১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
AWS বিভ্রাট দেখালো ইন্টারনেটের ভঙ্গুরতা ভনসালির ‘হীরামন্ডি ২’-তে ফিরছেন দীপিকা ও রণবীর” যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনায় রাশিয়া ইস্যুতে নতুন বার্তা চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ঢাকার শেয়ারবাজারে শাহজাহানপুরে রেললাইনের পাশে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা — যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানির শুল্ক কমে আসতে পারে ১৫–১৬ শতাংশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও যৌন হয়রানির অভিযোগে বুয়েট শিক্ষার্থী সৃশান্ত রায় গ্রেপ্তার উন্নয়ন অর্জনের পর কঠিন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ: আইসিসিবি নরসিংদীর হাজি টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ড—মূল্যবান তুলা ও কাপড় পুড়ে ছাই রংপুরে আক্রান্ত গরুর মাংস খাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে অ্যানথ্রাক্স: মোট এক জেলাতে ৭৮ জন সনাক্ত

পর্দার আলো থেকে হৃদয়ের গল্প—তাসনিয়া ফারিণের সাফল্যের সফর

বাংলাদেশের অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নাম তাসনিয়া ফারিণ। টেলিভিশন নাটক, ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা—সব ক্ষেত্রেই তাঁর পারফরম্যান্সে ঝলসে উঠেছে প্রতিভার দীপ্তি। এক দশকেরও কম সময়ে তিনি নিজের অভিনয়শৈলী, পরিশ্রম ও মনোযোগ দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীরা কেবল জনপ্রিয়তার দৌড়ে নয়, গুণগত অভিনয়ে নিজস্ব জায়গা দখল করতে জানেন।

শুরুর দিনগুলো: এক সাধারণ মেয়ে থেকে আলোর মঞ্চে

তাসনিয়া ফারিণের জন্ম ঢাকায়, এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিল না—বরং পরিবার চেয়েছিল তিনি পড়াশোনায় মনোযোগী হোন। কিন্তু স্কুলজীবনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও নাট্যাভিনয় ধীরে ধীরে তাঁর জীবনে অভিনয়ের প্রতি এক অদ্ভুত টান তৈরি করে।

বিদ্যালয় পর্যায়ের নাটকে অংশ নেওয়া, নাট্যাভিনয়ে প্রশংসা পাওয়া এবং বন্ধুদের উৎসাহ—সব মিলিয়ে তিনি বুঝতে শুরু করেন যে অভিনয়ই তাঁর আত্মপ্রকাশের মাধ্যম। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে মডেলিং শুরু করেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তাঁর অভিনয়জীবনের সূচনা।

নতুন খবর দিলেন তাসনিয়া ফারিণ | CampusTimes

টেলিভিশন নাটকে প্রথম পদক্ষেপ

২০১৭ সালে তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, যেখানে তাঁর অভিব্যক্তি ও স্বাভাবিকতা দর্শকের নজর কাড়ে। এরপর পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘একটি নাটক’ সিরিজে কাজ করে তিনি আলোচনায় আসেন। সেখান থেকেই শুরু তাঁর টেলিভিশন নাটকে স্থায়ী যাত্রা।

তাঁর প্রথম দিকের নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তোমার আমার গল্প’, ‘একটি প্রেমের গল্প’ ও ‘বিকেলবেলা’—যেগুলোতে তিনি তরুণ প্রেম, বন্ধুত্ব, বিভ্রান্তি ও সমাজের বাস্তবতার মিশ্রণে চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন।

শুরুর দিকেই দর্শকের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁর প্রাকৃতিক অভিনয় ও সংলাপ বলার সহজ ভঙ্গির কারণে। তাঁর অভিনয়ে কখনও বাড়াবাড়ি নেই, আবার অতি সরলতাও নয়—এই ভারসাম্যই তাঁকে আলাদা করে তোলে।

পারিবারিক সমর্থন ও ব্যক্তিগত সংগ্রাম

যেকোনো নারী শিল্পীর মতোই ফারিণকেও সমাজের নানা দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হতে হয়েছে। শুরুতে পরিবারে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও পরবর্তীতে তাঁর সাফল্য ও দর্শকপ্রিয়তা দেখে বাবা-মা তাঁর পাশে দাঁড়ান।

ভারতের সেই সিনেমা থেকে সরে আসলেন তাসনিয়া ফারিণ

তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “পরিবারের সমর্থন না পেলে আমি কখনো এই জায়গায় আসতে পারতাম না।” তাঁর মা ছিলেন প্রথম সমালোচক ও প্রথম প্রশংসাকারী। অভিনয় নিয়ে পরামর্শ নেওয়া থেকে শুরু করে পোশাক বাছাই—সব কিছুতেই পরিবারের অংশগ্রহণ ছিল গভীর।

তবে এই পথ একেবারেই মসৃণ ছিল না। শুরুর দিনগুলোতে তিনি বারবার প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হয়েছেন। বিজ্ঞাপনের অডিশনে ব্যর্থতা, নাটকে সুযোগ না পাওয়া, এমনকি সমালোচকদের কঠোর মন্তব্য—সবকিছুকে শক্তি হিসেবে নিয়েই তিনি এগিয়ে গেছেন।

অভিনয়ের জগতে স্বকীয়তা

তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়ের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর বাস্তবিকতা। তিনি চরিত্রে ঢুকে যেতে পারেন অনায়াসে—যেন সেই চরিত্রই তাঁর নিজের জীবন। তাঁর অভিনয় কখনো চিৎকার করে নয়, বরং সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গিতে দর্শকের মনে ছোঁয়া দেয়।

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

তিনি বিশ্বাস করেন, “অভিনয় মানে অতিরঞ্জন নয়, বরং অনুভূতির সঠিক প্রকাশ।”
এই দর্শনই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’, ‘আধখানা ভালোবাসা’, ‘অরুন্ধতী’—এই নাটকগুলোতে তাঁর চরিত্রের গভীরতা, চোখের ভাষা ও সংলাপের আবেগ ফুটে উঠেছিল অসাধারণভাবে।

বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ: “শনিবার বিকেল” থেকে “আরেলিনা”

তাসনিয়া ফারিণের ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর “শনিবার বিকেল” সিনেমার মাধ্যমে। যদিও সিনেমাটি মুক্তির দিক থেকে নানা বিতর্ক ও সেন্সরবোর্ডের জটিলতার মুখোমুখি হয়, তবু আন্তর্জাতিকভাবে এই কাজের প্রশংসা তাঁর অভিনয়জীবনে নতুন অধ্যায় যোগ করে।

এই ছবিতে তিনি সহ-অভিনেতা জাহিদ হাসানের বিপরীতে এক দৃঢ় ও মর্মস্পর্শী চরিত্রে অভিনয় করেন। ফারিণের চোখের অভিব্যক্তি ও স্বল্প সংলাপে গভীর অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা দর্শক ও সমালোচক উভয়ের মন জয় করে।

শোবিজ – অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ যখন শো স্টপার

এরপর “আরেলিনা”, “রূপকথার দেশ”, “লন্ডনভিত্তিক শর্টফিল্ম”—এই সব আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে তিনি কাজ করেন, যা তাঁকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পরিচিত করে তোলে।

আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও ওয়েব সিরিজে উত্থান

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তাঁর অভিনয় নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় “লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান” সিরিজের মাধ্যমে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় নির্মিত এই সিরিজে তিনি অভিনয় করেন সমাজের বাস্তবতা ও নারীর অবস্থান নিয়ে।

‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে ফারিণের পরিণত অভিনয় সবাইকে বিস্মিত করে। এক তরুণ কর্মজীবী নারীর অভিজ্ঞতা, মানসিক চাপ ও আত্মমর্যাদার লড়াই—সব কিছুই তিনি অভিনয়ে তুলে ধরেন এমনভাবে, যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।

এই সিরিজের পরপরই “Unoloukik”, “Karagar”, “Buker Moddhe Agun” প্রভৃতি ওয়েব সিরিজে কাজ করে তিনি প্রতিষ্ঠিত হন এক বহুমাত্রিক অভিনেত্রী হিসেবে।

না' বলার কারণে আমার শত্রু বেশি: তাসনিয়া ফারিণ

সমালোচনা ও আত্মসমালোচনার সাহস

যেকোনো সফল শিল্পীর মতোই ফারিণও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। কখনও বলা হয়েছে, তিনি “বেশি সুশীল চরিত্রে” সীমাবদ্ধ; আবার কখনও বলা হয়েছে, “তাঁর অভিনয় খুব নিরাপদ।”

তবে ফারিণ এসব সমালোচনা গ্রহণ করেন ইতিবাচকভাবে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সমালোচনা আমাকে শেখায় কোথায় ঘাটতি আছে। আমি সবসময় নতুন কিছু শিখতে চাই।”

এই মনোভাবই তাঁকে প্রতিনিয়ত উন্নত করেছে। একসময়ের টিভি অভিনেত্রী আজ আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেকে প্রস্তুত করছেন।

শিক্ষা ও পেশাগত ভারসাম্য

অভিনয়ের পাশাপাশি তাসনিয়া ফারিণ তাঁর শিক্ষাজীবনেও মনোযোগী। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (EEE) পড়াশোনা করেছেন।

প্রথমবার সিনেমায় তাসনিয়া ফারিণ

এই দুই ভিন্ন জগত—অভিনয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং—একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়। কিন্তু ফারিণ বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, যে কাজই করি মন থেকে করলে তাতে ভারসাম্য আনা যায়। অভিনয় আমাকে আবেগে পূর্ণ করে, আর পড়াশোনা আমাকে শৃঙ্খলায় রাখে।”

নারী শিল্পী হিসেবে অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি

তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তাঁর নারী চরিত্রের বেছে নেওয়া। তিনি কখনও কেবল “গ্ল্যামারাস” চরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং সমাজের সংগ্রামী ও আত্মনির্ভর নারীর গল্প বলেছেন অভিনয়ের মাধ্যমে।

তাঁর মতে, “নারী চরিত্র মানেই দুর্বলতা নয়। আমি এমন চরিত্র করতে চাই, যেগুলো নারীর শক্তি, সাহস ও আত্মপরিচয় প্রকাশ করে।”

এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক করেছে।

জনপ্রিয়তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি

চলতি মাসেই সুখবর পাচ্ছেন তাসনিয়া ফারিণ

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাসনিয়া ফারিণের উপস্থিতি এখন এক অনন্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। তাঁর ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে রয়েছে লাখো অনুসারী। তিনি নিজের জীবনের খুঁটিনাটি মুহূর্ত, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বই পড়া ও ভ্রমণ—সবকিছুই ভাগ করে নেন ভক্তদের সঙ্গে।

তবে তিনি সচেতনভাবে গসিপ থেকে দূরে থাকেন। তাঁর পোস্টগুলোয় ইতিবাচক বার্তা থাকে—নিজেকে ভালোবাসা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে।

ফ্যাশন ও ব্যক্তিত্ব

তাসনিয়া ফারিণ কেবল অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন স্টাইল আইকনও। তাঁর পোশাক বাছাই, সরল অথচ মার্জিত ফ্যাশন সেন্স ও রঙের ব্যবহার—সবকিছুতেই ফুটে ওঠে সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের ভারসাম্য।

বাংলাদেশি ডিজাইনারদের পোশাক পরিধান করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে তিনি স্থানীয় ফ্যাশন শিল্পকেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

কাজের দর্শন: চরিত্রের ভেতরে নিজেকে হারানো

অনেক প্রশংসা পাচ্ছি: তাসনিয়া ফারিণ

ফারিণের কাজের মূল দর্শন হলো চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলা। তিনি প্রতিটি চরিত্রের জন্য গবেষণা করেন, নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেন, এমনকি সংলাপের টোন পর্যন্ত অনুশীলন করেন।

