয়নি। বাড়ির মালিকদের জন্য বিষয়টি টাকার—প্রিমিয়াম দ্রুত বাড়ছে, বিক্রিমূল্য কমছে; তাই রাজনৈতিক চাপও তীব্র।
আবেদনের সমর্থকেরা বলেন, বৈজ্ঞানিক আপডেটের জন্য কাঠামো আছে; শক্তিশালী ডাটা দিলে নতুন মানচিত্র সম্ভব। সমালোচকেরা সতর্ক করেন—অতিরিক্ত অংশকে ঝুঁকিহীন দেখালে আত্মতুষ্টি তৈরি হতে পারে, অথচ জলবায়ু–উষ্ণতায় চরম বৃষ্টিপাতই বাড়ছে। ফল হচ্ছে মিশ্র চিত্র: কিছু এলাকায় প্রমাণভিত্তিক আবেদন পাশ হচ্ছে, অন্যত্র মডেল দেখাচ্ছে ‘অবশিষ্ট ঝুঁকি’ যেটা স্থানীয় প্রকল্পে পুরোপুরি কাটছে না।

Cities Fight to Get Off FEMA's Flood Maps. One Montana Town Shows the Risk.  - WSJ

বীমা, অবকাঠামো ও নীতি–কৌশল
উষ্ণ বায়ু বেশি আর্দ্রতা বহন করায় হঠাৎ মেঘফাটা বৃষ্টি ও ‘সানি ডে ফ্লাডিং’ এখন অভ্যন্তরীণ এলাকাতেও। উপকূলে সাগরের উচ্চতা, কিঙ–টাইড ও শক্তিশালী ঝড় মিলিয়ে যৌগিক ঝুঁকি। বাণিজ্যিক বীমা বাজার ক্ষতির ভারে পশ্চাদপসরণ করলে জাতীয় বন্যা–বীমা কর্মসূচি (NFIP) গৃহঋণ ও প্রিমিয়ামের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে—যেখানে জলবায়ু–ঝুঁকি সরাসরি দামে ধরা পড়ে।
শহরগুলো পরীক্ষামূলক পথে হাঁটছে: নতুন ভবনে উচ্চতা–মানদণ্ড, বারবার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ‘বাইআউট’, জলধারণ–ক্ষমতাসম্পন্ন সবুজ অবকাঠামো, আর ক্রেতাদের জন্য বাধ্যতামূলক বন্যা–ইতিহাস প্রকাশ। কিন্তু টানাপোড়েন রয়ে যায়। বিস্তৃত ঝুঁকি মানতে গেলে সম্পত্তি–মূল্য ও কর–আয় চাপে পড়ে; আবার আপত্তি মেনে মানচিত্র শিথিল করলে ভবিষ্যৎ ক্ষতির ঝুঁকিও থাকে।
প্রকৌশলীদের মতে, সেরা সমাধান হলো স্বচ্ছতা: মডেল–ধারণা প্রকাশ, কোথায় বাঁধ কাজ করে—কোথায় করে না—তা দেখানো, আর মানচিত্র–পরিবর্তনকে রক্ষণাবেক্ষণের শর্তে বাঁধা। গৃহস্বামীদের জন্য তাৎক্ষণিক প্রশ্ন—প্রিমিয়াম কতটা সামলানো যাবে, আর ব্যাকফ্লো ভালভ বা ইউটিলিটি উঁচুতে তোলার মতো রেট্রোফিট কীভাবে করা যায়। ব্যাংক–ডেভেলপারদের জন্য প্রশ্ন—চরম ঘটনাগুলোর ‘টেইল রিস্ক’ কে বহন করবে, যখন পুঁজি–ব্যয়ের হার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে আরও বেড়ে যায়?
শেষ কথা—মানচিত্র নীল হোক বা না হোক, অভিযোজন অবশ্যম্ভাবী। প্রকৃত বৃষ্টির ডাটা ও পরিবর্তিত জলবায়ুকে ভিত্তি করে মানচিত্র নিয়মিত আপডেট করে যে শহরগুলো পরিকল্পনা করবে, তারাই আগামী দশকে বসতি ও বীমাযোগ্যতা টিকিয়ে রাখতে পারবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত

