নীতিমালার অনুমোদন ও উদ্দেশ্য
পাকিস্তান সরকার ২০২৫–২৬ সালের গম নীতি অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের (PMO), এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, এই নীতির আওতায় প্রদেশান্তর গম চলাচলে কোনো প্রকার সীমাবদ্ধতা আর থাকবে না। সরকার বলেছে, এতে দেশব্যাপী গমের সরবরাহ ও বাজারে ভারসাম্য নিশ্চিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন নীতি কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের আমদানি মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।
গমের নতুন ক্রয়মূল্য নির্ধারণ
২০২৫–২৬ মৌসুমে প্রতি মণ গমের সরকার নির্ধারিত ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৩,৫০০ রুপি। এটি আন্তর্জাতিক আমদানি মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে কৃষকরা ন্যায্য দাম পান এবং সরকারকে অপ্রয়োজনীয় আমদানির ব্যয় এড়ানো যায়।
প্রদেশান্তর চলাচল ও বাজার স্থিতিশীলতা
পূর্ববর্তী বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রদেশে গম পরিবহনে নানা বিধিনিষেধ ছিল, যার ফলে সরবরাহে ঘাটতি ও বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। নতুন নীতিতে এই সীমাবদ্ধতা সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে সিন্ধ, পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশের মধ্যে গমের মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের উৎপাদন উৎসাহিত করবে এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট রোধে সহায়ক হবে।
সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিমালার অনুমোদনের সময় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন গম সংগ্রহ ও পরিবহন কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম না ঘটে। একই সঙ্গে, খাদ্য মন্ত্রণালয়কে গমের মজুদ ও আমদানির ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২০২৫–২৬ সালের গম নীতি পাকিস্তানের কৃষিখাতে একটি বড় সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রদেশান্তর গম চলাচলে বাধা তুলে দেওয়া এবং বাজারভিত্তিক ক্রয়মূল্য নির্ধারণ—দুটিই দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
#পাকিস্তান,# গম নীতি, #কৃষি সংস্কার,# খাদ্য নিরাপত্তা,# শাহবাজ শরিফ, #কৃষক সুরক্ষা,# প্রদেশান্তর# বাণিজ্য, #সারাক্ষণ রিপোর্ট