০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৩) টিম কারির স্মৃতিকথা ‘ভ্যাগাবন্ড’-এ জীবনের রঙিন অধ্যায় সুপার হেডলাইন: ভারতের সংবিধান বেঞ্চেরও বিশেষ ক্ষমতা আছে— মন্তব্য পাকিস্তানের বিচারপতি মাজহার দিওয়ালির রঙে শিল্পা ও শমিতা শেঠির বোনেদের মজা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৪) ভারতের ঋণসীমার আওতায় ‘চুক্তি বাতিলের তালিকা ভুল’— পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অ-পরিশোধিত ঋণে চাপে ২৪ ব্যাংক ঝুঁকিতে, অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় বড় ধাক্কা ১.৫৬ কোটি টাকা বকেয়া ও গ্যাস চুরির অভিযোগে আনন্ত জলিলের কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন পর্নোগ্রাফি মামলায় দম্পতির পাঁচ দিনের রিমান্ড নারায়ণগঞ্জের প্রধান ফেরিঘাটে ভেসে উঠল এক তরুণের নগ্ন দেহ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা বুধবার আদালতে পরবর্তী শুনানি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার এই তারিখ নির্ধারণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও আইন অঙ্গনে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।


শুনানি ও আদালতের কার্যক্রম

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনগুলোর শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয় আদালত।


আবেদনকারীরা কারা

পুনর্বিবেচনার আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার এবং নওগাঁ জেলার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা সকলেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আপিল করেছেন।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ইতিহাস

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এই সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় নির্দলীয় নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে।

তবে ১৯৯৮ সালে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহ-সহ তিনজন আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দিয়ে রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।


পঞ্চদশ সংশোধনী ও সাম্প্রতিক রায়

পরবর্তীতে ২০১১ সালে গৃহীত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়। কিন্তু গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা দেন এবং এই ধারাগুলো বাতিল করেন।

এই রায়ের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আইনি বিতর্ক ও রাজনৈতিক আলোচনার সূত্রপাত হয়।


রাজনৈতিক গুরুত্ব ও প্রত্যাশা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল সংক্রান্ত রিভিউ আবেদনটি শুধু আইনি নয়, রাজনৈতিকভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই রায় ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

আইনজীবী মহলে আশা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজকের শুনানিতে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে।


#
#তত্ত্বাবধায়ক_সরকার #বাংলাদেশ_সুপ্রিম_কোর্ট #সংবিধান #রিভিউ_শুনানি #রাজনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৩)

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা বুধবার আদালতে পরবর্তী শুনানি

০৬:১৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার এই তারিখ নির্ধারণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও আইন অঙ্গনে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।


শুনানি ও আদালতের কার্যক্রম

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনগুলোর শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয় আদালত।


আবেদনকারীরা কারা

পুনর্বিবেচনার আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার এবং নওগাঁ জেলার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা সকলেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আপিল করেছেন।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ইতিহাস

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এই সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় নির্দলীয় নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে।

তবে ১৯৯৮ সালে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহ-সহ তিনজন আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দিয়ে রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।


পঞ্চদশ সংশোধনী ও সাম্প্রতিক রায়

পরবর্তীতে ২০১১ সালে গৃহীত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়। কিন্তু গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা দেন এবং এই ধারাগুলো বাতিল করেন।

এই রায়ের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আইনি বিতর্ক ও রাজনৈতিক আলোচনার সূত্রপাত হয়।


রাজনৈতিক গুরুত্ব ও প্রত্যাশা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল সংক্রান্ত রিভিউ আবেদনটি শুধু আইনি নয়, রাজনৈতিকভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই রায় ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

আইনজীবী মহলে আশা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজকের শুনানিতে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে।


#
#তত্ত্বাবধায়ক_সরকার #বাংলাদেশ_সুপ্রিম_কোর্ট #সংবিধান #রিভিউ_শুনানি #রাজনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট