পাহাড়ি সৌন্দর্যে সক্রিয় পর্যটনের পরিকল্পনা
আগামী পাঁচ বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ (আরএইকে) অঞ্চলের পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইকিং ও বাইকিং ট্রেইল নির্মাণ করবে মাস্টার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ‘মারজান’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সক্রিয় ও পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি পর্যটকদের সামনে উন্মোচিত হবে হজার পর্বতমালার প্রাকৃতিক রূপ।
‘আরএইকে ভিশন ২০৩০’-এর সঙ্গে সংযুক্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা
মারজানের এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাস আল খাইমাহকে বছরে ৩৫ লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটি আতিথেয়তা খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ডকে আমিরাতে আনতে কাজ করছে।

মারজান ও আরএইকে হসপিটালিটি হোল্ডিংয়ের কৌশলগত একীভবন
সম্প্রতি মারজান ও ‘আরএইকে হসপিটালিটি হোল্ডিং’ (RAKHH) একীভূত হয়ে একটি যৌথ সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। নতুন এই সংস্থা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট, হসপিটালিটি অপারেশন এবং লাইফস্টাইল অভিজ্ঞতাকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসবে। এর লক্ষ্য হলো বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পর্যটন উন্নয়ন এবং ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করা।
শেখ আহমেদ বিন সাউদ আল কাসিমির দৃষ্টিভঙ্গি
মারজানের চেয়ারম্যান শেখ আহমেদ বিন সাউদ বিন সাকর আল কাসিমি জানিয়েছেন, এই একীভবন টেকসই সমৃদ্ধির পথে আমিরাতকে আরও এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, “এই সংযুক্তি এমিরাতিদের জন্য উচ্চমূল্যের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে, জাতীয় সক্ষমতা উন্নত করবে এবং উদ্ভাবন ও সম্ভাবনার আলোকবর্তিকা হিসেবে আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “মারজান ভবিষ্যতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে রাস আল খাইমাহর উন্নয়নকে নেতৃত্ব দেবে। প্রযুক্তি, ডিজাইন ও তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনমান-সমৃদ্ধ আবাসন প্রকল্প তৈরি করা হবে।”
প্রধান প্রকল্পসমূহ: দ্বীপ থেকে পাহাড় পর্যন্ত
মারজানের চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আল মারজান আইল্যান্ড, আরএইকে সেন্ট্রাল, মারজান বিচ, আসন্ন জেবেল জাইস মাস্টারপ্ল্যান এবং ‘উইন আল মারজান আইল্যান্ড’—যা বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত রিসোর্ট ব্র্যান্ডকে রাস আল খাইমাহতে নিয়ে আসবে।

ভবিষ্যতের স্মার্ট শহরের রূপরেখা
গ্রুপ সিইও আবদুল্লাহ আল আবদৌলি বলেন, “মারজান রাস আল খাইমাহকে ভবিষ্যতের স্মার্ট, সংযুক্ত ও প্রাণবন্ত শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করবে—যেখানে মানুষ, ব্যবসা ও সম্প্রদায় একসঙ্গে বিকশিত হবে।”
মারজান বিচ প্রকল্পের অগ্রগতি
‘মারজান বিচ’ প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও এগিয়ে চলছে। ৮ কোটি ৫০ লাখ বর্গফুট আয়তনের এই উন্নয়ন এলাকায় থাকবে ২২ হাজার আবাসিক ইউনিট ও ১২ হাজার হোটেল রুম। এখানে প্রায় ৭৪ হাজার স্থায়ী বাসিন্দা ও ৩২ হাজার কর্মীর আবাসের পাশাপাশি বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক থাকার সুযোগ থাকবে।

সবুজ উন্মুক্ততা ও বিনোদনের সমন্বয়
৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতজুড়ে বিস্তৃত এই উন্নয়ন এলাকায় থাকবে ৬.৫ মিলিয়ন বর্গফুট সবুজ উন্মুক্ত জায়গা ও আটটি আবাসিক পাড়া।
এটি শুধুমাত্র একটি পর্যটন প্রকল্প নয়—বরং আরএইকের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং আন্তর্জাতিক আতিথেয়তার সঙ্গে সংযুক্তির কৌশলগত পদক্ষেপ।
ট্যাগ: #রাসআলখাইমাহ #মারজান #আরএইকে_ভিশন_২০৩০ #পর্যটন #সংযুক্তআরবআমিরাত #উন্নয়ন #হাইকিং_বাইকিং_ট্রেইল
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















