১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রথমবারের মতো ডাইনোসরের পায়ে খুর দেখা গেল পেনএআইয়ের ‘অ্যাটলাস’ ব্রাউজার: গুগল ক্রোমের আধিপত্যে নতুন চ্যালেঞ্জ দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ঋণ পরিশোধে অপমান সইতে না পেরে প্রাণ দিলেন মনির লালমনিরহাটে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য মজুত ৪১৬ বস্তা সার জব্দ জমি নিয়ে সালিশে মারধর—হাতুড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্থানীয় মাতব্বরের স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী পলাতক ধ্বসের কিনারে কেন শেয়ারবাজারের লেনদেন ও সূচক দুইই! লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ৩০৯ বাংলাদেশি— আরো ফেরানোর উদ্যোগ সাগর-রুনি হত্যা তদন্তে টাস্কফোর্সকে শেষবারের মতো ৬ মাস সময় দিল হাইকোর্ট

গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে চীন প্রথমবার শীর্ষ দশে; তবুও টানা পনেরো বছর ধরে শীর্ষে সুইজারল্যান্ড

বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা (WIPO)-এর সর্বশেষ গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (GII)-এ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উচ্চপ্রযুক্তি রপ্তানিতে সাফল্যের কারণে চীন শীর্ষ দশে উঠে এলেও সার্বিকভাবে দেশটি রয়েছে দশম স্থানে। অপরদিকে, টানা পনেরো বছর ধরে শীর্ষে অবস্থান করছে সুইজারল্যান্ড—যা নিয়ে চীনে উঠেছে পক্ষপাতের প্রশ্ন।


চীনের সাফল্য ও প্রশ্নের সূত্রপাত

এই বছর চীন প্রথমবারের মতো GII-র শীর্ষ দশে প্রবেশ করেছে। তালিকায় সুইজারল্যান্ডের পর অবস্থান নিয়েছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং দশম স্থানে চীন।
তবে অনেক চীনা নাগরিক প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে নয় মিলিয়ন জনসংখ্যার একটি দেশ উদ্ভাবনে দেড়শ কোটি মানুষের চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সাংহাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গুয়ানচা’-এর এক প্রতিবেদনে মন্তব্য আসে—“এটি হয়তো সেই পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ের মতো, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সুবিধার্থে তৈরি।”


ইনডেক্সের কাঠামো ও মূল্যায়ন

জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘ সংস্থা WIPO এই ইনডেক্সটি প্রকাশ করে আসছে ২০০৭ সাল থেকে। সূচকটি ৭৮টি সূচকের ভিত্তিতে তৈরি হয়—যার মধ্যে রয়েছে উচ্চপ্রযুক্তি রপ্তানি, মেধাস্বত্ব নিবন্ধন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চুক্তি, গবেষণা ব্যয়, ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান।

এই সূচক দুটি প্রধান উপ-সূচকে বিভক্ত—
১. ইনপুট সাব-ইনডেক্স: উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ, যেমন প্রতিষ্ঠান, মানবসম্পদ, অবকাঠামো, বাজার ও ব্যবসায়িক পরিশীলন।
২. আউটপুট সাব-ইনডেক্স: উদ্ভাবনের ফলাফল, যেমন জ্ঞান ও প্রযুক্তি আউটপুট এবং সৃজনশীল আউটপুট।


চীনের অবস্থান ও শক্তি-দুর্বলতা

চীন ইনপুট ইনডেক্সে সামগ্রিকভাবে উনবিংশ স্থানে এবং আউটপুট ইনডেক্সে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
বিশেষভাবে, জ্ঞান ও প্রযুক্তি আউটপুট বিভাগে চীন প্রথম এবং সৃজনশীল আউটপুটে চতুর্দশ স্থানে।

WIPO-এর মতে, চীন “গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয়ে দ্বিতীয়, পেটেন্ট নিবন্ধনে শীর্ষে, এবং শিল্প নকশা ও ট্রেডমার্কে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে।”
তবে দেশের দুর্বল দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা খাতে কম বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার মান এবং বিনোদন ও গণমাধ্যমের বাজার।

WIPO-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ কার্সটেন ফিঙ্ক বলেন, “চীনের উদ্ভাবন ব্যবস্থা দ্রুত বেড়েছে এবং এর আউটপুট ইনপুটের তুলনায় বেশি—যা প্রমাণ করে, চীন একটি ‘দক্ষ উদ্ভাবক’। তবে জনসংখ্যা ও মোট দেশজ উৎপাদন বিবেচনায় তুলনাগুলো ভারসাম্যপূর্ণভাবে নির্ধারণ করা হয়।”


সুইজারল্যান্ডের ধারাবাহিক সাফল্য

সুইজারল্যান্ড ইনপুট ইনডেক্সে দ্বিতীয় এবং আউটপুট ইনডেক্সে প্রথম স্থানে রয়েছে। এর উদ্ভাবন শক্তি প্রধানত তথ্যপ্রযুক্তি প্রবেশাধিকার, সরকার পরিচালনা, বিশ্ববিদ্যালয়-শিল্প গবেষণা সহযোগিতা এবং বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডমূল্যে প্রতিফলিত হয়।

তবে কিছু সূচক বিশেষজ্ঞ মূল্যায়নের ওপর নির্ভরশীল—যা “পশ্চিমমুখী পক্ষপাত” আনতে পারে বলে ‘গুয়ানচা’-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Does Switzerland beat China in innovation? New ranking raises questions  about bias | South China Morning Post

পক্ষপাত বিতর্ক ও পদ্ধতিগত প্রশ্ন

চীনের কিছু গবেষক বলেছেন, যদিও GII বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও নীতিনির্ধারণে মূল্যবান তথ্য দেয়, তবুও সূচকটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
‘ইনোভেশন অ্যান্ড গ্রিন ডেভেলপমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত শি’আন জিয়াওতং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে বলা হয়—“উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া বহুমাত্রিক এবং সম্পূর্ণভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়; তাই কিছু অন্ধ বিন্দু থেকেই যায়।”

ফিঙ্ক বলেন, “উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সম্পদ বেশি, ফলে তাদের র‌্যাংকিং স্বাভাবিকভাবেই উঁচু হয়। তাই প্রতিটি দেশকে তার প্রতিবেশী বা সমমানের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করাই যুক্তিযুক্ত।”


সূচক বনাম বাস্তব উদ্ভাবন

ফিঙ্কের মতে, কোনো দেশের মোট বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা বেশি হলেও, জনসংখ্যা অনুসারে তা বিবেচনা করলে চিত্রটি পাল্টে যায়।
উদাহরণস্বরূপ, জুন মাসে প্রকাশিত নেচার ইনডেক্সে চীন প্রবন্ধসংখ্যায় প্রথম হলেও সুইজারল্যান্ড ছিল দশম স্থানে।

তিনি বলেন, “সুইজারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এর বহুজাতিক ওষুধ ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো গবেষণায় বিপুল বিনিয়োগ করে। অন্যদিকে, চীনের অগ্রগতি ছিল বিস্তৃত—বিশেষত মধ্যম আয়ের অর্থনীতিগুলোর মধ্যে।”


ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত

গত দশকে চীন GII র‌্যাংকিংয়ে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে—দুই হাজার পনেরো সালে ছিল ঊনত্রিশতম, গত বছর একাদশ এবং এ বছর দশম।
যদিও সুইজারল্যান্ড শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে, গবেষণা ও উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা, বৈদ্যুতিক যানবাহন ও রোবট ব্যবহার, এবং শ্রম উৎপাদনশীলতায় চীনের প্রবৃদ্ধি সুইজারল্যান্ডের তুলনায় দ্রুত।

