০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
পরিষ্কার জ্বালানির অগ্রগতি সত্ত্বেও বৈশ্বিক নির্গমন কমছে ধীরগতিতে এআই বিনিয়োগে টেক জায়ান্টদের সামনে নতুন প্রশ্ন শীতের চাপে ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশল ও কূটনীতি নতুন মোড়ে ভবিষ্যৎ গেমিংয়ের মঞ্চে আবুধাবি বিশ্ববিদ্যালয়, তরুণ প্রতিভায় নতুন দিগন্ত দুবাইয়ে প্রকৃতিনির্ভর পর্যটনের নতুন দিগন্ত, আরভি রুটে পাহাড়–সমুদ্র–মরুভূমির অভিজ্ঞতা চীনের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্য ঘাটতি নতুন উচ্চতার পথে, সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা প্রাকযুদ্ধের বিএমডব্লিউ ক্যাব্রিওলেট পেবল বিচে গৌরব, ইতিহাসের গাড়িতে মঞ্চ জয় বয়স্কদের ওষুধের অতিভার: একসঙ্গে আটটির বেশি ওষুধে বাড়ছে মাথাঘুরে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছুটিতে পরিবারের প্রযুক্তি ঝামেলা কমানোর সহজ কৌশল চীনের প্রযুক্তি উত্থান, অর্থনীতির ভেতরে গভীর ফাটল

ছয় বছর পর আবারও উত্থান আইএস এর—মার্কিন বাহিনীর সরে যাওয়া শূন্যতায় নতুন সংগঠিত তৎপরতা

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ছয় বছর আগের পরাজয়ের পর আবারও সংগঠিত হচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার ও আসাদ সরকারের পতনের সুযোগে তারা নতুন করে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করছে, সদস্য বাড়াচ্ছে এবং ভয় ও বিশৃঙ্খলার রাজনীতি ফিরিয়ে আনছে।


হাজিক শহরে নতুন হামলা

দেইর এজজোর প্রদেশের হাজিক শহরে দুই কুর্দিশ সেনা একটি পিকআপ ট্রাকে টহল দিচ্ছিলেন, তখন মোটরসাইকেলে চড়ে আইএস যোদ্ধারা এ কে–৪৭ রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়। উভয় সেনাই নিহত হন। স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন, এটি শহরে বহুদিন পর প্রথম আইএস হামলা।

এই দুই সেনা ছিলেন কুর্দিশ নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর সদস্য—যে বাহিনী একসময় মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যৌথভাবে আইএসের ‘খিলাফত সাম্রাজ্য’ ধ্বংস করেছিল। একসময় যারা কোটি কোটি ডলার কর ও চাঁদা আদায় করত, এখন তারা আবারও ছায়া থেকে ফিরে আসছে।


অস্ত্রাগার লুট ও নতুন সংগঠন

মার্কিন ও কুর্দিশ সামরিক কমান্ডারদের মতে, আইএস আসাদ সরকারের পতনের পর শূন্যতা কাজে লাগিয়ে নতুন সদস্য নিচ্ছে এবং গত বছর সরকারি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রাগার লুট করে নিজেদের শক্তি পুনর্গঠন করেছে।

এসডিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় আইএস ১১৭টি হামলা চালিয়েছে—২০২৪ সালের মোট ৭৩টি হামলার তুলনায় দ্বিগুণ। রাজধানী দামেস্কেও হামলার পরিকল্পনা ধরা পড়েছে।


ভয়, চাঁদাবাজি ও স্থানীয় সহায়তা

দেইর এজজোর প্রদেশ, যা আকারে প্রায় মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সমান, এখন আইএসের প্রায় তিন হাজার যোদ্ধার আশ্রয়স্থল। তারা ছোট ছোট ঘুমন্ত সেলের মাধ্যমে কাজ করছে—প্রতিটি দলে চার-পাঁচজন সদস্য, যাদের একে অন্যের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেই।

এসডিএফ কমান্ডার গোরান তেল তামির বলেন, “আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে আমরা আরও বেশি হামলা ও স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছি।”


স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রভাব

হাজিকসহ কয়েকটি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরে আইএস আবারও সহানুভূতি অর্জন করছে। শহরের রাস্তায় কালো নিখাব পরা নারীরা, দোকানের সামনে নীরবে তাকিয়ে থাকা পুরুষেরা—সবকিছুই এক অদৃশ্য ভয়ের ইঙ্গিত দেয়।


আইএসের ইতিহাস ও পুনরুত্থান

২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর ইরাকের বিশৃঙ্খলা থেকে উদ্ভূত এই গোষ্ঠী ২০১৪ সালে ‘খিলাফত’ ঘোষণা করে ৮০–১২০ লাখ মানুষের উপর শাসন কায়েম করেছিল। ২০১৭ সালে মার্কিন জোট ও এসডিএফ তাদের রাজধানী রাক্কা থেকে বিতাড়িত করে। হাজারো যোদ্ধা আত্মসমর্পণ করে, বাকিরা স্থানীয় সুন্নি আরব গ্রামে মিশে যায়।


মার্কিন প্রত্যাহার ও নতুন শূন্যতা

এপ্রিলের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে ৫০০ সৈন্য প্রত্যাহার করেছে, বহু ঘাঁটি বন্ধ করে দিয়েছে বা এসডিএফের হাতে হস্তান্তর করেছে। আগামী মাসগুলোতে সেনা সংখ্যা ১,০০০–এর নিচে নেমে আসতে পারে।

পেন্টাগন বলছে, এটি সন্ত্রাস দমন অভিযানের সাফল্য নির্দেশ করে। কিন্তু মাটিতে থাকা এসডিএফ কমান্ডারদের মতে, মার্কিন উপস্থিতি কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আবারও অস্থির হয়ে উঠছে।


হত্যাযজ্ঞ ও টার্গেটেড হামলা

২০২৫ সালের মে মাসে শুধু এক মাসেই আইএস ২০টি টহল দলকে টার্গেট করে; এতে ১০ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। আগস্টে আরও সাতজন সেনা নিহত হয়। তারা এখন ছোট ইউনিটে কাজ করে—হঠাৎ আক্রমণ করে পালিয়ে যায়, রাস্তা ও বেসে মাইন পেতে রাখে।

এসডিএফের মুখপাত্র সিয়মেন্ড আলি বলেন, “প্রতিটি অভিযান চার-পাঁচজনের ছোট দল করে, এতে তারা খরচও বাঁচায়।”


ভয় ও চাঁদাবাজির শিকার সাধারণ মানুষ

দেইর এজজোরের দিবান শহরের তেল ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আল বু হারদান বলেন, আইএস এখন খোলাখুলিভাবে রাস্তায় মোটরসাইকেলে টহল দেয় এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ‘জাকাত’ দাবি করে। তিনি বলেন, “তারা আমার প্রতিটি পদক্ষেপ জানত, আমার পরিবার সম্পর্কে জানত। না দিলে তারা হুমকি দিত।”

দুইবার অর্থ দাবি করার পর একবার তার কারখানায় হামলা চালিয়ে এক কর্মীকে হত্যা করে। তিনি এখন হাজিকে আশ্রয় নিয়েছেন।


এসডিএফের দুরবস্থা

এসডিএফ বাহিনী এখন উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও, তারা ছড়িয়ে আছে প্রায় ৫০ হাজার আটক আইএস সদস্য, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পাহারায়। বিদেশি যোদ্ধাদের নিজ নিজ দেশ ফেরত নিতে রাজি নয়, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল।

এদিকে তুর্কি সমর্থিত মিলিশিয়া ও নতুন দামেস্ক সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও চলছে। মার্চে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে এসডিএফকে সরকারি বাহিনীতে একীভূত করার কথা থাকলেও পারস্পরিক অবিশ্বাসে তা ভেঙে পড়ছে—ফলে আইএস আবারও সুযোগ পাচ্ছে।


দামেস্কের প্রতিক্রিয়া ও আঞ্চলিক জটিলতা

সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে যে সরকারি নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হওয়ায় ‘নিরাপত্তা ফাঁক’ তৈরি হয়েছে, যা আইএসকে চলাফেরা ও সংগঠন গড়ার সুযোগ দিচ্ছে। তবে তারা দাবি করেছে, রাজধানী এলাকায় কয়েকটি হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আইএস এখনো হুমকি হিসেবে বিদ্যমান, তবে সরকার তাদের সম্পূর্ণ নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”


মার্কিন প্রত্যাহারের পর স্থানীয় ভয়

মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের কাছে নিরাপত্তার প্রতীক ছিল। এখন সেই শূন্যতায় ভয়, অনিশ্চয়তা ও আইএসের পুনরুত্থান আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

এসডিএফ কমান্ডার তেল তামির বলেন, “যখন মানুষ আমেরিকানদের টহল দেখে, তারা নিরাপদ বোধ করে। এখন তারা শুধু ভয়ই দেখতে পাচ্ছে।”


#
সিরিয়া, ইসলামিক স্টেট, দেইর এজজোর, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদ, মধ্যপ্রাচ্য, সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিষ্কার জ্বালানির অগ্রগতি সত্ত্বেও বৈশ্বিক নির্গমন কমছে ধীরগতিতে

ছয় বছর পর আবারও উত্থান আইএস এর—মার্কিন বাহিনীর সরে যাওয়া শূন্যতায় নতুন সংগঠিত তৎপরতা

০৫:১৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ছয় বছর আগের পরাজয়ের পর আবারও সংগঠিত হচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার ও আসাদ সরকারের পতনের সুযোগে তারা নতুন করে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করছে, সদস্য বাড়াচ্ছে এবং ভয় ও বিশৃঙ্খলার রাজনীতি ফিরিয়ে আনছে।


হাজিক শহরে নতুন হামলা

দেইর এজজোর প্রদেশের হাজিক শহরে দুই কুর্দিশ সেনা একটি পিকআপ ট্রাকে টহল দিচ্ছিলেন, তখন মোটরসাইকেলে চড়ে আইএস যোদ্ধারা এ কে–৪৭ রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়। উভয় সেনাই নিহত হন। স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন, এটি শহরে বহুদিন পর প্রথম আইএস হামলা।

এই দুই সেনা ছিলেন কুর্দিশ নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর সদস্য—যে বাহিনী একসময় মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যৌথভাবে আইএসের ‘খিলাফত সাম্রাজ্য’ ধ্বংস করেছিল। একসময় যারা কোটি কোটি ডলার কর ও চাঁদা আদায় করত, এখন তারা আবারও ছায়া থেকে ফিরে আসছে।


অস্ত্রাগার লুট ও নতুন সংগঠন

মার্কিন ও কুর্দিশ সামরিক কমান্ডারদের মতে, আইএস আসাদ সরকারের পতনের পর শূন্যতা কাজে লাগিয়ে নতুন সদস্য নিচ্ছে এবং গত বছর সরকারি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রাগার লুট করে নিজেদের শক্তি পুনর্গঠন করেছে।

এসডিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় আইএস ১১৭টি হামলা চালিয়েছে—২০২৪ সালের মোট ৭৩টি হামলার তুলনায় দ্বিগুণ। রাজধানী দামেস্কেও হামলার পরিকল্পনা ধরা পড়েছে।


ভয়, চাঁদাবাজি ও স্থানীয় সহায়তা

দেইর এজজোর প্রদেশ, যা আকারে প্রায় মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সমান, এখন আইএসের প্রায় তিন হাজার যোদ্ধার আশ্রয়স্থল। তারা ছোট ছোট ঘুমন্ত সেলের মাধ্যমে কাজ করছে—প্রতিটি দলে চার-পাঁচজন সদস্য, যাদের একে অন্যের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেই।

এসডিএফ কমান্ডার গোরান তেল তামির বলেন, “আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে আমরা আরও বেশি হামলা ও স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছি।”


স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রভাব

হাজিকসহ কয়েকটি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরে আইএস আবারও সহানুভূতি অর্জন করছে। শহরের রাস্তায় কালো নিখাব পরা নারীরা, দোকানের সামনে নীরবে তাকিয়ে থাকা পুরুষেরা—সবকিছুই এক অদৃশ্য ভয়ের ইঙ্গিত দেয়।


আইএসের ইতিহাস ও পুনরুত্থান

২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর ইরাকের বিশৃঙ্খলা থেকে উদ্ভূত এই গোষ্ঠী ২০১৪ সালে ‘খিলাফত’ ঘোষণা করে ৮০–১২০ লাখ মানুষের উপর শাসন কায়েম করেছিল। ২০১৭ সালে মার্কিন জোট ও এসডিএফ তাদের রাজধানী রাক্কা থেকে বিতাড়িত করে। হাজারো যোদ্ধা আত্মসমর্পণ করে, বাকিরা স্থানীয় সুন্নি আরব গ্রামে মিশে যায়।


