রাজধানীর আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমেদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার এক গৃহশিক্ষার্থী কলেজছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, পাশাপাশি অন্যদেরও শনাক্তে একাধিক দল কাজ করছে।
আটক তরুণীর পরিচয় ও ভূমিকা
আটক শিক্ষার্থীর নাম বর্ষা। তিনি স্থানীয় এক কলেজের ছাত্রী এবং নিহত জুবায়ের আহমেদের প্রাইভেট টিউশন করতেন।
লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মালিক আহসান উদ্দিন সামি জানান, বর্ষা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন এবং তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “ভবনের সব বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা শিগগিরই ঘটনার পূর্ণ চিত্র উদঘাটন করতে পারব বলে আশা করছি।”
সিসিটিভিতে সন্দেহভাজনদের ফুটেজ
ঘটনার কিছু পরেই আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কালো টি-শার্ট পরা দুই তরুণকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে নূর বক্স রোডের মক্তা এলাকা থেকে বঙ্গশাল রোডের দিকে দৌড়ে যেতে। পুলিশ ধারণা করছে, এই দুই তরুণই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ
রবিবার বিকেলে জুবায়ের আহমেদ নূর বক্স রোডের একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তৃতীয় তলায় পৌঁছেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তদন্তের অগ্রগতি
ঘটনার পর লালবাগ জোনের একাধিক পুলিশ দল এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে এবং সম্ভাব্য সন্দেহভাজনদের শনাক্তে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, সিসিটিভি বিশ্লেষণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত দ্রুত এগোচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমেদের মৃত্যু রাজধানীতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনার নেপথ্যের কারণ ও জড়িতদের পরিচয় অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকাশ করা সম্ভব হবে।