কী নিয়ে সমঝোতা, কোথায় জট
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাষ্যে, সীমান্ত–টানাপোড়েনের পর দুদেশ একটি শান্তি–ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। সাম্প্রতিক বৈঠকে মাইন অপসারণ, টহল সমন্বয় এবং সীমান্ত–ঘটনা মোকাবিলায় অভিন্ন নিয়মের খসড়া প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। একটি কর্মীদল হটলাইন, সংঘর্ষের পর যৌথ তথ্য–যাচাই এবং সন্দেহভাজন মাইন–এলাকা পরিষ্কারের সময়সূচি—এসব নিয়ে সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত করছে। ব্যাংকক বলছে, সীমান্ত বাণিজ্য–পর্যটন পুনরুদ্ধারে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ফনম পেন পরিষ্কার মানচিত্র ও স্বাধীন যাচাইকরণ–দল চাইছে, যাতে টহলপথ বা শিবির নিয়ে নতুন করে বিরোধ না হয়।
মেকং অঞ্চলে দুর্বল রপ্তানি ও খরার চাপে প্রতিবেশীদের ওপর উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান আছে। থাই ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ সময় খোলা কাস্টমস গেট ও স্থিতিশীলতা পেলে কৃষিপণ্য দ্রুত পাড়ি দেবে বলে আশা করছেন। নিরাপত্তা–বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেন—স্থানীয় মিলিশিয়া–প্রভাব না কমালে এবং স্বচ্ছ ঘটনা–রিপোর্টিং না হলে সমঝোতা ভঙ্গুর থাকবে। মানবিক সংস্থাগুলো আহত গ্রামবাসীর সহায়তা ও চাষের জমিতে নিরাপদ প্রবেশকে পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছে। চূড়ান্ত হলে সব বিরোধ মিটবে না; তবে পর্যটন–মৌসুমের আগে উত্তেজনা কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি আস্থার অভ্যাস গড়তে এটি গুরুত্বপূর্ণ শুরু হতে পারে।