তিনি বলেন, “যখন আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই, তখন আমি তাসনিয়া নই—আমি সেই চরিত্র। অভিনয় মানে নিজেকে হারিয়ে ফেলা।”

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

তাসনিয়া ফারিণ ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন।

  • • মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েছেন।
  • • ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এর জন্য সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
  • • আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাঁর “শনিবার বিকেল” চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হলে বিদেশি মিডিয়াও প্রশংসা করে।

এই অর্জনগুলো শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং নতুন প্রজন্মের নারী শিল্পীদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে।

তেহরানের উৎসবে তাসনিয়া ফারিণের 'ফাতিমা'

সমাজ ও সংস্কৃতিতে অবদান

তাসনিয়া ফারিণ কেবল পর্দার শিল্পী নন; তিনি সমাজ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত। তিনি নারী শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সৃজনশীলতার প্রসার নিয়ে কাজ করেন।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণ কর্মশালায় তিনি অংশগ্রহণ করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করেন নিজেদের স্বপ্নকে অনুসরণ করতে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি

বর্তমানে ফারিণ কাজ করছেন কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পে। তাঁর লক্ষ্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বৈশ্বিক মানচিত্রে আরও শক্তিশালীভাবে তুলে ধরা।

তিনি বলেন, “আমি চাই, বিদেশে যখন কেউ বাংলাদেশের সিনেমা দেখবে, তারা বলুক—এ দেশেও বিশ্বমানের গল্প বলা হয়।”

প্রমাণসহ নিউজ করতে বললেন তাসনিয়া ফারিণ

তাসনিয়া ফারিণ কেবল একজন অভিনেত্রী নন, তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম—যিনি ছোট পর্দা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন প্রতিভা, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে।

তাঁর যাত্রা প্রমাণ করে—সফলতা আসে তখনই, যখন কেউ নিজের সীমা ভাঙতে জানে এবং নিজের স্বপ্নে বিশ্বাস রাখে।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য তাসনিয়া ফারিণ এক উজ্জ্বল প্রতীক—একজন শিল্পী, যিনি পর্দার আলোর মতোই হৃদয়ের গভীরে আলো ছড়ান।

# তাসনিয়া_ফারিণ,# বাংলাদেশি_অভিনেত্রী,# লেডিস_অ্যান্ড_জেন্টলম্যান, শনিবার_বিকেল, #নারী_অভিনয়,# সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

AWS বিভ্রাট দেখালো ইন্টারনেটের ভঙ্গুরতা

পর্দার আলো থেকে হৃদয়ের গল্প—তাসনিয়া ফারিণের সাফল্যের সফর

০৭:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নাম তাসনিয়া ফারিণ। টেলিভিশন নাটক, ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা—সব ক্ষেত্রেই তাঁর পারফরম্যান্সে ঝলসে উঠেছে প্রতিভার দীপ্তি। এক দশকেরও কম সময়ে তিনি নিজের অভিনয়শৈলী, পরিশ্রম ও মনোযোগ দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীরা কেবল জনপ্রিয়তার দৌড়ে নয়, গুণগত অভিনয়ে নিজস্ব জায়গা দখল করতে জানেন।

শুরুর দিনগুলো: এক সাধারণ মেয়ে থেকে আলোর মঞ্চে

তাসনিয়া ফারিণের জন্ম ঢাকায়, এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিল না—বরং পরিবার চেয়েছিল তিনি পড়াশোনায় মনোযোগী হোন। কিন্তু স্কুলজীবনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও নাট্যাভিনয় ধীরে ধীরে তাঁর জীবনে অভিনয়ের প্রতি এক অদ্ভুত টান তৈরি করে।

বিদ্যালয় পর্যায়ের নাটকে অংশ নেওয়া, নাট্যাভিনয়ে প্রশংসা পাওয়া এবং বন্ধুদের উৎসাহ—সব মিলিয়ে তিনি বুঝতে শুরু করেন যে অভিনয়ই তাঁর আত্মপ্রকাশের মাধ্যম। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে মডেলিং শুরু করেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তাঁর অভিনয়জীবনের সূচনা।