ফিঙ্ক বলেন, “এই সূচকটিকে বার্ষিক প্রতিযোগিতা নয়, বরং দীর্ঘ দৌড় হিসেবে দেখা উচিত। এক বছরে বিজয়ী নির্ধারিত হয়, কিন্তু পুরো প্রতিযোগিতায় সবার সময় উন্নত হতে পারে—যা র‌্যাংকিংয়ে সবসময় প্রতিফলিত হয় না।”


#চীন, সুইজারল্যান্ড, উদ্ভাবন, গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স, ডব্লিউআইপিও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথমবারের মতো ডাইনোসরের পায়ে খুর দেখা গেল

গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে চীন প্রথমবার শীর্ষ দশে; তবুও টানা পনেরো বছর ধরে শীর্ষে সুইজারল্যান্ড

০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা (WIPO)-এর সর্বশেষ গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (GII)-এ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উচ্চপ্রযুক্তি রপ্তানিতে সাফল্যের কারণে চীন শীর্ষ দশে উঠে এলেও সার্বিকভাবে দেশটি রয়েছে দশম স্থানে। অপরদিকে, টানা পনেরো বছর ধরে শীর্ষে অবস্থান করছে সুইজারল্যান্ড—যা নিয়ে চীনে উঠেছে পক্ষপাতের প্রশ্ন।


চীনের সাফল্য ও প্রশ্নের সূত্রপাত

এই বছর চীন প্রথমবারের মতো GII-র শীর্ষ দশে প্রবেশ করেছে। তালিকায় সুইজারল্যান্ডের পর অবস্থান নিয়েছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং দশম স্থানে চীন।
তবে অনেক চীনা নাগরিক প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে নয় মিলিয়ন জনসংখ্যার একটি দেশ উদ্ভাবনে দেড়শ কোটি মানুষের চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সাংহাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গুয়ানচা’-এর এক প্রতিবেদনে মন্তব্য আসে—“এটি হয়তো সেই পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ের মতো, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সুবিধার্থে তৈরি।”


ইনডেক্সের কাঠামো ও মূল্যায়ন

জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘ সংস্থা WIPO এই ইনডেক্সটি প্রকাশ করে আসছে ২০০৭ সাল থেকে। সূচকটি ৭৮টি সূচকের ভিত্তিতে তৈরি হয়—যার মধ্যে রয়েছে উচ্চপ্রযুক্তি রপ্তানি, মেধাস্বত্ব নিবন্ধন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চুক্তি, গবেষণা ব্যয়, ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান।

এই সূচক দুটি প্রধান উপ-সূচকে বিভক্ত—
১. ইনপুট সাব-ইনডেক্স: উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ, যেমন প্রতিষ্ঠান, মানবসম্পদ, অবকাঠামো, বাজার ও ব্যবসায়িক পরিশীলন।
২. আউটপুট সাব-ইনডেক্স: উদ্ভাবনের ফলাফল, যেমন জ্ঞান ও প্রযুক্তি আউটপুট এবং সৃজনশীল আউটপুট।


চীনের অবস্থান ও শক্তি-দুর্বলতা

চীন ইনপুট ইনডেক্সে সামগ্রিকভাবে উনবিংশ স্থানে এবং আউটপুট ইনডেক্সে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
বিশেষভাবে, জ্ঞান ও প্রযুক্তি আউটপুট বিভাগে চীন প্রথম এবং সৃজনশীল আউটপুটে চতুর্দশ স্থানে।

WIPO-এর মতে, চীন “গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয়ে দ্বিতীয়, পেটেন্ট নিবন্ধনে শীর্ষে, এবং শিল্প নকশা ও ট্রেডমার্কে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে।”
তবে দেশের দুর্বল দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা খাতে কম বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার মান এবং বিনোদন ও গণমাধ্যমের বাজার।

WIPO-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ কার্সটেন ফিঙ্ক বলেন, “চীনের উদ্ভাবন ব্যবস্থা দ্রুত বেড়েছে এবং এর আউটপুট ইনপুটের তুলনায় বেশি—যা প্রমাণ করে, চীন একটি ‘দক্ষ উদ্ভাবক’। তবে জনসংখ্যা ও মোট দেশজ উৎপাদন বিবেচনায় তুলনাগুলো ভারসাম্যপূর্ণভাবে নির্ধারণ করা হয়।”