বন্যার নতুন বাস্তবতা: এফিমার মানচিত্র পাল্টাতে শহরগুলোর জোর প্রচেষ্টা

০৫:২৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

মানচিত্র বনাম স্থানীয় বাস্তবতা
মার্কিন শহরগুলো এখন এফিমা (FEMA)–র বন্যা–মানচিত্রকে চ্যালেঞ্জ করছে—কারণ এই নকশা প্রিমিয়াম, নির্মাণবিধি ও সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। রবিবারের নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেল, মাউন্টেন ওয়েস্ট থেকে উপসাগরীয় উপকূল—বহু শহর আইনগত ও প্রকৌশলগত পথ ধরে মানচিত্র সংশোধনের আবেদন করছে। স্থানীয় প্রশাসনের যুক্তি—সাম্প্রতিক বাঁধ, ড্রেনেজ, রিটেনশন বেসিন বা নদীতীর সুরক্ষার মতো প্রকল্পগুলো বর্তমান মানচিত্রে প্রতিফলিত হয়নি। বাড়ির মালিকদের জন্য বিষয়টি টাকার—প্রিমিয়াম দ্রুত বাড়ছে, বিক্রিমূল্য কমছে; তাই রাজনৈতিক চাপও তীব্র।
আবেদনের সমর্থকেরা বলেন, বৈজ্ঞানিক আপডেটের জন্য কাঠামো আছে; শক্তিশালী ডাটা দিলে নতুন মানচিত্র সম্ভব। সমালোচকেরা সতর্ক করেন—অতিরিক্ত অংশকে ঝুঁকিহীন দেখালে আত্মতুষ্টি তৈরি হতে পারে, অথচ জলবায়ু–উষ্ণতায় চরম বৃষ্টিপাতই বাড়ছে। ফল হচ্ছে মিশ্র চিত্র: কিছু এলাকায় প্রমাণভিত্তিক আবেদন পাশ হচ্ছে, অন্যত্র মডেল দেখাচ্ছে ‘অবশিষ্ট ঝুঁকি’ যেটা স্থানীয় প্রকল্পে পুরোপুরি কাটছে না।

Cities Fight to Get Off FEMA's Flood Maps. One Montana Town Shows the Risk.  - WSJ

বীমা, অবকাঠামো ও নীতি–কৌশল
উষ্ণ বায়ু বেশি আর্দ্রতা বহন করায় হঠাৎ মেঘফাটা বৃষ্টি ও ‘সানি ডে ফ্লাডিং’ এখন অভ্যন্তরীণ এলাকাতেও। উপকূলে সাগরের উচ্চতা, কিঙ–টাইড ও শক্তিশালী ঝড় মিলিয়ে যৌগিক ঝুঁকি। বাণিজ্যিক বীমা বাজার ক্ষতির ভারে পশ্চাদপসরণ করলে জাতীয় বন্যা–বীমা কর্মসূচি (NFIP) গৃহঋণ ও প্রিমিয়ামের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে—যেখানে জলবায়ু–ঝুঁকি সরাসরি দামে ধরা পড়ে।
শহরগুলো পরীক্ষামূলক পথে হাঁটছে: নতুন ভবনে উচ্চতা–মানদণ্ড, বারবার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ‘বাইআউট’, জলধারণ–ক্ষমতাসম্পন্ন সবুজ অবকাঠামো, আর ক্রেতাদের জন্য বাধ্যতামূলক বন্যা–ইতিহাস প্রকাশ। কিন্তু টানাপোড়েন রয়ে যায়। বিস্তৃত ঝুঁকি মানতে গেলে সম্পত্তি–মূল্য ও কর–আয় চাপে পড়ে; আবার আপত্তি মেনে মানচিত্র শিথিল করলে ভবিষ্যৎ ক্ষতির ঝুঁকিও থাকে।
প্রকৌশলীদের মতে, সেরা সমাধান হলো স্বচ্ছতা: মডেল–ধারণা প্রকাশ, কোথায় বাঁধ কাজ করে—কোথায় করে না—তা দেখানো, আর মানচিত্র–পরিবর্তনকে রক্ষণাবেক্ষণের শর্তে বাঁধা। গৃহস্বামীদের জন্য তাৎক্ষণিক প্রশ্ন—প্রিমিয়াম কতটা সামলানো যাবে, আর ব্যাকফ্লো ভালভ বা ইউটিলিটি উঁচুতে তোলার মতো রেট্রোফিট কীভাবে করা যায়। ব্যাংক–ডেভেলপারদের জন্য প্রশ্ন—চরম ঘটনাগুলোর ‘টেইল রিস্ক’ কে বহন করবে, যখন পুঁজি–ব্যয়ের হার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে আরও বেড়ে যায়?
শেষ কথা—মানচিত্র নীল হোক বা না হোক, অভিযোজন অবশ্যম্ভাবী। প্রকৃত বৃষ্টির ডাটা ও পরিবর্তিত জলবায়ুকে ভিত্তি করে মানচিত্র নিয়মিত আপডেট করে যে শহরগুলো পরিকল্পনা করবে, তারাই আগামী দশকে বসতি ও বীমাযোগ্যতা টিকিয়ে রাখতে পারবে।