০৭:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
পরিষ্কার জ্বালানির অগ্রগতি সত্ত্বেও বৈশ্বিক নির্গমন কমছে ধীরগতিতে এআই বিনিয়োগে টেক জায়ান্টদের সামনে নতুন প্রশ্ন শীতের চাপে ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশল ও কূটনীতি নতুন মোড়ে ভবিষ্যৎ গেমিংয়ের মঞ্চে আবুধাবি বিশ্ববিদ্যালয়, তরুণ প্রতিভায় নতুন দিগন্ত দুবাইয়ে প্রকৃতিনির্ভর পর্যটনের নতুন দিগন্ত, আরভি রুটে পাহাড়–সমুদ্র–মরুভূমির অভিজ্ঞতা চীনের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্য ঘাটতি নতুন উচ্চতার পথে, সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা প্রাকযুদ্ধের বিএমডব্লিউ ক্যাব্রিওলেট পেবল বিচে গৌরব, ইতিহাসের গাড়িতে মঞ্চ জয় বয়স্কদের ওষুধের অতিভার: একসঙ্গে আটটির বেশি ওষুধে বাড়ছে মাথাঘুরে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছুটিতে পরিবারের প্রযুক্তি ঝামেলা কমানোর সহজ কৌশল চীনের প্রযুক্তি উত্থান, অর্থনীতির ভেতরে গভীর ফাটল

হংকংয়ে আসন্ন আইনসভার নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোর যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান, বেইজিংয়ের

বেইজিং হংকংবাসীকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আসন্ন আইনসভার (লেজিসলেটিভ কাউন্সিল) নির্বাচনে কোনো ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা রোধ করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নির্বাচনের স্থিতি নষ্টের চেষ্টায় কোনোভাবেই ‘নিষ্ক্রিয় থাকবে না’।


দুই দপ্তরের যৌথ সতর্কবার্তা

চীনের হংকং ও ম্যাকাও বিষয়ক দপ্তর এবং জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তর শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিসেম্বরের সাতই তারিখের নির্বাচনের দুই সপ্তাহব্যাপী মনোনয়ন পর্ব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তারা যেকোনো অস্থিরতা বা অবৈধ কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করবে।


“গ্যাং আ’ও পিং” কলামে বেইজিংয়ের বার্তা

দপ্তরের প্রকাশিত মন্তব্যে, ‘গ্যাং আ’ও পিং’ ছদ্মনামে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, দুই হাজার বিশ সালে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং দুই হাজার একুশ সালে “দেশপ্রেমিকদের জন্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ” নীতি কার্যকরের পরও কিছু বিরোধী গোষ্ঠী এখনো নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “‘বেইজিং নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে’— এমন ভুয়া দাবি, কথিত ‘আর্শীবাদ তালিকা’ প্রচার, সপ্তম দফার আইনপ্রণেতাদের কর্মক্ষমতা নিয়ে কটূক্তি, কিংবা নির্বাচনে বয়কটের আহ্বান— এগুলো আগের মতোই পুরনো কৌশল।”

Élections à Hong Kong: comment Pékin a détruit le système politique local

লক্ষ্য: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও কর্তৃত্ব খর্ব করা

বেইজিংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই সব প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হলো নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা অস্বীকার করা, বেইজিংয়ের সার্বিক এখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করা এবং স্থানীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে দুর্বল করে হংকংকে পুনরায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় ফেলা।”


আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর অবস্থান

বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে, শহরের আইনপ্রয়োগ ও বিচার বিভাগীয় সংস্থাগুলো কোনোভাবেই নিষ্ক্রিয় থাকবে না। উল্লেখ করা হয়, “যে কোনো বক্তব্য বা পদক্ষেপ, যা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে নেওয়া হবে, তা আইনি তদন্ত ও শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।”

হংকংয়ের আইনসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেইজিংয়ের এই বার্তা শুধু রাজনৈতিক সতর্কতাই নয়, বরং সম্ভাব্য বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আগাম কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও “দেশপ্রেমিক শাসনব্যবস্থা” ধারণা আরও জোরদার হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


# হংকং, বেইজিং, লেজকো নির্বাচন, জাতীয় নিরাপত্তা আইন, চীন রাজনীতি, সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিষ্কার জ্বালানির অগ্রগতি সত্ত্বেও বৈশ্বিক নির্গমন কমছে ধীরগতিতে

হংকংয়ে আসন্ন আইনসভার নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোর যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান, বেইজিংয়ের

০৭:১৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

বেইজিং হংকংবাসীকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আসন্ন আইনসভার (লেজিসলেটিভ কাউন্সিল) নির্বাচনে কোনো ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা রোধ করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নির্বাচনের স্থিতি নষ্টের চেষ্টায় কোনোভাবেই ‘নিষ্ক্রিয় থাকবে না’।


দুই দপ্তরের যৌথ সতর্কবার্তা

চীনের হংকং ও ম্যাকাও বিষয়ক দপ্তর এবং জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তর শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিসেম্বরের সাতই তারিখের নির্বাচনের দুই সপ্তাহব্যাপী মনোনয়ন পর্ব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তারা যেকোনো অস্থিরতা বা অবৈধ কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করবে।


“গ্যাং আ’ও পিং” কলামে বেইজিংয়ের বার্তা

দপ্তরের প্রকাশিত মন্তব্যে, ‘গ্যাং আ’ও পিং’ ছদ্মনামে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, দুই হাজার বিশ সালে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং দুই হাজার একুশ সালে “দেশপ্রেমিকদের জন্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ” নীতি কার্যকরের পরও কিছু বিরোধী গোষ্ঠী এখনো নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “‘বেইজিং নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে’— এমন ভুয়া দাবি, কথিত ‘আর্শীবাদ তালিকা’ প্রচার, সপ্তম দফার আইনপ্রণেতাদের কর্মক্ষমতা নিয়ে কটূক্তি, কিংবা নির্বাচনে বয়কটের আহ্বান— এগুলো আগের মতোই পুরনো কৌশল।”

Élections à Hong Kong: comment Pékin a détruit le système politique local

লক্ষ্য: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও কর্তৃত্ব খর্ব করা

বেইজিংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই সব প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হলো নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা অস্বীকার করা, বেইজিংয়ের সার্বিক এখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করা এবং স্থানীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে দুর্বল করে হংকংকে পুনরায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় ফেলা।”


আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর অবস্থান

বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে, শহরের আইনপ্রয়োগ ও বিচার বিভাগীয় সংস্থাগুলো কোনোভাবেই নিষ্ক্রিয় থাকবে না। উল্লেখ করা হয়, “যে কোনো বক্তব্য বা পদক্ষেপ, যা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে নেওয়া হবে, তা আইনি তদন্ত ও শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।”

হংকংয়ের আইনসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেইজিংয়ের এই বার্তা শুধু রাজনৈতিক সতর্কতাই নয়, বরং সম্ভাব্য বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আগাম কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও “দেশপ্রেমিক শাসনব্যবস্থা” ধারণা আরও জোরদার হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


# হংকং, বেইজিং, লেজকো নির্বাচন, জাতীয় নিরাপত্তা আইন, চীন রাজনীতি, সারাক্ষণ রিপোর্ট