০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
স্বপ্ন, পুরাণ ও কূটনীতি: শিল্পে নতুন সেতু গড়ছে ভারত–রাশিয়া ভারত বদলেছে, কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট: পুতিন যুক্তরাষ্ট্রে H-1B ভিসায় সোশ্যাল মিডিয়া পর্যালোচনা আরও কঠোর হচ্ছে যদি আমেরিকা রাশিয়ান তেল কিনতে পারে, তবে ভারত কেন নয়?: পুতিন গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত আমেরিকান ইংরেজির প্রভাব ব্রিটিশ ইংরেজিতে পুতিন-মোদী সাক্ষাৎ: প্রতিরক্ষা চুক্তি, বাণিজ্য ও কূটনীতিতে নতুন সমীকরণ ২০২৬ সালে সোনার দাম কোন পথে যাবে? রেকর্ড গড়ার পর বাজারে অনিশ্চয়তা ওকলাহোমায় লিঙ্গ এবং ধর্ম সম্পর্কিত একটি শিক্ষার্থীর প্রবন্ধ জাতীয় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে মস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা: অগ্রগতি নেই, যুদ্ধ থামানো কঠিন

অনবোর্ডিংয়ের প্রথম দিনেই লন্ডনের রাস্তাঘাট, অফিস কফি আর চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

লন্ডনে মেটা অফিসে যোগ দিয়ে ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অমিত দত্ত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন তাঁর অনবোর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা। ভিডিওটি দ্রুতই ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় তাঁর প্রতিদিনের কর্মজীবন, লন্ডনের সকাল, ও নতুন শহরে মানিয়ে নেওয়ার যাত্রা।


নতুন শহরে নতুন শুরু

“চলুন আমার অনবোর্ডিং যাত্রায়—নতুন শহর, নতুন অফিস, নতুন ব্যাজ!”—এই বাক্য দিয়েই ভিডিও শুরু করেন অমিত। তিনি জানান, মেটা কর্মীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্টধর্মী অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করে, যেখানে হোটেলসম মানের সব সুযোগ-সুবিধা থাকে—যতদিন না কর্মীরা স্থায়ী বাসস্থান খুঁজে পান।


লন্ডনের পথে হাঁটাচলা

অফিসে যাওয়ার পথে অমিতের প্রতিদিনের হাঁটা প্রায় ২০–২৫ মিনিট। ভিডিওতে হাসতে হাসতে বলেন, “সকালে বেশ ঠান্ডা থাকে, কিন্তু চারপাশের দৃশ্য সেটার পূর্ণ প্রতিদান দেয়। আর সত্যি বলতে, লন্ডনের কুকুরগুলোর স্টাইল আমার চেয়েও বেশি!”


অফিসে প্রথম দিন

অফিসে পৌঁছেই কফির অভিজ্ঞতা নিয়ে রসিকতা করেন তিনি। বলেন, “মেশিনে কফি বানিয়ে খাওয়ার পর জানতে পারলাম নিচতলায় পুরো এক জন বারিস্তা আছেন! আগে কেউ বলল না কেন?”


প্রশিক্ষণ ও ভূমিকা

অমিত বর্তমানে ইনফ্রা টিমে ফুল-স্ট্যাক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ সেশনটি নিয়েছিলেন টিম প্রধান নিজে। “সেশনটি ছিল অসাধারণ। শেষে সবাইকে দেওয়া হলো সারপ্রাইজ হুডি—সত্যি বলতে, ফ্রি গিফট হলো প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারের ভালোবাসার ভাষা,” মন্তব্য করেন তিনি।


কোড, শেখা ও মজা

অমিতের দিন কেটে যায় React ও GraphQL নিয়ে কাজ, কোডবেস ঘাঁটা এবং নতুন শেখার মধ্যে দিয়ে। হেসে বলেন, “একটু শেখা, একটু ডিবাগিং, আর আশা করছি প্রথম দিনেই প্রোডাকশন ভেঙে ফেলব না!”


নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

‘Onboarding journey as a Software Engineer at Meta’ শিরোনামে পোস্ট করা ভিডিওটি নেটিজেনদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। কেউ লিখেছেন, “তুমি সত্যি স্বপ্নের জীবন যাপন করছ।” কেউ জানতে চেয়েছেন, “ভাই, এত সুন্দর ভ্লগ বানানোর সময় কিভাবে পাও?” আবার কেউ লন্ডনের স্মৃতি রোমন্থন করে মন্তব্য করেছেন, “লন্ডন এক অসাধারণ জায়গা। এখন সিঙ্গাপুরে আছি, কিন্তু ওখানটাকে খুব মিস করি। কার্নাবি স্ট্রিটের ‘কাথিরোল’ রেস্টুরেন্টে অবশ্যই যেও, খাবারটা চমৎকার।”