সুইজারল্যান্ডের ধারাবাহিক সাফল্য

সুইজারল্যান্ড ইনপুট ইনডেক্সে দ্বিতীয় এবং আউটপুট ইনডেক্সে প্রথম স্থানে রয়েছে। এর উদ্ভাবন শক্তি প্রধানত তথ্যপ্রযুক্তি প্রবেশাধিকার, সরকার পরিচালনা, বিশ্ববিদ্যালয়-শিল্প গবেষণা সহযোগিতা এবং বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডমূল্যে প্রতিফলিত হয়।

তবে কিছু সূচক বিশেষজ্ঞ মূল্যায়নের ওপর নির্ভরশীল—যা “পশ্চিমমুখী পক্ষপাত” আনতে পারে বলে ‘গুয়ানচা’-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Does Switzerland beat China in innovation? New ranking raises questions  about bias | South China Morning Post

পক্ষপাত বিতর্ক ও পদ্ধতিগত প্রশ্ন

চীনের কিছু গবেষক বলেছেন, যদিও GII বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও নীতিনির্ধারণে মূল্যবান তথ্য দেয়, তবুও সূচকটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
‘ইনোভেশন অ্যান্ড গ্রিন ডেভেলপমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত শি’আন জিয়াওতং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে বলা হয়—“উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া বহুমাত্রিক এবং সম্পূর্ণভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়; তাই কিছু অন্ধ বিন্দু থেকেই যায়।”

ফিঙ্ক বলেন, “উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সম্পদ বেশি, ফলে তাদের র‌্যাংকিং স্বাভাবিকভাবেই উঁচু হয়। তাই প্রতিটি দেশকে তার প্রতিবেশী বা সমমানের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করাই যুক্তিযুক্ত।”


সূচক বনাম বাস্তব উদ্ভাবন

ফিঙ্কের মতে, কোনো দেশের মোট বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা বেশি হলেও, জনসংখ্যা অনুসারে তা বিবেচনা করলে চিত্রটি পাল্টে যায়।
উদাহরণস্বরূপ, জুন মাসে প্রকাশিত নেচার ইনডেক্সে চীন প্রবন্ধসংখ্যায় প্রথম হলেও সুইজারল্যান্ড ছিল দশম স্থানে।

তিনি বলেন, “সুইজারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এর বহুজাতিক ওষুধ ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো গবেষণায় বিপুল বিনিয়োগ করে। অন্যদিকে, চীনের অগ্রগতি ছিল বিস্তৃত—বিশেষত মধ্যম আয়ের অর্থনীতিগুলোর মধ্যে।”


ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত

গত দশকে চীন GII র‌্যাংকিংয়ে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে—দুই হাজার পনেরো সালে ছিল ঊনত্রিশতম, গত বছর একাদশ এবং এ বছর দশম।
যদিও সুইজারল্যান্ড শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে, গবেষণা ও উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা, বৈদ্যুতিক যানবাহন ও রোবট ব্যবহার, এবং শ্রম উৎপাদনশীলতায় চীনের প্রবৃদ্ধি সুইজারল্যান্ডের তুলনায় দ্রুত।

ফিঙ্ক বলেন, “এই সূচকটিকে বার্ষিক প্রতিযোগিতা নয়, বরং দীর্ঘ দৌড় হিসেবে দেখা উচিত। এক বছরে বিজয়ী নির্ধারিত হয়, কিন্তু পুরো প্রতিযোগিতায় সবার সময় উন্নত হতে পারে—যা র‌্যাংকিংয়ে সবসময় প্রতিফলিত হয় না।”


#চীন, সুইজারল্যান্ড, উদ্ভাবন, গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স, ডব্লিউআইপিও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সারাক্ষণ রিপোর্ট