নতুন খবর দিলেন তাসনিয়া ফারিণ | CampusTimes

টেলিভিশন নাটকে প্রথম পদক্ষেপ

২০১৭ সালে তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, যেখানে তাঁর অভিব্যক্তি ও স্বাভাবিকতা দর্শকের নজর কাড়ে। এরপর পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘একটি নাটক’ সিরিজে কাজ করে তিনি আলোচনায় আসেন। সেখান থেকেই শুরু তাঁর টেলিভিশন নাটকে স্থায়ী যাত্রা।

তাঁর প্রথম দিকের নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তোমার আমার গল্প’, ‘একটি প্রেমের গল্প’ ও ‘বিকেলবেলা’—যেগুলোতে তিনি তরুণ প্রেম, বন্ধুত্ব, বিভ্রান্তি ও সমাজের বাস্তবতার মিশ্রণে চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন।

শুরুর দিকেই দর্শকের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁর প্রাকৃতিক অভিনয় ও সংলাপ বলার সহজ ভঙ্গির কারণে। তাঁর অভিনয়ে কখনও বাড়াবাড়ি নেই, আবার অতি সরলতাও নয়—এই ভারসাম্যই তাঁকে আলাদা করে তোলে।

পারিবারিক সমর্থন ও ব্যক্তিগত সংগ্রাম

যেকোনো নারী শিল্পীর মতোই ফারিণকেও সমাজের নানা দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হতে হয়েছে। শুরুতে পরিবারে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও পরবর্তীতে তাঁর সাফল্য ও দর্শকপ্রিয়তা দেখে বাবা-মা তাঁর পাশে দাঁড়ান।

ভারতের সেই সিনেমা থেকে সরে আসলেন তাসনিয়া ফারিণ

তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “পরিবারের সমর্থন না পেলে আমি কখনো এই জায়গায় আসতে পারতাম না।” তাঁর মা ছিলেন প্রথম সমালোচক ও প্রথম প্রশংসাকারী। অভিনয় নিয়ে পরামর্শ নেওয়া থেকে শুরু করে পোশাক বাছাই—সব কিছুতেই পরিবারের অংশগ্রহণ ছিল গভীর।

তবে এই পথ একেবারেই মসৃণ ছিল না। শুরুর দিনগুলোতে তিনি বারবার প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হয়েছেন। বিজ্ঞাপনের অডিশনে ব্যর্থতা, নাটকে সুযোগ না পাওয়া, এমনকি সমালোচকদের কঠোর মন্তব্য—সবকিছুকে শক্তি হিসেবে নিয়েই তিনি এগিয়ে গেছেন।

অভিনয়ের জগতে স্বকীয়তা

তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়ের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর বাস্তবিকতা। তিনি চরিত্রে ঢুকে যেতে পারেন অনায়াসে—যেন সেই চরিত্রই তাঁর নিজের জীবন। তাঁর অভিনয় কখনো চিৎকার করে নয়, বরং সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গিতে দর্শকের মনে ছোঁয়া দেয়।

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

তিনি বিশ্বাস করেন, “অভিনয় মানে অতিরঞ্জন নয়, বরং অনুভূতির সঠিক প্রকাশ।”
এই দর্শনই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’, ‘আধখানা ভালোবাসা’, ‘অরুন্ধতী’—এই নাটকগুলোতে তাঁর চরিত্রের গভীরতা, চোখের ভাষা ও সংলাপের আবেগ ফুটে উঠেছিল অসাধারণভাবে।

বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ: “শনিবার বিকেল” থেকে “আরেলিনা”

তাসনিয়া ফারিণের ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর “শনিবার বিকেল” সিনেমার মাধ্যমে। যদিও সিনেমাটি মুক্তির দিক থেকে নানা বিতর্ক ও সেন্সরবোর্ডের জটিলতার মুখোমুখি হয়, তবু আন্তর্জাতিকভাবে এই কাজের প্রশংসা তাঁর অভিনয়জীবনে নতুন অধ্যায় যোগ করে।