মার্কিন প্রত্যাহার ও নতুন শূন্যতা

এপ্রিলের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে ৫০০ সৈন্য প্রত্যাহার করেছে, বহু ঘাঁটি বন্ধ করে দিয়েছে বা এসডিএফের হাতে হস্তান্তর করেছে। আগামী মাসগুলোতে সেনা সংখ্যা ১,০০০–এর নিচে নেমে আসতে পারে।

পেন্টাগন বলছে, এটি সন্ত্রাস দমন অভিযানের সাফল্য নির্দেশ করে। কিন্তু মাটিতে থাকা এসডিএফ কমান্ডারদের মতে, মার্কিন উপস্থিতি কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আবারও অস্থির হয়ে উঠছে।


হত্যাযজ্ঞ ও টার্গেটেড হামলা

২০২৫ সালের মে মাসে শুধু এক মাসেই আইএস ২০টি টহল দলকে টার্গেট করে; এতে ১০ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। আগস্টে আরও সাতজন সেনা নিহত হয়। তারা এখন ছোট ইউনিটে কাজ করে—হঠাৎ আক্রমণ করে পালিয়ে যায়, রাস্তা ও বেসে মাইন পেতে রাখে।

এসডিএফের মুখপাত্র সিয়মেন্ড আলি বলেন, “প্রতিটি অভিযান চার-পাঁচজনের ছোট দল করে, এতে তারা খরচও বাঁচায়।”


ভয় ও চাঁদাবাজির শিকার সাধারণ মানুষ

দেইর এজজোরের দিবান শহরের তেল ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আল বু হারদান বলেন, আইএস এখন খোলাখুলিভাবে রাস্তায় মোটরসাইকেলে টহল দেয় এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ‘জাকাত’ দাবি করে। তিনি বলেন, “তারা আমার প্রতিটি পদক্ষেপ জানত, আমার পরিবার সম্পর্কে জানত। না দিলে তারা হুমকি দিত।”

দুইবার অর্থ দাবি করার পর একবার তার কারখানায় হামলা চালিয়ে এক কর্মীকে হত্যা করে। তিনি এখন হাজিকে আশ্রয় নিয়েছেন।


এসডিএফের দুরবস্থা

এসডিএফ বাহিনী এখন উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও, তারা ছড়িয়ে আছে প্রায় ৫০ হাজার আটক আইএস সদস্য, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পাহারায়। বিদেশি যোদ্ধাদের নিজ নিজ দেশ ফেরত নিতে রাজি নয়, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল।

এদিকে তুর্কি সমর্থিত মিলিশিয়া ও নতুন দামেস্ক সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও চলছে। মার্চে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে এসডিএফকে সরকারি বাহিনীতে একীভূত করার কথা থাকলেও পারস্পরিক অবিশ্বাসে তা ভেঙে পড়ছে—ফলে আইএস আবারও সুযোগ পাচ্ছে।


দামেস্কের প্রতিক্রিয়া ও আঞ্চলিক জটিলতা

সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে যে সরকারি নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হওয়ায় ‘নিরাপত্তা ফাঁক’ তৈরি হয়েছে, যা আইএসকে চলাফেরা ও সংগঠন গড়ার সুযোগ দিচ্ছে। তবে তারা দাবি করেছে, রাজধানী এলাকায় কয়েকটি হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আইএস এখনো হুমকি হিসেবে বিদ্যমান, তবে সরকার তাদের সম্পূর্ণ নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”


মার্কিন প্রত্যাহারের পর স্থানীয় ভয়

মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের কাছে নিরাপত্তার প্রতীক ছিল। এখন সেই শূন্যতায় ভয়, অনিশ্চয়তা ও আইএসের পুনরুত্থান আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

এসডিএফ কমান্ডার তেল তামির বলেন, “যখন মানুষ আমেরিকানদের টহল দেখে, তারা নিরাপদ বোধ করে। এখন তারা শুধু ভয়ই দেখতে পাচ্ছে।”


#
সিরিয়া, ইসলামিক স্টেট, দেইর এজজোর, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদ, মধ্যপ্রাচ্য, সারাক্ষণ রিপোর্ট