অমিত দত্তের ভিডিও শুধু কর্মজীবনের নতুন অধ্যায় নয়, বরং এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের উদ্যম, কৌতূহল ও শহরের সৌন্দর্যকে একত্রে তুলে ধরেছে—যেখানে কাজ আর ঘোরাঘুরি মিলেমিশে এক প্রেরণাদায়ক গল্প তৈরি করেছে।


#t: মেটা_লন্ডন, #ভারতীয়_ইঞ্জিনিয়ার,# প্রযুক্তি_জীবন, #ভাইরাল_#ভিডিও,# সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্ন, পুরাণ ও কূটনীতি: শিল্পে নতুন সেতু গড়ছে ভারত–রাশিয়া

অনবোর্ডিংয়ের প্রথম দিনেই লন্ডনের রাস্তাঘাট, অফিস কফি আর চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

১১:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

লন্ডনে মেটা অফিসে যোগ দিয়ে ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অমিত দত্ত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন তাঁর অনবোর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা। ভিডিওটি দ্রুতই ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় তাঁর প্রতিদিনের কর্মজীবন, লন্ডনের সকাল, ও নতুন শহরে মানিয়ে নেওয়ার যাত্রা।


নতুন শহরে নতুন শুরু

“চলুন আমার অনবোর্ডিং যাত্রায়—নতুন শহর, নতুন অফিস, নতুন ব্যাজ!”—এই বাক্য দিয়েই ভিডিও শুরু করেন অমিত। তিনি জানান, মেটা কর্মীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্টধর্মী অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করে, যেখানে হোটেলসম মানের সব সুযোগ-সুবিধা থাকে—যতদিন না কর্মীরা স্থায়ী বাসস্থান খুঁজে পান।


লন্ডনের পথে হাঁটাচলা

অফিসে যাওয়ার পথে অমিতের প্রতিদিনের হাঁটা প্রায় ২০–২৫ মিনিট। ভিডিওতে হাসতে হাসতে বলেন, “সকালে বেশ ঠান্ডা থাকে, কিন্তু চারপাশের দৃশ্য সেটার পূর্ণ প্রতিদান দেয়। আর সত্যি বলতে, লন্ডনের কুকুরগুলোর স্টাইল আমার চেয়েও বেশি!”


অফিসে প্রথম দিন

অফিসে পৌঁছেই কফির অভিজ্ঞতা নিয়ে রসিকতা করেন তিনি। বলেন, “মেশিনে কফি বানিয়ে খাওয়ার পর জানতে পারলাম নিচতলায় পুরো এক জন বারিস্তা আছেন! আগে কেউ বলল না কেন?”


প্রশিক্ষণ ও ভূমিকা

অমিত বর্তমানে ইনফ্রা টিমে ফুল-স্ট্যাক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ সেশনটি নিয়েছিলেন টিম প্রধান নিজে। “সেশনটি ছিল অসাধারণ। শেষে সবাইকে দেওয়া হলো সারপ্রাইজ হুডি—সত্যি বলতে, ফ্রি গিফট হলো প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারের ভালোবাসার ভাষা,” মন্তব্য করেন তিনি।


কোড, শেখা ও মজা

অমিতের দিন কেটে যায় React ও GraphQL নিয়ে কাজ, কোডবেস ঘাঁটা এবং নতুন শেখার মধ্যে দিয়ে। হেসে বলেন, “একটু শেখা, একটু ডিবাগিং, আর আশা করছি প্রথম দিনেই প্রোডাকশন ভেঙে ফেলব না!”


নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

‘Onboarding journey as a Software Engineer at Meta’ শিরোনামে পোস্ট করা ভিডিওটি নেটিজেনদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। কেউ লিখেছেন, “তুমি সত্যি স্বপ্নের জীবন যাপন করছ।” কেউ জানতে চেয়েছেন, “ভাই, এত সুন্দর ভ্লগ বানানোর সময় কিভাবে পাও?” আবার কেউ লন্ডনের স্মৃতি রোমন্থন করে মন্তব্য করেছেন, “লন্ডন এক অসাধারণ জায়গা। এখন সিঙ্গাপুরে আছি, কিন্তু ওখানটাকে খুব মিস করি। কার্নাবি স্ট্রিটের ‘কাথিরোল’ রেস্টুরেন্টে অবশ্যই যেও, খাবারটা চমৎকার।”


অমিত দত্তের ভিডিও শুধু কর্মজীবনের নতুন অধ্যায় নয়, বরং এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের উদ্যম, কৌতূহল ও শহরের সৌন্দর্যকে একত্রে তুলে ধরেছে—যেখানে কাজ আর ঘোরাঘুরি মিলেমিশে এক প্রেরণাদায়ক গল্প তৈরি করেছে।


#t: মেটা_লন্ডন, #ভারতীয়_ইঞ্জিনিয়ার,# প্রযুক্তি_জীবন, #ভাইরাল_#ভিডিও,# সারাক্ষণ_রিপোর্ট