এই ছবিতে তিনি সহ-অভিনেতা জাহিদ হাসানের বিপরীতে এক দৃঢ় ও মর্মস্পর্শী চরিত্রে অভিনয় করেন। ফারিণের চোখের অভিব্যক্তি ও স্বল্প সংলাপে গভীর অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা দর্শক ও সমালোচক উভয়ের মন জয় করে।

শোবিজ – অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ যখন শো স্টপার

এরপর “আরেলিনা”, “রূপকথার দেশ”, “লন্ডনভিত্তিক শর্টফিল্ম”—এই সব আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে তিনি কাজ করেন, যা তাঁকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পরিচিত করে তোলে।

আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও ওয়েব সিরিজে উত্থান

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তাঁর অভিনয় নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় “লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান” সিরিজের মাধ্যমে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় নির্মিত এই সিরিজে তিনি অভিনয় করেন সমাজের বাস্তবতা ও নারীর অবস্থান নিয়ে।

‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে ফারিণের পরিণত অভিনয় সবাইকে বিস্মিত করে। এক তরুণ কর্মজীবী নারীর অভিজ্ঞতা, মানসিক চাপ ও আত্মমর্যাদার লড়াই—সব কিছুই তিনি অভিনয়ে তুলে ধরেন এমনভাবে, যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।

এই সিরিজের পরপরই “Unoloukik”, “Karagar”, “Buker Moddhe Agun” প্রভৃতি ওয়েব সিরিজে কাজ করে তিনি প্রতিষ্ঠিত হন এক বহুমাত্রিক অভিনেত্রী হিসেবে।

না' বলার কারণে আমার শত্রু বেশি: তাসনিয়া ফারিণ

সমালোচনা ও আত্মসমালোচনার সাহস

যেকোনো সফল শিল্পীর মতোই ফারিণও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। কখনও বলা হয়েছে, তিনি “বেশি সুশীল চরিত্রে” সীমাবদ্ধ; আবার কখনও বলা হয়েছে, “তাঁর অভিনয় খুব নিরাপদ।”

তবে ফারিণ এসব সমালোচনা গ্রহণ করেন ইতিবাচকভাবে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সমালোচনা আমাকে শেখায় কোথায় ঘাটতি আছে। আমি সবসময় নতুন কিছু শিখতে চাই।”

এই মনোভাবই তাঁকে প্রতিনিয়ত উন্নত করেছে। একসময়ের টিভি অভিনেত্রী আজ আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেকে প্রস্তুত করছেন।

শিক্ষা ও পেশাগত ভারসাম্য

অভিনয়ের পাশাপাশি তাসনিয়া ফারিণ তাঁর শিক্ষাজীবনেও মনোযোগী। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (EEE) পড়াশোনা করেছেন।

প্রথমবার সিনেমায় তাসনিয়া ফারিণ

এই দুই ভিন্ন জগত—অভিনয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং—একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়। কিন্তু ফারিণ বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, যে কাজই করি মন থেকে করলে তাতে ভারসাম্য আনা যায়। অভিনয় আমাকে আবেগে পূর্ণ করে, আর পড়াশোনা আমাকে শৃঙ্খলায় রাখে।”

নারী শিল্পী হিসেবে অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি

তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তাঁর নারী চরিত্রের বেছে নেওয়া। তিনি কখনও কেবল “গ্ল্যামারাস” চরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং সমাজের সংগ্রামী ও আত্মনির্ভর নারীর গল্প বলেছেন অভিনয়ের মাধ্যমে।

তাঁর মতে, “নারী চরিত্র মানেই দুর্বলতা নয়। আমি এমন চরিত্র করতে চাই, যেগুলো নারীর শক্তি, সাহস ও আত্মপরিচয় প্রকাশ করে।”

এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক করেছে।

জনপ্রিয়তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি

চলতি মাসেই সুখবর পাচ্ছেন তাসনিয়া ফারিণ

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাসনিয়া ফারিণের উপস্থিতি এখন এক অনন্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। তাঁর ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে রয়েছে লাখো অনুসারী। তিনি নিজের জীবনের খুঁটিনাটি মুহূর্ত, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বই পড়া ও ভ্রমণ—সবকিছুই ভাগ করে নেন ভক্তদের সঙ্গে।

তবে তিনি সচেতনভাবে গসিপ থেকে দূরে থাকেন। তাঁর পোস্টগুলোয় ইতিবাচক বার্তা থাকে—নিজেকে ভালোবাসা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে।

ফ্যাশন ও ব্যক্তিত্ব

তাসনিয়া ফারিণ কেবল অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন স্টাইল আইকনও। তাঁর পোশাক বাছাই, সরল অথচ মার্জিত ফ্যাশন সেন্স ও রঙের ব্যবহার—সবকিছুতেই ফুটে ওঠে সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের ভারসাম্য।

বাংলাদেশি ডিজাইনারদের পোশাক পরিধান করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে তিনি স্থানীয় ফ্যাশন শিল্পকেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

কাজের দর্শন: চরিত্রের ভেতরে নিজেকে হারানো

অনেক প্রশংসা পাচ্ছি: তাসনিয়া ফারিণ

ফারিণের কাজের মূল দর্শন হলো চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলা। তিনি প্রতিটি চরিত্রের জন্য গবেষণা করেন, নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেন, এমনকি সংলাপের টোন পর্যন্ত অনুশীলন করেন।

তিনি বলেন, “যখন আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই, তখন আমি তাসনিয়া নই—আমি সেই চরিত্র। অভিনয় মানে নিজেকে হারিয়ে ফেলা।”

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

তাসনিয়া ফারিণ ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন।

  • • মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েছেন।
  • • ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এর জন্য সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
  • • আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাঁর “শনিবার বিকেল” চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হলে বিদেশি মিডিয়াও প্রশংসা করে।

এই অর্জনগুলো শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং নতুন প্রজন্মের নারী শিল্পীদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে।

তেহরানের উৎসবে তাসনিয়া ফারিণের 'ফাতিমা'

সমাজ ও সংস্কৃতিতে অবদান

তাসনিয়া ফারিণ কেবল পর্দার শিল্পী নন; তিনি সমাজ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত। তিনি নারী শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সৃজনশীলতার প্রসার নিয়ে কাজ করেন।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণ কর্মশালায় তিনি অংশগ্রহণ করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করেন নিজেদের স্বপ্নকে অনুসরণ করতে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি

বর্তমানে ফারিণ কাজ করছেন কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পে। তাঁর লক্ষ্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বৈশ্বিক মানচিত্রে আরও শক্তিশালীভাবে তুলে ধরা।

তিনি বলেন, “আমি চাই, বিদেশে যখন কেউ বাংলাদেশের সিনেমা দেখবে, তারা বলুক—এ দেশেও বিশ্বমানের গল্প বলা হয়।”

প্রমাণসহ নিউজ করতে বললেন তাসনিয়া ফারিণ

তাসনিয়া ফারিণ কেবল একজন অভিনেত্রী নন, তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম—যিনি ছোট পর্দা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন প্রতিভা, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে।

তাঁর যাত্রা প্রমাণ করে—সফলতা আসে তখনই, যখন কেউ নিজের সীমা ভাঙতে জানে এবং নিজের স্বপ্নে বিশ্বাস রাখে।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য তাসনিয়া ফারিণ এক উজ্জ্বল প্রতীক—একজন শিল্পী, যিনি পর্দার আলোর মতোই হৃদয়ের গভীরে আলো ছড়ান।

# তাসনিয়া_ফারিণ,# বাংলাদেশি_অভিনেত্রী,# লেডিস_অ্যান্ড_জেন্টলম্যান, শনিবার_বিকেল, #নারী_অভিনয়,# সারাক্ষণ_রিপোর্ট